ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

এবারও ফিলিস্তিনই চ্যাম্পিয়ন

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০২, ২৫ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এবারও ফিলিস্তিনই চ্যাম্পিয়ন

তৃতীয় সারির দল নিয়ে এসেও শিরোপা অক্ষুন্ন রাখার ঘোষনা দিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের কোচ মাকরাম দাবুব। যেমন কথা তেমন কাজ। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে মধ্য আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় দাবুবের শিষ্যরা। এশিয়া-আফ্রিকার ফুটবল লড়াইয়ে জয়ী হয় এশিয়া।

আগের আসরের ফাইনালে অবশ্য দারুণ পরীক্ষা দিতে হয়েছিল দ্য নাইটসদের। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় জিতেছিল ৪-৩ ব্যবধানে। এবার ২৬ মিনিটের মধ্যেই তারা লিড নেয় ৩-০ গোলে। বুরুন্ডির রক্ষণভাগের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শুরুতেই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যায় তারা।

এদিন ম্যাচের ৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় ফিলিস্তিন। এ সময় ফিলিস্তিনের অধিনায়ক সামেহ মারাবা ক্রসে বল বাড়িয়ে দেন মোহাম্মদ ডারউইশকে। ডারউইশ চিপ করে বল বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের মধ্যে থাকা খালেদ সালেমকে। সালেমের দারুণ ফিনিশিংয়ে শুরুতেই এগিয়ে যায় ফিলিস্তিন।

৯ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক সামেহ মারাবা। এ সময় কর্নার পায় ফিলিস্তিন। মাহমুদ আবুওয়ারদার নেওয়া কর্নার কিক বুরুন্ডির রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ক্লিয়ার করেন। কিন্তু বল আবার চলে যায় মাহমুদের কাছে। তিনি সেখান থেকে ক্রসে আবার ডি বক্সের মধ্যে পাঠান। বুরুন্ডির রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় হেড দিয়ে ক্লিয়ার করেন। বল চলে যায় মারাবার কাছে। মারাবা ট্যাপ করেন। বল সবার মাথার উপর দিয়ে গিয়ে গোললাইনের ভেতরে পড়ে।

২০ মিনিটে গোল শোধ করার সুযোগ পেয়েছিল বুরুন্ডি। কিন্তু ফিলিস্তিনের গোলরক্ষক তৌফিক আবুহাম্মাদে রক্ষা পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এ সময় ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন বুরুন্ডির রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিতিমানা হামজা। সেটি রুখে দেন গোলরক্ষক তৌফিক। তার হাত ফসকে বল চলে আসে সামনে। সেখান থেকে শট নেন বুরুন্ডির আরেক রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আসমান দিকুমানা। সেটিও রুখে দেন তৌফিক।

২৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। এ সময় ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে শট নেন খালেদ সালেম। কিন্তু তার নেওয়া শট পোস্ট কাঁপিয়ে ফিরে আসে। সেখান থেকে বল পান লাইথ খারুব। তার নেওয়া শট পোস্ট ঘেষে জালে আশ্রয় নেয় (৩-০)।

৩৬ মিনিটে গোলের দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করেছিল বুরুন্ডি। এবারও ফিলিস্তিনের গোলরক্ষক দুর্দান্ত সেইভ করেন। এ সময় ডানদিক থেকে বুরুন্ডির ব্লানচার্ড গাবোনজিজা ক্রসে বল দেন হামজা হিতিমানাকে। তার নেওয়া জোরালো শট ধরে ফেলেন ফিলিস্তিনের গোলরক্ষক তৌফিক। তাতে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে বুরুন্ডি।

বিরতির পর ৫৫ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল বুরুন্ডি। এ সময় ফরোয়ার্ড বেঞ্জামিন গাসোংগো গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। তিনি তার পায়ে মেরে দেন। ৬০ মিনিটে ব্যবধান কমায় মধ্য আফ্রিকার দেশটি। এ সময় কর্নার পায় বুরুন্ডি। কর্নার থেকে বল চলে যায় ব্লানচার্ড গাবোনজিজার কাছে। বাম পায়ে তার নেওয়া জোরালো শট ফিলিস্তিনের রক্ষণভাগের একজনের হাতে লেগে চলে আসে আসমান দিকুমানার কাছে। তার নেওয়া শট জালে জড়ায় (৩-১)।

বাকি সময়ে আরো বেশি কিছু সুযোগ তৈরি করে তারা। কিন্তু বাংলাদেশের মতো সেগুলোর কোনোটি থেকেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি। তাতে হারও এড়াতে পারেনি বুরুন্ডি। ৩-১ গোলে হেরে প্রথমবার অংশ নিয়েই ফাইনালে উঠে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মধ্য আফ্রিকার দেশটিকে।

চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন ট্রফি, মেডেল ও ৩০ হাজার ডলার প্রাইজমানি পায়। রানার্স-আপ বুরুন্ডি ট্রফি, মেডেল ও ২০ হাজার ডলার প্রাইজমানি পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি ও বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাহউদ্দিনসহ অন্যান্যরা।

 

ঢাকা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়