ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বুড়িগঙ্গা জোন থেকে নকআউট পর্বে খুলনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ২১ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বুড়িগঙ্গা জোন থেকে নকআউট পর্বে খুলনা

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় চলমান ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০’ এ আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন জোনে ১৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

বুড়িগঙ্গা জোনে খুলনা জেলা ২-১ গোলে নড়াইল জেলাকে হারিয়ে নকআউট পর্বে নাম লিখিয়েছে। প্রথম দেখায় নড়াইলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল খুলনা। আজ খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিরতি ম্যাচে সাব্বির ও জান্নাতের গোলে জয় পায় স্বাগতিকরা। যদিও ম্যাচের ২০ মিনিটে নড়াইলের জনি বিশ্বাস গোল করে এগিয়ে নিয়েছিলেন দলকে।

এ ছাড়াও আজ জয় পেয়েছে বরিশাল জেলা, ঝালকাঠি জেলা, যশোর জেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলা, চাঁদপুর জেলা, নীলফামারী জেলা ও দিনাজপুর জেলা।

বরিশালের আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাগেরহাট জেলাকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় স্বাগতিক বরিশাল। দলের হয়ে গোল করেন সুমন, মশিউর, শংকর ও শাহেদ। বাগেরহাটের শরীফ একটি গোল শোধ দেন। বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ঝালকাঠি জেলা ১-০ গোলে হারায় ভোলা জেলাকে। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন ঝালকাঠির রিমন।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক জেলা ২-০ গোলে হেরে যায় যশোরের কাছে। যশোরের কংকর বিশ্বাস ৩২ ও ৮১ মিনিটে গোল দুটি করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে মাগুরা ও ঝিনাইদহের মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে চুয়াডাঙ্গা ১-০ গোলে হারায় স্বাগতিক জেলাকে। সুনামগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার ১-১ গোলে ড্র করে।  নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া ও হবিগঞ্জের মধ্যকার ম্যাচটিও ১-১ গোলে ড্র হয়। চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক জেলা ২-১ গোলে হারায় নরসিংদী জেলাকে।

শেখ কামাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে নীলফামারী জেলা ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ঠাকুরগাঁও জেলাকে। নীলফামারীর হয়ে হ্যাটট্রিক করেন আপন চন্দ্র (১৪,৬১ ও ৬৮ মি.)। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে পঞ্চমগড় ও লালমনিরহাটের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রংপুর ও গাইবান্ধা ১-১ গোলে ড্র করে। দিনাজপুর জেলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক জেলা ২-১ গোলে হারায় কুড়িগ্রাম জেলাকে।

১৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে মাঠে গড়ানো এই টুর্নামেন্টে জেলা ফুটবল দলগুলোকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতলক্ষা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা চিত্রা ও সুরমা জোনে ভাগ করা হয়েছে। সুরমা বাদে প্রতি অঞ্চলে আটটি করে দল রয়েছে। আট দলকে চার জোড়ায় ভাগ করে নক আউট পদ্ধতিতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে চারটি দল জিতবে। এই চার দলের মধ্যে আবার দুই জোড়া করে নকআউট পর্বে খেলা হবে। সেই নকআউট পর্বে জয়ী দুটি দলের মধ্যে জোনাল চ্যাম্পিয়নের লড়াই হবে। জোনাল চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্তপর্বে খেলবে। আট জোন থেকে আটটি ও সার্ভিসেস দল থেকে দুটিসহ মোট ১০টি দল চূড়ান্তপর্ব খেলবে।

সুরমা অঞ্চলে কিশোরগঞ্জ না থাকায় মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপ ভিত্তিক খেলবে।

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ৬৩টি জেলা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড ও সার্ভিসেস দলসহ মোট ৭৮টি দল অংশ নিয়েছে।

জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোকে এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ও সার্ভিসেস,বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডকে ৫০ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রত্যেক দলকে দুই সেট জার্সি দেওয়া হয়েছে। ঘরের মাঠে লাল জার্সি ও অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পড়ে খেলা হচ্ছে।


ঢাকা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়