ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনার ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন উদ্যোগ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫১, ৭ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনার ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন উদ্যোগ

কোভিড-১৯ এর কারণে মানুষ যখন বন্ধুবান্ধব ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নভাবে জীবনযাপন করছে তখন যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ হয়ে উঠেছে অন্যতম নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। এই পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ডাক্তার, শিক্ষক ও দূরবর্তী প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ করছে। তাই ব্যবহারকারীর সমস্ত বার্তা এবং কলগুলোর গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে হোয়াটসঅ্যাপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

গত বছর একাধিকবার ফরোয়ার্ড করা হয়েছে এমন মেসেজ নির্দেশ করতে ‘ডাবল অ্যারো’  চিহ্নটি হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত করা হয়েছে। এই চিহ্নের অর্থ মেসেজটি যে পাঠিয়েছে তার নিজের লেখা নয় বরং অন্য কারো কাছ থেকে আসা মেসেজ। কার্যত হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো সাধারণ বার্তাগুলোর তুলনায় এই বার্তাগুলো কম ব্যক্তিগত। আর সম্প্রতি ভুয়া তথ্যের বিস্তার কমাতে মেসেজ ফরোয়ার্ড সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।

হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ব্যক্তিগত মেসেজিং সার্ভিস হিসেবে আমরা চ্যাটগুলোর গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছি। উদাহরণস্বরূপ, মেসেজগুলো ভুল মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে ফরোয়ার্ডকৃত মেসেজগুলোর জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করার ফলে বিশ্বব্যাপী অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজ ফরোয়ার্ড হ্রাস পেয়েছে ২৫ শতাংশ।’

কিন্তু সব ফরোয়ার্ডকৃত মেসেজই ভুয়া নয়। অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, মজার ভিডিও, মিম এবং যে দোয়াগুলো তাদের কাছে অর্থবোধক বলে মনে হয় সেগুলো ফরোয়ার্ড করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবহারকারীরা ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জনসমর্থন পাওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে। তবে ফরোয়ার্ডিংয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা ব্যবহারকারীদের কাছে কখনো কখনো বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভুল তথ্য ছড়াতে ভূমিকা রাখছে। ফলে এই মেসেজগুলো ছড়ানোর গতি কমানোর মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যক্তিগত যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

এই পরিবর্তন ছাড়াও মানুষ যাতে সঠিক তথ্য পেতে পারে সেজন্য এনজিও এবং স্থানীয় সরকারের সাথে সরাসরি কাজ করছে এমন ২০টিরও বেশি জাতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে  যুক্ত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই বিশ্বস্ত মাধ্যমগুলো কোভিড-১৯ সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ সম্বলিত মেসেজ সরাসরি ব্যবহারকারীদের কাছে পাঠাচ্ছে। এছাড়া কীভাবে ভুয়া তথ্য ও গুজব করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাব-এর ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলোর কাছে রিপোর্ট করতে হবে সে সম্পর্কেও জানতে পারছে।

হোয়াসঅ্যাপ জানিয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি এই পরিস্থিতিতে মানুষের একে অন্যের সাথে আগের চেয়েও বেশি সংযুক্ত থাকা প্রয়োজন। এই বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ যাতে নির্ভরযোগ্যভাবে মানুষের যোগাযোগে ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য আমাদের টিম কঠোর পরিশ্রম করছে। আমরা ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া শুনে সে অনুযায়ী আপনার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করতে থাকব।’

 

ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়