ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

প্রয়োজনীয় সেবাগুলো চলমান রাখার আহ্বান ই-ক্যাবের

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ২৫ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রয়োজনীয় সেবাগুলো চলমান রাখার আহ্বান ই-ক্যাবের

গোটা বিশ্ব আজ করোনা নামক ভাইরাসের আক্রমণে এক জটিল সংকটে রয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর পক্ষ থেকে সদস্য কোম্পানিগুলোকে তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সমাজের নিরাপত্তায় করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং যারা নিত্যপণ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রয় এবং ডেলিভারির সাথে জড়িত তাদের সেবা অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।

এই অবস্থায় নিত্যপণ্য, ওষুধ সামগ্রী ভিত্তিক ই-কমার্স কোম্পানি, ডেলিভারি সেবা প্রদানকারী লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ পোস্ট অফিসকে সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ই-ক্যাব।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অনলাইনভিত্তিক সেবা ও পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে তাদের কর্মীদের নিরাপত্তা বিধান করে সঠিক দামে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। সম্ভাব্যক্ষেত্রে সদস্য কোম্পানিদেরকে তাদের কর্মীদের বাসায় বসে কাজ করার অনুমতি দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ই-ক্যাবের চলমান ৮ বিভাগের মেলা, ই-বাণিজ্য প্রশিক্ষণ এবং আসন্ন এজিএম স্থগিত করা হয়েছে। ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির যাবতীয় সভা এবং সব স্ট্যান্ডিং মিটিংগুলো অনলাইনে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ই-ক্যাবের সেক্রেটারি আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, জরুরি প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ই-ক্যাব বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে-

* বাংলাদেশ পোস্ট অফিস সহ দেশের সকল ডেলিভারি কোম্পানিগুলো একত্রে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে, যেন মানুষের হাতে ই-কমার্সের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেয়া যায়।

* ডেলিভারি কাজে যে সকল কর্মী বিভিন্ন লজিস্টিক ও ই-কমার্স কোম্পানিতে কাজ করছেন তাদেরকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেওয়া এবং ওয়্যারহাউজগুলোকে সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

* গুরুত্বপূর্ণ সেইফটি ইকুইপমেন্ট প্রস্তুতকারী এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। যেন এসব জিনিস যাদের প্রয়োজন এবং যারা উৎপাদন ও বিক্রয় করেন তাদের মধ্যে সংযোগ তৈরি করা যায়।

* ই-কমার্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি ডেডিকেটেড হেল্প সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে জরুরি অবস্থায় তারা বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ পায়।

* একটি ই-বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে ঘরে বসে মানুষ ই-লার্নিং এবং ই-বিজনেস সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা পাবে।

* ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষা করার জন্য একটি কমপ্লেইন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে।

* মানুষকে ডিজিটাল লেনদেনে সচেতন করে তোলার জন্য একটি অনলাইন ভলান্টিয়ার টিম তৈরি করা হচ্ছে।

* ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য সরকারি-বেসরকারি ফান্ড এবং ডোনেশন কালেকশন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

* একটি ই-কমার্স রিসার্চ টিম প্রস্তুত করা হচ্ছে, যারা বিভিন্ন ডাটা অ্যানালাইসিস করে জরুরি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।

* জরুরি অবস্থায় সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য এটুআই, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পোস্ট অফিস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়