ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রংপুর, মাগুরা ও রাজশাহী বোর্ডের বড় জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রংপুর, মাগুরা ও রাজশাহী বোর্ডের বড় জয়

‘ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০’ এর দ্বিতীয় রাউন্ড তথা কাপ পর্বে শনিবার বিভিন্ন জোনে ১৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জয় পেয়েছে ১২টি দল। তার মধ্যে বড় জয় পেয়েছে রংপুর, মাগুরা, চাঁদপুর ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।

বুড়িগঙ্গা অঞ্চলে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মেহেরপুর জেলা ৩-১ গোলে হারায় নড়াইল জেলাকে। ব্রহ্মপুত্র অঞ্চলের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নীলফামারি জেলা ২-০ গোলে হারিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলাকে। এই অঞ্চলের অপর ম্যাচে রংপুর জেলা ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লালমনিরহাট জেলাকে। আর পঞ্চগড় ও গাইবান্ধার মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে দিনাজপুর জেলা।

বুড়িগঙ্গা অঞ্চলের যশোর ও ঝিনাইদহের মধ্যকার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। এই অঞ্চলের চুয়াডাঙ্গা ও খুলনার মধ্যকার ম্যাচটিও ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। অপর ম্যাচে গোপালগঞ্জ জেলাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে মাগুরা জেলা।

চিত্রা অঞ্চলের ভোলা ও বাগেরহাটের মধ্যকার ম্যাচে ভোলা জেলা ২-০ গোলে হারিয়েছে বাগেরহাট জেলাকে। এই অঞ্চলের অপর ম্যাচে বরিশাল জেলা ২-০ গোলে হারিয়েছে ঝালকাঠি জেলাকে। পিরোজপুর জেলাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বরগুনা জেলা। পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা জেলার মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।

সুরমা অঞ্চলের ম্যাচে নরসিংদী জেলা ২-০ গোলে হারিয়েছে হবিগঞ্জ জেলাকে। এই অঞ্চলের অপর ম্যাচে চাঁদপুর জেলা ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে। পদ্মা অঞ্চলের ম্যাচে শরীয়তপুর জেলা ও ঢাকার জেলার মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। 

এদিকে সেবা অঞ্চলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ২-০ গোলে হারিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে। তবে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ১০-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে।

২৪ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় রিউন্ডের কাপ ও প্লেট পর্বের দুই লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৩১ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে কাপ ও প্লেট পর্বের ফাইনাল। কাপ পর্বের ফাইনালে বিজয়ী দল চূড়ান্তপর্বে উন্নীত হবে।

১৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে মাঠে গড়ানো এই টুর্নামেন্টে জেলা ফুটবল দলগুলোকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতলক্ষা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা চিত্রা ও সুরমা জোনে ভাগ করা হয়েছে। সুরমা বাদে প্রতি অঞ্চলে আটটি করে দল রয়েছে। আট দলকে চার জোড়ায় ভাগ করে নক আউট পদ্ধতিতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে চারটি দল জিতবে। এই চার দলের মধ্যে আবার দুই জোড়া করে নকআউট পর্বে খেলা হবে। সেই নকআউট পর্বে জয়ী দুটি দলের মধ্যে জোনাল চ্যাম্পিয়নের লড়াই হবে। জোনাল চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্তপর্বে খেলবে। আট জোন থেকে আটটি ও সার্ভিসেস দল থেকে দুটিসহ মোট ১০টি দল চূড়ান্তপর্ব খেলবে।

সুরমা অঞ্চলে কিশোরগঞ্জ না থাকায় মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপ ভিত্তিক খেলবে।

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ৬৩টি জেলা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড ও সার্ভিসেস দলসহ মোট ৭৮টি দল অংশ নিয়েছে।

জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোকে এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ও সার্ভিসেস,বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডকে ৫০ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রত্যেক দলকে দুই সেট জার্সি দেওয়া হয়েছে। ঘরের মাঠে লাল জার্সি ও অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পড়ে খেলা হচ্ছে।

 

ঢাকা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়