দারুণ সেঞ্চুরিতে আশরাফুলকে টপকে গেলেন মুশফিক
সেঞ্চুরি পেতে মুশফিকের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে শেষ ওভার করতে এসেছিলেন এনদোভু। বাঁহাতি স্পিনারের ওভারের চতুর্থ বল সুইপে বাউন্ডারিতে পাঠালেন মুশফিক।
শেষ দুই বলে কি ১ রান হবে? প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনা মিরপুরে। আরেকটি শতকের অপেক্ষা। মাইলফলকে পৌঁছতে মুশফিক ঝুঁকি নিলেন না। বলের পেছনে গিয়ে শেষ দুই বল খেললেন।
পাক্কা ৪০ মিনিটের বিরতি। ফিরেও অপেক্ষা করেছেন। ষষ্ঠ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি।
পেসার টিরিপানোর পাঁচ বল দেখে শুনে খেলেন। পরের ওভারে এনদোভুকে কভার ও পয়েন্টের গ্যাপ দিয়ে চার হাঁকিয়ে বলে তিন অঙ্কের স্বাদ পান।
মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির পর মুশফিকের উচ্ছ্বাস ও উদযাপন ছিল চোখে পড়ার মতো। মনে হচ্ছিল মুমিনুল নয় সেঞ্চুরি এসেছে মুশফিকের ব্যাটে। নিজের সেঞ্চুরিরর পর মুশফিক উদযাপনে দেখালেন ভিন্নতা। ব্যাট ড্রেসিং রুম ও গ্যালারির দিকে তাক করে ছুঁড়ে মারার ইঙ্গিত দিলেন। এরপর হেলমেট খুলে দুই হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন।
১০ ইনিংস পর মুশফিকের ব্যাট থেকে আসল সেঞ্চুরি। সবশেষ ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মিরপুরেই, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার সপ্তম সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়।
ভারতের বিপক্ষে রয়েছে তার ২টি সেঞ্চুরি। এছাড়া ১টি করে সেঞ্চুরি আছে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হয়েছে তিনবার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৯৫, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ৯৩ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৯২ রানে আউট হয়েছিলেন মুশফিক।
৩২ রানে দিনের খেলা শুরু করেছিলেন মুশফিক। দারুণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় শুরুতেই হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পেসার ত্রিপানোর বল দ্বিতীয় স্লিপ ও গালির মাঝ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ৯৫ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ওই চারে মুমিনুল ও তার জুটির শতরানও পূর্ণ হয়।
২২ গজে তার আগ্রাসন চলতে থাকে। পয়েন্ট ও গালি দিয়ে একাধিক বল পাঠিয়েছেন বাউন্ডারিতে। হাফ সেঞ্চুরির আগে বাউন্ডারি ছিল ১০। হাফ সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে যেতে বাউন্ডারি মেরেছেন আরও ৮টি। উইকেটের দুই পাশেই প্রায় সমান রান করেছেন মুশফিক। অন সাইডে রান করেছেন ৫০, অফ সাইডে ৫৩।
সপ্তম সেঞ্চুরিতে আশরাফুলকে টপকে গেছেন মুশফিক। ২০১৮ সালের নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাওয়া ডাবল সেঞ্চুরিতে আশরাফুলকে ছুঁয়েছিলেন মুশফিক। মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরি সংখ্যা ছয়টি।
দেশের হয়ে সবথেকে বেশি নয়টি সেঞ্চুরি তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের। সাকিব আল হাসান পাঁচটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চারটি সেঞ্চুরি পেয়েছেন টেস্টে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন