ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে সিটিকে হারিয়ে সেমিতে টটেনহাম

শামীম হোসেন পাটোয়ারি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৫৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে সিটিকে হারিয়ে সেমিতে টটেনহাম

ক্রীড়া ডেস্ক: কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে এক গোল করে এগিয়ে ছিল টটেনেহাম হটস্পার। ফিরতি লেগে গতকাল ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে হেরেছে দলটি। তবে গোল আর পাল্টা গোলের জমজমাট লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে টটেনহাম। মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলের কল্যাণে পেপ গার্দিওলার দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে মাউরিসিও পচেত্তিনোর দল।

শেষ আটের ফিরতি লেগে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে টটেনহামকে স্বাগত জনায় ম্যানসিটি। ইংলিশ লিগে শিরোপা জয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকা দলটিকে টটেনেহামের বিপক্ষে গতকাল ফেবারিট ভেবেছিল অনেকেই। কিন্তু জমজমাট লড়াই শেষে সিটিজেনদের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে সফরকারীরা। প্রথম লেগে টটেনহাম এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। গতকাল ফিরতি লেগে সিটির মাঠে তারা হারে ৩-৪ ব্যবধানে। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ গোলে সমতা হলেও প্রতিপক্ষের মাঠে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ৩টি অ্যাওয়ে গোলই এগিয়ে দিয়েছে টটেনহামকে।

নাটকীয় এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শেষ চারে ওঠার কীর্তি গড়লো টটেনহাম। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ শেষ ষোলোয় রিয়াল মাদ্রিদ ও কোয়ার্টার-ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারানো ডাচ আয়াক্স।

একের পর এক আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের মাত্র ২১ মিনিটের মধ্যে ৫ গোল হয়। ৪ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের পাস থেকে টটেনহামের কিয়েরন ট্রিপিয়েরকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে হুগো লরিসকে পরাস্ত করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড রহিম স্টার্লিং। তবে এর মাত্র তিন মিনিট পরই সমতায় ফেরে টটেনহাম। ডি বক্সের বাঁ দিক দিয়ে বল পাঠান ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। বল পায়ে নিয়ে ৮ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন সন হিউং মিন।



তবে সমতাসূচক গোলের পর আবারও দলকে এগিয়ে দেন সন হিউং মিন। ম্যাচের ১০ মিনিটেই তার দ্বিতীয় গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় টটেনহাম। এরিকসেনের বাড়ানো বলে ১৭ গজ দূর থেকে উঁচু ও কোনাকুনি শটে জালে জড়ান দক্ষিণ কোরিয়ার এ ফরোয়ার্ড। তবে এর পরের মিনিটেই বের্নার্দো সিলভার গোলে সমতায় ফেরে সিটি। সার্জিও আগুয়েরোর কাছ থেকে বল পেয়ে শট নিলে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক লরির হাতে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়।

ইতিহাদের দর্শকদের উত্তেজনা বাড়িয়ে ম্যাচের ২১ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় সিটি। ডি ব্রুইনের দারুণ পাস থেকে ডান দিক দিয়ে টটেনহামের পোস্টে বল পাঠান স্টার্লিং। বিশ্রামের পর ম্যাচের ৫১ মিনিটের শট ঠেকিয়ে স্টার্লিং হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেন লরিস। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ডি ব্রুইনের পাস থেকে সিটিকে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন সার্জিও আগুয়েরো।

ম্যাচের ৭৩তম আবারও জালের দেখা পায় টটেনহাম। কিরান ট্রিপিয়ারের কর্নারে উড়ে আসা বল ছোট ডি-বক্সে স্পেনের ফের্নান্দো লরেন্তের ঊরুতে লেগে জালে জড়ায়। বল তার হাতে লেগেছিল কি-না, ভিএআর দেখে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। দুই লেগ মিলে গোল সমান হলেও অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থাকায় শঙ্কা বাড়তে থাকে সিটির দর্শকদের।

যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে স্টার্লিং জালে বল পাঠালে উচ্ছ্বাসে মাতে স্বাগতিক সমর্থকরা। সাইডলাইনে কোচ পেপ গার্দিওলার উল্লাস ছিল দেখার মতো। তবে সব আনন্দ মাটি হয়ে যায় কিছুক্ষণ পরেই। আগুয়েরো অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্যে বাতিল হয় গোল। ম্যাচ শেষে সিটি খেলোয়াড়দের চোখে মুখে ছিল হতাশা। পুরো মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় দুর্দান্ত খেলে ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে চোখের জল নিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।






রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৯/শামীম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়