ফেব্রুয়ারি যেমন ভাষা আন্দোলনের মাস থেকে ভাষার মাস হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে, তেমনি ডিসেম্বর হয়েছে বিজয়ের মাস। ঘটনা যদিও মধ্য ডিসেম্বরে অর্থাৎ ১৬ই ডিসেম্বর।
বিজয় দিবসটি হওয়া উচিত ছিল সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন। এই দিনটি আমরা নিয়মমাফিক পালন করি বটে কিন্তু এর ভেতরের যে তেজ যে ইতিহাস ও যে আনন্দ আজ তার অনেককিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
উনিশশ’ একাত্তর সালে সংঘটিত বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক কবিতা। সে সময়ের অসংখ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে একটি কবিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়।
ডিসেম্বর মাস এলেই মনের অজান্তে অনেক স্মৃতি মনে এসে ভিড় করে। আমরা যারা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ ৯ মাস জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছি তাদের কাছে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য একটু ভিন্নমাত্রার।
নাম ঠিক করা হলো ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র।’ সম্ভবত দু’দিন অধিবেশনের পর মেজর জিয়ার কথা বলে লেফটেন্যান্ট শমশের মবিন চৌধুরী ‘বিপ্লবী’ শব্দটি বাদ দিতে বললেন। তাই হলো।
প্রত্যাশা পূরণ হলো স্বাধীনতাকামী বাঙালির। কিন্তু আমরা মুদ্রার অপর পিঠের দিকে তাকাইনি। ভেবে দেখিনি জামায়াত, নেজামে ইসলাম বা মুসলিম লীগের মতো পাকিস্তানপন্থি দল বা রাজাকারদের কথা।
দেশে এখন কৃষ্ণপক্ষ চলছে ঠিকই। কিন্তু আলোয়-আলোয় উদ্ভাসিত করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনতে নবজাগরণের প্রস্তুতি চলছে ঘরে ঘরে। নতুন সূর্য উদয় হবেই। তাই ভয় কী!
যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতার সূর্য ওঠে বাংলাদেশের দিগন্তে। দেশের জন্য আত্মত্যাগী সেই সাত বীরশ্রেষ্ঠের স্বজনরা কেমন আছেন? কী অবস্থায় আছে তাদের স্মৃতিস্থানগুলো? বীরশ্রেষ্ঠদের কথা পড়ুন বিস্তারিত।
আমার পুত্র ফয়সল দীপন, তাকে আমি প্রাণাধিক প্রিয়রূপে অনুভব করতাম, আজ নেই। মনে হয়েছিল সবকিছু বুঝি থেমে গেল! আমি, আমরা থেমে গেলাম! কিন্তু কিছুই তো থামে নি। সব কিছু চলছে।
পাকিস্তানি শাসকরা সব সময় বলত ইসলাম বিপন্ন। এ জন্য দায়ী বাংলাদেশের মানুষ। অথচ শেষ রাতে যখন আজান হচ্ছে সেই আজানের ধ্বনি ভেদ করে চলে গেল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলি।
চিত্র সাংবাদিক রবিন সেনগুপ্ত। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘মুক্তিযুদ্ধে বন্ধু সম্মাননা’ পদকে ভূষিত করা হয়। সমীর চক্রবর্তীর সঙ্গে কথোপকথনে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধের নানা কথা।
মে মাসে মুজিবনগর যাই। যাত্রাপথে বিভিন্ন জায়গায় বাধার মুখে পড়তে হয়। একদিন মাগুরা দিয়ে যাওয়ার সময় প্যারামিলিশিয়ার হাতেও ধরা পড়ি। কিন্তু বুদ্ধি খাটিয়ে সেখান থেকে বেঁচে ফিরি।
সবার ভেতরই প্রচণ্ড উত্তেজনা। চারটা কখন বাজবে! আমাদের গানও রেকর্ড করতে হবে তার আগে। বিজয় ঘোষণার প্রথম মুহূর্তেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বাজানো হবে সেই গান।
তাদের বুকে দাউ দাউ করে জ্বলছে প্রতিশোধের আগুন। তারা কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে পঁচাত্তরে দেখেছি। এখনো দেখছি কখনো পেট্রোলবোমার বীভৎসতায়; কখনো বা চাপাতির রক্ত-লোলুপতায়।
৭ মার্চের পর ঢাকা শহরে অভ্যুত্থানের চিত্র ফুটে ওঠে। বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে প্রতিদিন কর্মীরা মিছিল নিয়ে যেত। মূলত সেই মিছিলের চিত্র দেখেই ইয়াহিয়া সরকার ২৫ মার্চ রাতে হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়।
আমাদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন সহকারী কমান্ডার মেজর হায়দার। তার শেষ কথা ছিল- প্রয়োজনে যেন নিজের জন্মদাতাকেও ক্ষমা না করি। সেই শপথের কথা অনেকেই মনে রাখতে পারিনি।