আশরাফুল-ইয়াসিরে ফাইনালে ইস্ট জোন
এক সেশনের চেয়ে কিছু বাড়তি সময়ে ২১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে হতো ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনকে। ইয়াসির আলী ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেটে সে জয় তুলে নেয় দলটি। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা রান করা ইয়াসির টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলে ম্যাচে দ্বিতীয় শতক তুলে নেন। এদিকে ৭০ রান করে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আশরাফুল।
আজ কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষে ২১০ রানের লিড নেয় নর্থ জোন। আগের দিনের ১৪৫/৫ সংগ্রহ নিয়ে সকালে মাঠে নামে চলতি বিসিএলে জয়হীন থাকা দলটি। আগের দিনের ২৩ রানের সঙ্গে মাত্র ১৫ যোগ করতে ফেরেন মুশফিক। তবে টেলএন্ডারদের নিয়ে শেষদিকে লড়াই চালিয়ে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মাহিদুল অঙ্কন, করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান। এছাড়াও সানজামুল ২৪ ও সঞ্জিত করেন ২৬ রান।
তবে বল হাতে ঘূর্ণি তুলে তাদের থামান ইস্ট জোনের নাইম হাসান। শেষ চার উইকেটের তিনটি তুলে নেন এ ডানহাতি অফস্পিনার। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট পাওয়া বোলার দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন ৫ উইকেট। ম্যাচে তার মোট শিকার ১৩ উইকেট। তার বোলিং জাদুতে ২৬৯ রানে গুটিয়ে যায় নর্থ জোন।
২১১ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন ইস্ট জোনের ব্যাটসম্যানরা। তবে ১৮ রানে ওপেনার পিনাক ঘোষকে হারায় দলটি। দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ রানের জুটি গড়ে জয় নাগালে নিয়ে আসে ইয়াসির-আশরাফুল। যেখানে টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলতে থাকা ইয়াসির ৮৮ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় করেন ১১০ রান। ইয়াসির ফিরলেও ইস্ট জোনের অধিনায়ক ইমরুলকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন আশরাফুল। ৩৪.৫ ওভারে ৬ রান রেটে ২ উইকেটে ২১১ রান তাড়া করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ইস্ট জোন। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ সাউথ জোন।
ঢাকা/কামরুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন