ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আজকের সুপারস্টারকেও এমন দিন দেখতে হবে : মাশরাফি

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ১৩ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আজকের সুপারস্টারকেও এমন দিন দেখতে হবে : মাশরাফি

অবসর, বিদায়ী ম্যাচ, মাঠ থেকে বিদায় কিংবা অধিনায়কত্ব; গত কয়েকদিন ধরে এ শব্দগুলো মাশরাফির কানের পাশে ভনভন করে ঘুরছে। বারবার করছে ‘বিরক্ত’! কিন্তু তার কথা পরিষ্কার। শব্দগুলো স্পষ্ট।

‘আমি খেলতে চাই পরিষ্কার করেই তো বলেছি। আগের দিনও পরিষ্কার করে বলেছি যে, আমি ঢাকা লিগ খেলব। বিপিএল আছে বিপিএল খেলব। আমি এটা উপভোগ করছি। আমি তো মনে হয় না বলেছি, জাতীয় দলে খেলব। আপনি বলেন, এখানে (বিপিএল) যে ৭০-৮০ জন ক্রিকেটার খেলছে তারা কি সবাই জাতীয় দলের আশা করে খেলছে? অবশ্যই না। খেলাটা খেলে যাচ্ছি। জাতীয় দল নিয়ে যারা আছে তারা ভাববেন’- সোমবার বলেছেন মাশরাফি।

ব্যাট-প্যাড উঠিয়ে রাখতে চান না মাশরাফি। এখনই ছাড়তে চান না ২২ গজ। বিপিএলের সপ্তম আসরের মিশন শেষ তার। তার দল ঢাকা প্লাটুন এদিন বিদায় নিয়েছে এলিমিনেটর থেকে। বিপিএলের চারবারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক খেলতে চান আগামী মৌসুমেও।

তবে অবসর বিষয়ক আলোচনা মোটেও বিব্রত করছে না মাশরাফিকে। বরং বাস্তবতা বোঝালেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক, ‘যারা আজ সুপারস্টার, পাঁচ বছর পর তাদের সঙ্গেও এরককম পরিস্থিতি আসতে পারে। এটাই জীবন। কেউ হয়তো বা খুব ভালো অবস্থায় চলে যেতে চায়। কেউ হয়তো বলছে খেলাটা উপভোগ করছি তাই খেলি। জাতীয় দল বা অন্য কোথায়, সেটা যে যেভাবে দেখছে। আমি যা প্রত্যাশা করেছিলাম তাই হচ্ছে।’

‘বাংলাদেশে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা মাঠ থেকে অবসরে যায়নি। আমার থেকেও বড় খেলোয়াড় আছে। হাবিবুল বাশার সুমন তো বাংলাদেশের হয়ে ক্রাইসিস মোমেন্ট সব সময় রান করেছেন। তিনিও মাঠের থেকে অবসরে যায়নি। সুজন ভাই (খালেদ মাহমুদ) হয়তো করতে পেরেছে’- যোগ করেন মাশরাফি।

মাশরাফিকে বিশ্বকাপের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করে বিদায় দিতে চেয়েছিল বোর্ড। কিন্তু মাশরাফি সময় চাওয়ায় বোর্ড পিছিয়ে যায়।বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান রোববার আবার বলেছেন, আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে মাশরাফিকে বিদায় দিতে চান তারা।

মাশরাফি অবশ্য নিজের সিদ্ধান্তেই অটল, ‘আমি সব সময় চিন্তা করি ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দের অভিভাবক। তাদের বিপক্ষে যাওয়াকে আমি কখনোই আমার ক্যারিয়ারের গর্ব মনে করিনি এবং কখনো মনে করবও না। আমি মনে করি খেলোয়াড়কে সর্বোচ্চ প্রধান্য দেওয়া উচিত তার ক্রিকেট বোর্ডকে। খেলোয়াড়কে ক্রিকেট বোর্ডেরই দেখাশোনা করতে হয়। ক্রিকেট বোর্ডকে আন্তরিক ধন্যবাদ যে তারা আমার বিদায়ী ম্যাচ বা অবসরের বিষয়ে চিন্তা করেছে। আমার বার্তা পরিষ্কার, আমার ইচ্ছা নাই।’


ঢাকা/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়