ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কোচ হওয়ার জন্য নিজেকে যোগ্য ভাবেন মাহমুদ

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২৫, ২০ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কোচ হওয়ার জন্য নিজেকে যোগ্য ভাবেন মাহমুদ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করবেন খালেদ মাহমুদ সুজন। দীর্ঘ মেয়াদে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্যও নিজেকে যোগ্য মনে করেন প্রাক্তন এই পেসার। তবে তার মতে, এখনো স্থানীয় কোচের প্রতি আস্থা সেভাবে হয়নি বোর্ডের।

বিশ্বকাপের পরপরই প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে বিসিবি। কদিন আগে কোচ নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে বোর্ড। যেখানে আবেদন করার শেষ তারিখ ছিল ১৮ জুলাই। শুক্রবার শ্রীলঙ্কা সফরের আগে সংবাদ সম্মেলনে খালেদ মাহমুদকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি আবেদন করেছেন কি না?

মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি ১৮ তারিখ পর্যন্ত কোনো আবেদন করিনি। এটি বোর্ডের পালসের ব্যাপার। আসলে সব বিভাগে বিদেশি কোচই আসে। এখনো স্থানীয় কোচের প্রতি আস্থা সেভাবে হয়নি বোর্ডের। তবে আমি নিজেকে যোগ্য মনে করি, কতটুকু যোগ্য আমি জানি না। তবে আমি মনে করি এটি রকেট সাইন্স না, একটি দলের কোচিং করানো। যেটা অন্যান্য কোচরা করে, ধরেন সবাই বলে যে লেভেল ৩-৪ করা, আমরাও লেভেল ৩ করেছি ২০০৬-০৭ সালে। আর করার পর যে আমরা বসে ছিলাম এমনটা না। মাঠে কাজ করেছি।’

স্থানীয় কোচ নিয়ে কাজ করার কিছু সুবিধাও দেখালেন প্রাক্তন এই পেসার, ‘আমি মনে করি যেহেতু আমি এদেশে বড় হয়েছি, এই ছেলেদের সাথে খেলেছি বা মাঠে গিয়েছি তাই আমার জন্য পরিকল্পনা করা আরো সহজ হবে। এই কারণে একেকজনের মানসিকতা আসলে দ্রুত বুঝতে পারি। এটি মানসিক একটি খেলা আমি মনে করি। কারণ একটা মানুষ ১১টা মানুষকে এক করে, একটি টিম স্পিরিট তৈরি করে ম্যাচ জেতানোর একটা ব্যাপার থাকে। আমি মনে করি সেটা আমি পারি। নতুন কোচ আসলে যেটি হয় একটি দলকে চেনা, নতুন খেলোয়াড়দের চেনা, তাদেরকে বোঝা-এটি করতে করতে হয়তো অনেক সময় চলে যায়, যেটি হয়তো বা আমার লাগবে না। জুনিয়র দলের খেলোয়াড় যারা আছে তাদের সবার সাথে কাজ করে আমি অভ্যস্ত আসলে।’

মাহমুদ তুলে ধরলেন তার কোচিং ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতাও, ‘আমার কোচিং ক্যারিয়ার ১৩-১৪ বছর হয়ে গেল, বিভিন্ন বড় দলকে কোচিং করিয়েছি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কথা না ধরি, অন্তত বিপিএলে শেষ ৫-৬ বছর ধরে প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করছি। চিটাগংয়ে ছিলাম, পরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে কাজ করেছি। সুতরাং এখন আমার কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা আছেই। আর আমি যেটা বললাম যে এটি রকেট সাইন্স না। আমার ক্রিকেটের হাতে খড়ি ১৩ বছর বয়স থেকেই। ক্রিকেটের সাথেই আছি, অন্যান্য কোচের সাথে কাজ করেছি, তাদের কাজ দেখেছি, তারা কী করতে চায়, কীভাবে একটি দলকে সামলাতে হয়। মানে এটি সম্পূর্ণ আমার ইচ্ছার ব্যাপার। আমার ইচ্ছাটা কতটুকু, আমি কতটা প্যাশনেট এই ব্যাপারে। আমি মনে করি ক্রিকেটের ব্যাপারে আমি আসলে দারুণ প্যাশনেট।’

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জুলাই ২০১৯/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়