ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘মানুষের সেবা করে শান্তি পাই, তাদের সুখ-দুঃখ অনুভব করতে পারি’

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৬, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মানুষের সেবা করে শান্তি পাই, তাদের সুখ-দুঃখ অনুভব করতে পারি’

ক্রীড়া প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনীতিতে আসার কারণ জানিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নড়াইলের হয়ে কেন নির্বাচন করছেন সেটাও ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার মনের সব কথা শোনা হয়নি।

সামনা সামনি আনুষ্ঠানিক কথা হচ্ছিল না, ব্যাট-বলেও মিলছিল না। অথচ তার মনের সব কথা শোনার অপেক্ষায় ছিল পুরো বাংলাদেশ। তাইতো নিজ থেকে সামনে এলেন। সংবাদ সম্মেলন হবে তা আগেই জানিয়ে দিলেন। সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের একটাই উদ্দেশ্য, রাজনীতি আর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের শেষ টানা। তাই-হলো।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজকে সামনে রেখে প্রতিদিনের মতো আজও প্রস্তুতি নিয়েছেন। প্রস্তুতির আগে সংবাদ সম্মেলন হলো প্রায় পনের মিনিটে। সংবাদ সম্মেলনে একটার পর একটা বাউন্সার! আজ ব্যাট নেই। কিন্তু বাউন্সারগুলো সামলালেন দারুণ ভাবে।  

প্রশ্ন: আজকের সংবাদ সম্মেলন কেন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: খেলার আগে নির্বাচন নিয়ে আপনাদের কাছ থেকে আর কোন প্রশ্ন না হোক, এই জন্য করা… এখনই করে ফেলা আর কি!

প্রশ্ন: এই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে এলেন না ব্যক্তিগতভাবে এলেন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: আমি ব্যক্তিগতভাবেই বলছি, কালকে রাবিদ ভাইয়ের (মিডিয়া ম্যানেজার) সঙ্গে আলাপ করেছি যে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে। উত্তরগুলো দেওয়া উচিত আমার মনে হয়। আজ হোক কাল হোক আমার ফেস করতেই হতো। খেলার মধ্যে যাতে এই প্রশ্নগুলো না হয় এইজন্যই আমার আসা।

প্রশ্ন: কেন নির্বাচন করছেন? ক্রিকেটের প্রতি আওয়ামী লীগের অবদানের কারণেই কি আপনাকে নির্বাচন করতে অনুপ্রাণিত করেছে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: যদি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধরেন, আমি যেটা চিন্তা করেছি...আর সাত থেকে আট মাস বাকি আছে। বিশ্বকাপের পর আমার ক্যারিয়ার যদি শেষ হয়, সামনের সাড়ে চার বছরে কি হবে আমি জানি না। এখন আমার একটা সুযোগ আসছে…মানুষের সেবা করা এটা আমি সব সময় উপভোগ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন। আপনারা জানেন, আমার একটা ফাউন্ডেশন আছে, আমার এলাকার জন্য কিছু কাজ করার। আমার মনে হয় এটা আমার জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ তাদের জন্য কাজ করার। স্রেফ এখান থেকেই মনে হয়েছে নির্বাচন করার। হয়তো সাড়ে সাত-আট মাস পর তো আবার জাতীয় নির্বাচন হবে না।

প্রশ্ন: ক্রিকেটের বাইরে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মানুষজনের সঙ্গে উঠা-বসা আছে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: না এখনও সেই সুযোগ পাইনি। যাওয়ার সুযোগ হয়নি। সিরিজটা খেলার পর যাবো। নড়াইলের মানুষজনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আমি যেতে পারিনি, গেলে আমার যেই কাজ গুলো আছে সেগুলো আমি করবো।

প্রশ্ন: নির্বাচন করার মূল ভাবনাটা কি?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: এটা বললাম আগে…আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই শেষের দিকে। না আমি শচিন টেন্ডুলকার, না আমি ম্যাকগ্রা, যে আমার কথা মানুষ স্মরণ রাখবে। আমি আমার মত করেই ক্রিকেটটা খেলেছি। আমার স্ট্রাগলিং লাইফে যতটুক পেরেছি খেলেছি। তবে আমি সবসময় মানুষের জন্য কাজ করতে পেরেছি, উপভোগ করেছি। এটা আমার ছোটবেলার শখ ছিল বলতে পারেন। যেই সুযোগটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, এখন বৃহৎ পরিসরে যদি কিছু করা যায়।

