ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

হ্যাটট্রিক জয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২২, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হ্যাটট্রিক জয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

বিপর্যয়ের মুখে নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেনের ফিফটি দলকে এনে দিয়েছিল লড়াকু পুঁজি। পরে বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে নেপালকে ৪৪ রানে হারিয়ে এসএ গেমসের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।

ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট মাঠে শনিবার আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে করেছিল ১৫৫ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১১ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিক নেপাল।

টানা তৃতীয় জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে শ্রীলঙ্কারও।

আগামী সোমবার ফাইনালে সোনার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। তার আগে রোববার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচেও মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল নেপাল। ব্যাটিংয়ে নেমে নেপালের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার পরশ খড়কার বোলিংয়ে অন্ধকার দেখছিল বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ওভারেই তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নাঈম শেখ। আগের ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে ঝড়ো ফিফটি করা সৌম্য সরকারও এদিন ব্যর্থ। খড়কার পরের ওভারে তিন বলের মধ্যে ফেরেন সৌম্য ও সাইফ হাসান। তখন ১৬ রানেই নেই ৩ উইকেট!

এরপর প্রথমে ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক শান্ত। ইয়াসির ১৪ রান করে ফিরলে ভাঙে ৪৩ রানের জুটি।

ইয়াসিরের বিদায়ের পর পঞ্চম উইকেটে আফিফের সঙ্গে বড় জুটি গড়েন শান্ত। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। আফিফ ২৮ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করে শেষ ওভারে আউট হলে ভাঙে ৯৪ রানের জুটি।

পরের বলে ডাক মেরে ফেরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শান্ত শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। নেপালের হয়ে খড়কা চার ওভারে ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট।

জবাবে নেপালও ১৪ রানের মধ্যেই হারায় ৩ উইকেট। এর মধ্যে চতুর্থ ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেন তানভীর ইসলাম।

চতুর্থ উইকেটে ৩২ রানের একটা জুটি পেয়েছিল নেপাল। এ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। তাদের অর্জন এটাই যে, অন্তত অলআউট হয়নি।

সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন নেপালের অধিনায়ক গায়েন্দ্র মাল্লা। দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেনই আর মাত্র দুজন; আইরি (১৬) ও বোহারা (১৩*)।

বাংলাদেশের হয়ে তানভীর, সৌম্য, সুমন খান ও মেহেদী হাসান নেন ২টি করে উইকেট। হাসান মাহমুদ উইকেট না পেলেও চার ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৯ রান।  



ঢাকা/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়