ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

করোনার নতুন উপসর্গ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১১, ৬ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনার নতুন উপসর্গ

তীব্র জ্বর থেকে শুরু করে শুষ্ক কাশি- করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এ ধরনের একাধিক উপগসর্গ দেখা দেয় বলে এতদিন জানা ছিল। আর এবার বিজ্ঞানীরা স্বল্প পরিচিত কিছু উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন- এসব উপসর্গ ভাইরাসটি আপনার মস্তিস্কে প্রভাব ফেলছে তা নির্দেশ করতে পারে। উপসর্গগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি, মাথাব্যথা এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রলাপও অন্তর্ভুক্ত।

হেলথলাইনকে টেক্সাস হেলথ আর্লিংটন মেমোরিয়াল হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট ডা. হালিম ফাদিল বলেছেন, ‘অনেক কোভিড-১৯ রোগীর নিউরোলজিক্যাল লক্ষণ রয়েছে বলে জানা গেছে যেমন: মাথাব্যথা, বিভ্রান্তি, খিঁচুনি এবং এমনকি স্ট্রোক।’

ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন পড়ে এমন রোগীদের সাধারণত ডেলিরিয়াম (মতিভ্রম) প্রভাবিত করে, শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরির কারণে এমনটা ঘটে।

নিউরোলজিস্ট ডা. কেভিন কনার বলেছেন, ‘ডেলিরিয়াম রোগীদের শ্রাবণ হ্যালুসিনেশন, ভিজ্যুয়াল হ্যালুসিনেশন, সময় ও স্থানের বিভ্রান্তি, উৎকন্ঠা, চেতনার ওঠানামা, ঘুম-জাগ্রত চক্রের দুর্বলতা থাকতে পারে।’

তাঁর মতে, ‘আইসিউতে থাকা বেশিরভাগ রোগীর (৮০ শতাংশ) কিছুটা মতিভ্রমের দশা হতে পারে।’

উদ্বেগজনক ব্যাপার হলো, ডেলিরিয়াম দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং রোগীরা যারা এটি অনুভব করেন তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও কম থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ডেলিরিয়াম যদিও করোনাভাইরাসের পরিচিত একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে, এর চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. শ্যারন ইনুই বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে ডেলিরিয়ামের মহামারি দেখছি এবং এটি খুব বিশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে।’

তার মতে, ‘এর বেশিরভাগ অনিবার্য হতে পারে। আপনি যখন কাউকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তখন আপনি বিস্মৃত হওয়া রোধের সেরা চিকিৎসাগুলো অনুসরণ করতে পারেন না। বিষয়টি আমরা বুঝতে পারি। তবে আমি আমার সহকর্মীদের সাথে কথা বলে মনে করি যে, এর কিছুটি এড়ানো যায়।’

গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটাচলা মতিভ্রম কমাতে সহায়তা করতে পারে, যদিও রোগীরা ভেন্টিলেটরে থাকায় তা করাটা সহজ হয় না।

ডা. কনার বলেছেন, ‘গবেষণাগুলো দেখায় যে হাঁটাচলা অক্সিজেন স্যাচুরেশন বাড়িয়ে তোলে এবং রোগীদের ভেন্টিলেটরের প্রয়োজনীয়তা দূর করে। হাঁটাচলায় সহায়তা করতে তিনজন কর্মীর প্রয়োজন পড়বে, তবে এটি করা যেতে পারে।’

 

ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়