ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

প্রস্তুতি ম্যাচে এলো জয়

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ২৩ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রস্তুতি ম্যাচে এলো জয়

ক্রীড়া ডেস্ক: বোলাররা শুরুতে ভালো বোলিং করলেও শেষটা ছিল নির্বিষ। ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ছিল উল্টো। শুরুর ব্যাটসম্যানরা ইনিংস বড় করতে না পারলেও মিডল অর্ডার ও লেট অর্ডার জ্বলল সময়মতো। তাতে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মিলল দারুণ এক জয়।

প্রস্তুতি ম্যাচে প্রস্তুতিটা আসল। জয়-পরাজয়ের থেকে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া মুখ্য। বিশ্বকাপের ব্যর্থ মিশনের পর বাংলাদেশের পরবর্তী যাত্রা কেমন হয় সেটাই ছিল দেখার। তাই সবার চোখ ছিল আজকের প্রস্তুতি ম্যাচে। দলের সেরা দুই তারকা সাকিব ও মাশরাফি নেই। ইনজুরিতে নিয়মিত খেলোয়াড় সাইফউদ্দিন। তাদের ছাড়া লঙ্কান বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে লড়াই বাংলাদেশ দলের।

টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে তোলে ২৮২ রান। জবাবে ১১ বল আগে ৫ উইকেট হাতে রেখে দারুণ জয় তুলে নেয় সফরকারীরা।

 

বোলিংয়ে নতুন বলে রুবেল হোসেন ছিলেন দুর্দান্ত। দারুণ গতির সঙ্গে সুইং পাচ্ছিলেন ডানহাতি পেসার। তাই সাফল্য আসতে সময় নেয়নি। তৃতীয় বলে তার শিকার ডিকভেলা। পাঁচ ওভার পর রুবেলের দ্বিতীয় শিকার ওসাদা ফার্ন্দান্দো। স্কোরবোর্ডে ৩২ রান তুলতে তৃতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা।

দলে ফেরা পেসার তাসকিন আহমেদ আউট করেন দানুশকা গুনাথিলাকাকে। চতুর্থ উইকেটে ধানুকা রাজাপাকশা ও শিহান জয়াসুরিয়া ৮২ রানের জুটি গড়েন। এ জুটি ভাঙার পর দ্রুত উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এক সময় মনে হচ্ছিল তারা দুইশ রানও করতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়ান দাশুন শানাকা। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৬৩ বলে ৬টি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে তোলেন ৮৬ রান। তার সঙ্গে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন আপিন্সো ।

৭ ওভারে ৩১ রানে ২ উইকেট নেন রুবেল। দলে ফেরা তাসকিন ৮ ওভারে ৫৭ রানে পেয়েছেন ১টি। পার্টটাইমার সৌম্য ৬ ওভারে ২৯ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।

 

লক্ষ্য তাড়ায় তামিম ও সৌম্যর শুরুটা ছিল ভালো। ৪৫ রানের জুটি গড়েন দুই বাঁহাতি। তামিম খানিকটা আগ্রাসন দেখালেও সৌম্য ছিলেন সতর্ক। কিন্তু বাড়তি সতর্ক থাকতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন সৌম্য। লাহিরু কুমারা বলে ১৩ রানে ক্যাচ দেন অপোন্সোর হাতে। তামিমও কুমারার বলে আউট হন ৩৭ রানে। তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন মুশফিক ও মিথুন। বাংলাদেশ ম্যাচ জয়ের ভিত পেয়ে যায় সেখানেই।

মুশফিক ২২ গজে নেমে দারুণ সব শটে রান পাচ্ছিলেন। মিথুন ধীর গতিতে আগাচ্ছিলেন।  মুশফিক ৪১ বলে পেয়ে গিয়েছিলেন ফিফটি। কিন্তু তাকে থেমে যেতে হয় সেখানেই। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে আউট হন ৫০ রানে।

উইকেটে নেমে দ্রুত রান তোলেন মাহমুদউল্লাহ। আগে থেকে ক্রিজে থাকা মিথুনও দ্যুতি ছড়িয়ে যান নিজের মতো করে। মাহমুদউল্লাহ ৩৩ রানে বিদায় নিলেও মিথুন ছিলেন অনসং। হাফ সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু তাকে ৯১ রানে থামান রাজিথা। ১০০ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কা সাজান সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি। মিথুন আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশ জয়ের থেকে ২৩ রানে দূরে ছিল। জয়ের বাকি কাজটুকু সারেন মোসাদ্দেক ও সাব্বির। সাব্বির ২৬ বলে ৩১ ও মোসাদ্দেক ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

 

তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মিথুন ও সাব্বিরের রানে ফেরা বাংলাদেশ দলের জন্য খুবই উপকারী। বলার অপেক্ষা রাখে না শ্রীলঙ্কা সিরিজে তাদের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছু। 

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে আগামী ২৬ জুলাই। ২৮ ও ৩১ জুলাই পরবর্তী দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি ম্যাচই হবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জুলাই ২০১৯/ইয়াসিন/শামীম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়