ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

হুয়াওয়ের ৫জি-তে ১.৬ জিবিপিএস গতির স্বাক্ষী হলো ঢাকা

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১০, ১৬ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হুয়াওয়ের ৫জি-তে ১.৬ জিবিপিএস গতির স্বাক্ষী হলো ঢাকা

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আজ প্রথমবারের মতো ৫জি অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেল। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০’- এ তাদেরকে এই অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে মেলার টাইটেনিয়াম সহযোগী ‘হুয়াওয়ে’।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আজ সকালে মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব নূর উর রহমান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশে ৫জি সেবা পরীক্ষায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিল হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। তখন ৮০০ মেগাহর্স স্পেকট্রাম ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৪ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট গতি পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে এখন মাত্র ১০০ মেগাহর্স স্পেকট্রাম (গতবারের ৮ ভাগের এক ভাগ) ব্যবহার করেই প্রতি সেকেন্ডে ১.৪ জিবি থেকে ১.৭ জিবি পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা সম্ভব হবে। দর্শনার্থীরা আজ মেলার উদ্বোধনী দিনেই সেকেন্ডে ১.৬ জিবি গতিতে ডেটা ট্রান্সফারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

৫জির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় গত ১০ বছর কাজ করছে হুয়াওয়ে। আর এরই এজন্য ব্যয় করেছে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন বলেন, ‘প্রযুক্তিগত সুবিধাকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গত ২১ বছর ধরে এদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি, টেলিকম অপারেটর ও স্থানীয় সহযোগীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এখন ৫জি চালু হয়েছে এবং হুয়াওয়েও প্রস্তুত। ৫জি’র গবেষণা ও উন্নয়নে আমরা এক দশক ধরে কাজ করছি, যেখানে গত ১০ বছরে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৫জি গবেষণা ও উন্নয়নে আমরাই শীর্ষস্থানীয় এবং ২১ হাজারেরও বেশি থ্রিজিপিপি ৫জি এনআর সমেত ৫জি পেটেন্টও আমাদের সবচেয়ে বেশি।’

মেলায় আগত একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিলন বলেন, ‘এই মেলার আয়োজন একটি দারুন উদ্যোগ। আরো নতুন প্রযুক্তি আসলে আমাদের জীবনে কি প্রভাব পড়বে, কতটা সহজ হবে আমাদের জীবন, তার একটা ধারণা পেলাম এখানে। হুয়াওয়ে প্যাভিলিয়নে আমি ৫জি উপভোগ করলাম। বুঝতে পারলাম, ভবিষ্যতে কতটা দ্রুত হবে আমাদের কাজ। আমরা সারাদেশে ৫জি’র অপেক্ষায় থাকলাম।’

তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলাকালে আগত দর্শনার্থীগণ হুয়াওয়ের প্যাভিলিয়নে সরাসরি ৫জি স্পিড ও লো-ল্যাটেন্সি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। এছাড়াও আকর্ষণ হিসেবে থাকছে, বিশেষ একটি রোবট, যাকে হাতের ইশারায় পরিচালনা করে ফুটবল খেলা যাবে। ৫জি প্রযুক্তিতে কত দ্রুত হিউম্যান টু মেশিন কিংবা মেশিন টু মেশিন কমিউনিকেশন সম্ভব তা তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এই আয়োজন।

পাশাপাশি আরো একটি প্লে-জোন থাকছে যেখানে সবাই ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে রিয়েল-টাইম ভিআর উপভোগ করতে পারবেন। ৫জি ভিআর পরার সাথে সাথেই অংশগ্রহণকারী নিজেকে খুঁজে পাবেন স্কিইরত অবস্থায়। উন্নত প্রযুক্তি এবং অডিও কিংবা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতেই হুয়াওয়ের এই আয়োজন। থাকছে হুয়াওয়ের ৫জি স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ।


ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়