ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ই-কমার্স প্রশিক্ষণ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চট্টগ্রামে ই-কমার্স প্রশিক্ষণ

ই-কমার্স সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামে সরকারি অর্থায়নে ই-কমার্স প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডব্লিউটিও সেল কর্তৃক পরিচালিত ‘ই-বাণিজ্য করবো নিজের ব্যবসা গড়বো’ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স ব্যবসায় পরিচালনা ও পুরোনোদের ব্যবসায়ের ডিজিটাল রূপান্তরের কৌশল বিষয়ে অবহিত করতে যৌথভাবে প্রশিক্ষণটি বাস্তবায়ন করছে বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।

২৬ ডিসেম্বর থেকে নগরীর আগ্রাবাদের চৌমুহুনীস্থ চিটাগং কম্পিউটার সিটির ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত ই-ক্যাব ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে ১১ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। তিনটি ব্যাচে ৭৫ জন করে মোট ১২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ৬৩টি মডিউলে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান। ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. কামাল হোসেন ও ‘ই-বাণিজ্য করবো, নিজের ব্যবসা গড়বো’ প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. হাফিজুর রহমান।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ইতিমধ্যেই সরকার চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে দেশের সফল ও সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এখান থেকেই সর্বোচ্চ করদাতা রয়েছে। ফলে আমাদেরকে শেকড় থেকেই শিখরে যেতে হবে। এজন্য তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি তরুণদের তরুণদের প্রযুক্তি বা ই-কমার্সকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

ই-ক্যাব জেনারেল ম্যানেজার মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ‘ই-বাণিজ্য করবো, নিজের ব্যবসা গড়বো’ প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান জানান, ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের অধীনে ঢাকায় ৩৪টি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করবে। ই-বাণিজ্য সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নিয়েই চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের এই প্রশিক্ষণে ১২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি বিভাগে এই প্রশিক্ষণ চলবে।

অনুষ্ঠানে ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. কামাল হোসেন বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যারা প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকবে তারাই শীর্ষে থাকবে। ই-কমার্স প্রযুক্তির একটি অংশ। আর সাধারণ কাজের পাশাপাশি ই-ব্যবসা করা যায়। চট্টগ্রাম ব্যবসায়ের জায়গায় হওয়ায় এখানে এই প্রশিক্ষণটি খুবই কার্যকর হবে বলে মনে করি। আমরা আশা করতে পারি, এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েই কেউ আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠান গড়তেও পারেন।

ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমাজন, ফেসবুক, গুগল সবাই কিন্তু একেকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। তাই এই খাতটি কতটা প্রভাবশালী ও ব্যবসায় সম্ভাবনাময় তা সহজেই অনুমেয়। এই অপার সম্ভাবনার সুযোগটি কাজে লাগাতেই এবার আমরা ক্রসবর্ডার ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশীয় পণ্যকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ করে দিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। এলসি ছাড়াই যেন ডিজিটাল মাধ্যমে ক্রস বার্ডার ই-কর্মাস করা যায় সে বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের প্রস্তাব মেনে নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকার ট্রাভেল কোটায় চেক পেমেন্ট নেয়ার পরিবর্তে ই-কমার্সের জন্য নতুন একটি ক্যাটাগরি খোলার কথা বিবেচনায় নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট ব্যবসায়ের ৭০ শতাংশ যেহেতু অনলাইনে চলে আসবে সে জন্যই আমরা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রত্যাশা, ২০২১ সালের মধ্যে এক লাখ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলে তাদের ব্যবসায়ের ডিজিটাল রূপান্তর ঘটাতে সক্ষম হবো।

অনুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রাম ই-ক্যাব সদস্যদের উপস্থিতিতে ই-ক্যাব ট্রেনিং সেন্টারের চট্টগ্রাম শাখার উদ্বোধন করা হয়।


ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়