ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অধিনায়ক পন্টিংয়ের সবচেয়ে খারাপ অধ্যায় ‘মাঙ্কিগেট’ বিতর্ক

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ১৯ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অধিনায়ক পন্টিংয়ের সবচেয়ে খারাপ অধ্যায় ‘মাঙ্কিগেট’ বিতর্ক

রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ৩২৪ ম্যাচে জিতেছিল ২২০টি। নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তার অধীনে দুটি করে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল অজিরা। ২০০৬-০৭ অ্যাশেজে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডকে ৫-০ তে উড়িয়ে দেয় পন্টিংয়ের দল। এত সাফল্যের মাঝেও যে খারাপ সময় কাটেনি, তা কিন্তু নয়। নেতৃত্বের সবচেয়ে খারাপ সময় হিসেবে পন্টিং বেছে নিলেন ২০০৮ সালের ‘মাঙ্কিগেট’ বিতর্ককে।

১৯৮৭ সালের পর ২০০৫ সালে প্রথমবার ইংল্যান্ডের কাছে অ্যাশেজ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া, ওই দলের অধিনায়ক ছিলেন পন্টিং। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ওই হারে। কিন্তু ওই ব্যর্থতার চেয়ে মাঙ্কিগেট বিতর্ক বেশি নাড়া দিয়েছিল অধিনায়ক পন্টিংয়ের মনকে। কারণ ওই ঘটনার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন তিনি।

মেলবোর্নে প্রথম টেস্টে ৩৩৭ রানের বিশাল জয়ে সিরিজ শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সিডনিতে দ্বিতীয় টেস্টে বাধে গোলমাল। ম্যাচের তৃতীয় দিন অজি অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে ‘বানর’ বলেছিলেন ব্যাটিংয়ে থাকা হরভজন সিং। বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করায় পরের তিন টেস্ট নিষিদ্ধ হন ভারতীয় স্পিনার। ক্ষুব্ধ ভারত সিরিজের মাঝপথেই দেশে ফেরার হুমকি দিয়েছিল। বিতর্কিত ম্যাচটি পঞ্চম দিনে গড়ালে শেষ বিকেলে দারুণ বোলিংয়ে ভারতকে অলআউট করে ১২২ রানের রোমাঞ্চকর জয় পায় স্বাগতিকরা।

ওই ঘটনা যে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া দলে, তা টের পাওয়া গেছে পার্থে পরের টেস্ট হারে। মাঙ্কিগেট বিতর্কের পর থেকে সাইমন্ডসের ক্যারিয়ারও নিচের দিকে নামতে থাকে। সব মিলিয়ে বিতর্ক আর দলের সার্বিক পরিস্থিতিতে পন্টিংও ছিলেন উদ্বিগ্ন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ অধ্যায় মাঙ্কিগেট বিতর্ক। ২০০৫ সালের অ্যাশেজ হার ছিল কঠিন, কিন্তু ওই পরিস্থিতির ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল আমার। কিন্তু মাঙ্কিগেট বিতর্ক নিয়ে যা হলো, তার ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’

কারণটা আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন ২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক, ‘এত দিন ধরে এটা চলেছিল বলে বেশি খারাপ লাগছিল। মনে পড়ে, অ্যাডিলেড টেস্টে ম্যাচ চলাকালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়ালদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছিল। কারণ, ওই ম্যাচের পরই এটা নিয়ে শুনানি হয়েছিল।’

বিরোধটা সরাসরি সাইমন্ডস ও হরভজনের মধ্যে হলেও দুই দলেই বেড়েছিল তিক্ততা। তারই প্রভাব পড়েছিল খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে। দুটি ম্যাচই বড় ব্যবধানে জেতা অজিরা পার্থে হেরে যায় ৭২ রানে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছিল বললেন পন্টিং, ‘মাঙ্কিগেট বিতর্কের পরিণতি দেখে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছিল। পরের টেস্টে কীভাবে খেলবো, সেটা ভাবতে পারছিলাম না। পার্থ টেস্ট আমাদের জেতার কথা থাকলেও হেরে গিয়েছিলাম। পরের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছিল।’



ঢাকা/ফাহিম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়