স্যামসাংয়ের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন জাবি শিক্ষার্থী

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : স্যামসাং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (এসআরবিডি) সফলভাবে দ্বিতীয় সিজনের কোডিং কনটেস্ট সম্পন্ন করেছে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব সম্প্রতি এসআরবিডি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কোডিং কনটেস্ট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি পুরস্কার হিসেবে পান একটি মেডেল, চ্যাম্পিয়ন ক্রেস্ট এবং ৫০,০০০ টাকা।

এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কোডিং সম্পর্কিত দক্ষতা ও জ্ঞান বিকশিত করা এবং শিক্ষা ও প্রাযুক্তিক পেশাদারিত্বের সমন্বয় ঘটানো। দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪৭ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগিতাটি তিনটি ধাপে ৭২ দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপের অনলাইন এলিমিনেশন রাউন্ডে ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে। এই রাউন্ডে প্রতিযোগীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সি/সি++/জাভা ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যালগরিদম সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করতে হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইং রাউন্ডে অংশগ্রহণকারী ১১০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৫০ জন প্রতিযোগী ফাইনাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হোন। ফাইনাল রাউন্ডের প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে বছরের সেরা ১০ জন কোডিং পারদর্শী নির্বাচিত হয়।

প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে মোহাম্মদ সোলাইমান এবং এইচ এম আশিকুল ইসলাম। তারা দুজনেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর শিক্ষার্থী। পুরস্কার হিসেবে মোহাম্মদ সোলাইমান পেয়েছেন ৩০,০০০ টাকা এবং এইচ এম আশিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২০,০০০ টাকা।

সাতজন প্রতিযোগীকে চতুর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিযোগীরা হলেন- তানভীর মুত্তাকীন (বুয়েট), হাসিন রায়হান দেওয়ান ধ্রুব (বুয়েট), মাহমুদ সাজ্জাদ আবির (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), তারিক সালাম সজল (বুয়েট), কাজী সোহান (জেইউ) এবং অনিক সরকার (বুয়েট)। এই দশজন শিক্ষার্থী দেশের শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন এসআরবিডি-তে কাজ এবং ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন।

প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে, স্যামসাং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (এসআরবিডি)- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উনমো কু অংশগ্রহণকারীদের ভালো কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং প্রতিনিয়ত এই ধরনের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ প্রদান করেন, যা বাংলাদেশি তরুণদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। সমাপনী বক্তব্যে তিনি এই বছর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে তারা যেন বাংলাদেশের মূল্যবান সম্পদে পরিণত হতে পারে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ফিরোজ