ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শ্রদ্ধা-স্মরণে অভিনেতা খলিল উল্লাহ খান

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২০, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শ্রদ্ধা-স্মরণে অভিনেতা খলিল উল্লাহ খান

বিনোদন প্রতিবেদক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা খলিল উল্লাহ খান। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় রুপালি জগৎ দাপিযে বেড়িয়েছেন তিনি। অভিনয় ক্যারিয়ারে আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। ফুসফুস, লিভার ও কিডনির জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে গুণী এই শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জীবদ্দশায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন খলিল। আজ তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন। এজন্য আগামীকাল শনিবার বাদ আসর বিএফডিসিতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে শিল্পী সমিতি।

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও শিল্পী সমিতিতে খলিল ভাইয়ের অবদান রয়েছে। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে শিল্পী সমিতি মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করেছে। তাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’

খলিল উল্লাহ খান ১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এমসি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে ১৯৫১ সালে যোগ দেন আনসার বাহিনীতে। ১৯৫৯ সালে জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে খলিলের সিনেমায় পদার্পণ। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র-‘প্রীত না জানে রীত’, ‘সংগম’, ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে কঁহু’, ‘জংলি ফুল’, ‘আগুন’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ওয়াদা’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘বউ কথা কও’, ‘কাজল’ প্রভৃতি।

১৯৬৬ সালে এস এম পারভেজ পরিচালিত ‘বেগানা’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর বহু সিনেমায় তাকে খলচরিত্রে দেখা গেছে। ইতিহাস নির্ভর ‘ফকির মজনু শাহ’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেও তিনি ভূয়সী প্রশংসা পান। ১৯৬৫ সালে ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খলিল আত্মপ্রকাশ করেন পরিচালক হিসেবে। এছাড়া ‘সিপাহী’ ও ‘এই ঘর এই সংসার’ নামে দুটি সিনেমা প্রযোজনাও করেন তিনি।

শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ধারাবাহিক ‘সংশপ্ত’ নাটকে তার ‘মিয়ার বেটা’ চরিত্র দর্শকনন্দিত হয়। ‘টাকা আমার চাই, নইলে জমি’ ফেলু মিয়ার (মিয়ার বেটা) এই সংলাপ তখন ছিল ব্যাপক আলোচিত। ২০১২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় এই অভিনেতাকে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ ডিসেম্বর ২০১৮/রাহাত/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়