প্রশ্ন: ভিন্ন দলের মন্তব্য কেমন শুনছেন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে আপনার নিজের ব্যক্তিত্ব থাকা উচিত। আপনি যদি কোনো দলকে সাপোর্ট করেন তাহলে অবশ্যই সেটা প্রকাশে বলা উচিত। এমন অনেকেই আছে যারা সাপোর্ট করে কিন্তু বলতে পারে না। প্রত্যেকে যে যার দল করে তাঁর সম্মানটা থাকা উচিত এবং তাঁর মতে করে দেশের জন্য কাজ করবে এই মানসিকতাই থাকা উচিত। যারা মন্তব্য করছে বা করবে তা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই।

প্রশ্ন: বিশ্বকাপের পর খেলবেন কিনা রিভিউ করবেন বলে জানালেন। সাংসদ হয়ে গেলে আর খেলাটা চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে কিনা…
মাশরাফি বিন মুর্তজা: প্রথমত আমার লক্ষ্য বিশ্বকাপ পর্যন্তই থাকবে। বিশ্বকাপ পর্যন্ত আট মাসের ব্যাপার। আট মাস পর্যন্ত যেভাবে খেলে আসছি ওইভাবে খেলার চেষ্টা করব। আমার ব্যাক্তিগত লক্ষ্যও ছিল বিশ্বকাপ। পরে সেটা রিভিউ করব কিনা সেই সময়ই বলে দেব।

প্রশ্ন: দেশের মাশরাফি থেকে দলের মাশরাফি হওয়া…
মাশরাফি বিন মুর্তজা: এটা খুবই স্বাভাবিক। উদ্দেশ্য যেটা পরিস্কার, আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, যদি সুযোগ পাই কাজ করব। আগেও বললাম আমি বিশ্ব ক্রিকেটে এমন কোন সুপারস্টার না আট মাস পরে আমি যখন খেলা ছেড়ে দিব তখন জনে জনে মানুষ স্মরণ করবে।

প্রশ্ন: তরুণদের কি স্বপ্ন দেখাতে চান। এরকম তরুণ অনেকে এসে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছে, অনেকের বড় বড় কথা শুনি। আপনি গতানুগতিক রাজনীতিতে গা ভাসাবেন না বলে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: দেখেন আমি স্বপ্ন দেখাতে আসিনি! যদি গতানুগতিক হয়ে থাকে গতানুগতিক কথা বলতেও চাই না। যেটা হয়ত কাল আপনি মেলাতে পারবেন না। সেই সুযোগটা যদি আমার আসে, এখনি চিন্তা করার সুযোগ নাই যে আমি নির্বাচিত হয়ে গেছি। নির্বাচিত হওয়ার পর যদি আপনাদের মনে হয় রিভিউ করতে আমার কাজ তখন করবেন। এখন আসলে বলা কঠিন।

প্রশ্ন: নড়াইলের সমর্থন কেমন পাচ্ছেন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: সমর্থন…আলহামুদুলিল্লাহ ভালো আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এখনই যেতে পারিনি। তাই পুরোপুরি বলাটা কঠিন। খেলার পরে গেলে বুঝতে পারব।

প্রশ্ন: আপনার নির্বাচন নিয়ে বিসিবি প্রধান, প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা হয়েছে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: না কারো সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়নি।

প্রশ্ন: কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় তো দেশ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। এখন কেন তাহলে রাজনীতিতে এসে দেশ নিয়ে কথা বলছেন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: নাহ। এত গভীর রাজনীতি আমি করিনি, জানিও না। যেটা পরিস্কারভাবে বললাম আমার উদ্দেশ খুব সহজ, যেটা মানুষের জন্য করে শান্তি পাই। তাদের সুখ-দুঃখ অনুভব করতে পারি। ততটুকু। আমাকে যদি ডিপ লেভেলের পলিটিশিয়ান ভাবেন সেটা আমি এখনো হয়তবা না, হইনি। তাই আমাকে ওই পর্যায়ে ভাবলে আমার প্রতি অবিচার হবে। আমার অভিজ্ঞতাটা একদমই নতুন। তবে আমি যেটা বলেছি ভাল কাজ করতে চাই। সেটা হয়ত সামনে দেখা যাবে কতটুকু করতে পারি।

প্রশ্ন: দেশের ক্রিকেটে মাশরাফির অবদান থাকবে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: দেশের ক্রিকেটের কথা যেটা বললাম, আলহামুদুলিল্লাহ ভালোই চলছে। এখন যারা আছেন তারা ভালো করছে। আমার অবস্থান থেকে যতটুকু সাপোর্ট দেওয়ার ততটুকু দেব।

প্রশ্ন: পরবর্তীতে বোর্ডে আসতে চান কিনা?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: আমি তো আগেই বললাম সামনে কি হবে জানি না। নির্বাচন হলে নির্বাচনে জিততে হবে। সো এই পর্যায় পার না হলে বলা যায় না কিছুই।

প্রশ্ন: আপনার এলাকাতে নড়াইল ফাউন্ডেশন দিয়ে তো করছিলেন, রাজনীতিতেই কেন যোগ দিতে হবে। সেটা দিয়ে হতো না….
মাশরাফি বিন মুর্তজা: এবার আপনাকে আমি জিজ্ঞেস করি আমার ফাউন্ডেশনে কি কি কাজ হয়েছে বলতে পারবেন!

হ্যাঁ রাস্তা তৈরি করেছেন...হাসতাপালের পরিকল্পনা করছেন...
মাশরাফি বিন মুর্তজা: একটাও কিন্তু ঠিক হয়নি। আমি রাস্তা কিন্তু করতে পারিনি। আপনাদের সব কিছু পরিস্কার না কিন্তু। আমি ফাউন্ডেশন করে যেটা বুঝেছি, অনেক কিছুই কাজ করেছি। এটা সত্যি কথা। মানুষ জানে না, এমনকি নড়াইলের মানুষও জানে না। যেটা বললাম করার চেষ্টা করেছি। যে সুযোগটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন যে আরেকটু বড় পরিসরে করা সেটাই।

প্রশ্ন: রাজনীতিতে এসে পুরো স্পোর্টসের ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা আছে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: এগুলা তো অনেক পরের ব্যাপার, এখন কীভাবে বলব…

প্রশ্ন: আপনার কাজ কি হবে এলাকার উন্নয়ন না আইন প্রণয়ন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: আসলে আইন প্রনয়ণ করা তো জানি। আমি তো দেখেছি এই পর্যায় থেকেও অনেক সাহায্য আসে। সরকার থেকেও অনেক সহযোগিতা আসে। যেগুলা এখান থেকে যাওয়ার পর ঠিকভাবে বন্টনের ব্যাপার আছে। আমি চেষ্টা করব এই ব্যাপারটা ঠিকমতো করার।

প্রশ্ন: নির্বাচনে আপনার দল না জিতলে আপনার ভবিষ্যত?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: হতে পারে, কালকে আপনার জীবনে কী ঘটবে আমি, আপনি জানি না। আমার জীবনে কী ঘটবে সেটাও আমি জানি না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি পরিস্কার মানসিকতা নিয়ে যাচ্ছি কিনা। আমি শুধু নিজেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কালকে আমার সাথে কী হবে সেটা জানি না। তাই এতকিছু ভাবার সুযোগ এখনো নাই।

প্রশ্ন: আপনার পরিবার থেকে কি বাধা পেয়েছেন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: খুব স্বাভাবিক, ধরেণ পরিবারকে জানোর পর যেটা হয়েছে...এটা সম্পূর্ণ নতুন জিনিস তাদের জন্য। তাদের জন্যও মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে, আমারও লাগবে। এটাই স্বাভাবিক। হয়তো বা ওইভাবে রাজনীতিতে আমার বাসায় কেউ করেনি। এটাই সত্যি। তো কিছুটা সময় তো তাদেরও লাগবে মানিয়ে নিতে।

প্রশ্ন: পরিবারকে কীভাবে মানালেন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: মানামানি…(হাসি)। সবাইকে যেটা বললাম মানিয়ে নিতে হবে।

প্রশ্ন: তরুণদের প্রতি আপনার বার্তা কি থাকবে…
মাশরাফি বিন মুর্তজা: আমি মাত্র বললাম আমার নিজেকে আমি নিয়ন্ত্রণ করি। নিজেকে ঠিক জায়গায় নিতে পারি কি না, সেটা আমি দেখি। ২০০১ সালে যখন আমার অভিষেক হয় আমি তরুণদের আইকন ছিলাম না। আমি আমার কাজটা মন দিয়ে করে গেছি, তারপর এ অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছি। আর নির্বাচিত হলে আমার কাজটা ঠিকমতো করার চেষ্টা করব, তারপর দেখা যাক কী হয় ।

প্রশ্ন: আপনার প্রতিপক্ষের থেকে আপনি সুযোগ্য কিভাবে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: আমি তো সেটা একবারও বলিনি যে আমি সুযোগ্য!  কিংবা আমি আপনার চেয়ে বেটার। তাকে আমি সম্মান করি। তাকে অসম্মান করে আমি কীভাবে বলব উনার চেয়ে আমি বেটার। সেটা অবশ্যই আমি বলব না। এ অবস্থায় আমি নিশ্চয় যাব না। অবশ্যি আমি চাই আমি আমার মতো করে বলব। আরেকজনকে ছোট করে আমি বড় হবে সেই সুযোগ নিশ্চয় নেই। দেখুন, আমি একজন স্পোর্টসম্যান। ওখানেও এই মানসিকতা কিছুটা থাকতে হবে। ওখানে গিয়ে আমি তাকে বলতে পারব না, ওর চেয়ে আমি ভালো, আমাকে আপনারা ভোট দেন, সেই সুযোগ আমার নাই।

প্রশ্ন: আপনাকে মানুষ ভোট কেন দেবে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: ভোট তো সবার একটা একটা করে। আমার ভোট একটা, আপনার ভোটও একটা। যিনি ভোট দেবেন উনার কাছে যদি মনে হয় আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে তাহলে আমাকে ভোট দেবে। আমার যতটুকু করণীয় আছে, সেটা আমি করব। বাদ বাকি উনার ব্যাপার উনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ভোট দিবে কি না দিবে না। সেটার নিয়ন্ত্রণ আমার কাছে নাই। আমি আমার তথ্যটাই যতটুকু দিতে পারি। ভোট তো দিবে নির্দিষ্ট সেই মানুষটা।

প্রশ্ন: আপনাকে কি আদর্শ নেতা হিসেবে বাংলাদেশের জনগন পেতে যাচ্ছে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: আমি এখনো আদর্শ হইনি। আমি কাজ করার পর দেখব কী হয়। আপনারা দেখবেন। ভালো কাজ করল একটা ভালো প্রভাব পড়তে পারে।

প্রশ্ন: মাঠে নামার আগে তো প্র্যাকটিস করেন। প্রথম নির্বাচনের আগে প্র্যাকটিস জরুরী না…
মাশরাফি বিন মুর্তজা: আমি কোনো প্র্যাকটিস করিনি। আমি এখনো পুরোপুরি খেলায় আছি। আমার একটা শক্তি আছে, যখন যে কাজটা করি সেটা মন দিয়ে করতে পারি। এটাই আমার শক্তি। আমি এখন খেলা নিয়ে ভাবছি। খেলা শেষ করে যখন যাব তখন পুরোপুরি মন দেব।

প্রশ্ন: তিন দিন পরে সিরিজ, সব কথা রাজনীতি নিয়ে, পুরোপুরি ক্রিকেটে আছেন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: এই জন্যই (রাজনীতি নিয়ে) আমি আজ প্রেস কনফারেন্সে আসছি যাতে পোস্ট ম্যাচে আর কেউ রাজনীতি নিয়ে কথা না বলেন। না হলে, ম্যাচের আগের দিন যদি প্রেস কনফারেন্স করতাম এই প্রশ্নগুলো তখন হতো। আমি ব্যক্তিগভাবে মনে করেছি আপনাদের মনে যদি প্রশ্ন থাকে তাহলে এখনি ফেস করা উচিত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ডিসেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়