ওয়ারী লকডাউন: জরুরি পণ্য পৌঁছে দেবে ই-ক্যাব
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
আগামীকাল ৪ জুলাই থেকে ২১ দিনের লকডাউন শুরু হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪১ নং ওয়ার্ড ওয়ারীতে। এই সময় দুটি প্রবেশমুখ ছাড়া সব রাস্তা বন্ধ থাকবে। জনসাধারণ এই সময়ে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবে না।
লকডাউন এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার জন্য এটুআই এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কাজ করবে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) বিশটিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। গত ৩০ জুন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অনুষ্ঠিত মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় রেডজোন ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইতিপূর্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অত্র এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দেয়।
গতমাসে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রাজাবাজার এলাকায় ২১ দিনের লকডাউন ২ দিন আগে শেষ হয়েছে। রাজাবাজার এলাকায় ২১ দিন যাবত ন্যায্যমূল্যে জনসাধারণকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করেছে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহ। রাজাবাজারে নতুন করে করোনা সংক্রমণ না হওয়ায় এই মডেলে ৪ জুলাই থেকে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা লকডাউনে যাচ্ছে। ঢাকা শহরে লকডাউন এলাকায় সেবা দেয়ার জন্য সক্ষমতা এবং বিগত দিনের সেবার উপর বিশ্লেষণ করে এটুআইয়ের তত্ত্বাবধানে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠান মোট ৭০টি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ই-ক্যাবের সদস্য সংখ্যা ১২শ এর বেশি। এদের মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেবা দিবে। একটি অনলাইন ফার্মেসিসহ আরো ১০টি প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবার জন্য প্রস্তুত থাকবে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু অর্ডারের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারবে।
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, আমরা দুই সিটি মেয়রকে নিশ্চয়তা দিয়েছি যে, আমরা বিধিমেনে ন্যায্যমূল্যে ঘরে থাকা মানুষের কাছে নিত্যপণ্য পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সে কাজটি দক্ষতার সঙ্গে করে আসছে। আশাকরি ওয়ারীতেও তার ব্যতিক্রম হবে না।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, রাজাবাজারের মতো ওয়ারীতেও মানুষের পাশে থাকব আমরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখানে নিত্যপণ্য সরবরাহ করব। যাতে জনসাধারণকে ঘর থেকে বের হতে না হয়। ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো গাড়িতে করে গিয়ে পণ্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবে এজন্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটবে না এবং আমাদের একটি টিম সার্বক্ষণিক বিষয়টা তদারক করবে। এতে এটুআই সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে।
এটুআই এর হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, আমরা আসলে রাজাবাজারের অপারেশনটাকে মডেল হিসেবে দেখতে চাই। প্রতিটি ডেলিভারি এবং প্রতিটি গাড়িকে যেভাবে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথে নজরদারি করা হয়েছে। সে অভিজ্ঞতাটাই আমরা কাজে লাগাতে চাই।
ওয়ারীতে ফার্মেসি ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে শুধুমাত্র দুটো গেট দিয়ে প্রবেশ ও বাহির হওয়া যাবে। তবে পণ্য চলাচলের জন্য কেবল একটিমাত্র গেট ব্যবহার করা হবে। পুলিশ, সেনাসদস্য, এটুআই প্রতিনিধি, ই-ক্যাব প্রতিনিধি ছাড়াও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবে।
ঢাকা/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন