ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঈদের পর ঢাকা লিগ চায় কোয়াব

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ৯ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঈদের পর ঢাকা লিগ চায় কোয়াব

করোনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে আছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। দেশের সবচেয়ে জমজমাট ক্রীড়া আসর আবার কবে মাঠে গড়াবে তা নিশ্চিত করে কেউ-ই বলতে পারছেন না।

পরিস্থিতি এখনও অনুকূলে আসেনি। জীবনযাত্রা পুরোপুরি স্থবির। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বাড়ছে আক্রন্তের সংখ্যা। এমতাবস্থায় মাঠে খেলা গড়ানোর সিদ্ধান্ত খুব কঠিন বটে। কিন্তু খেলোয়াড়দের কথা বিবেচনা করে ঈদুল ফিতরের পর লিগ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেরায় অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইউরোপে ফুটবল লিগ শুরু হচ্ছে। সেই পথে হেঁটে ক্রিকেট শুরুর আহ্বান জানিয়েছে কোয়াব। এজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসকে (সিসিডিএম) আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোয়াব।

শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সে কোয়াবের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে কোয়াবের সভাপতি ও বিসিবির পরিচালক নাঈমুর রহমান দূর্জয় এবং কোয়াবের সহ-সভাপতি ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন এবং জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল ইসলাম যোগ দেন। তাদের সবার মতামতের প্রেক্ষিতে ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে লিগ শুরুর আবেদন করতে চায় কোয়াব।

কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেছেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের আর্থিক দিক বিবেচনায় লিগ শুরুর পক্ষে। ঢাকা লিগ দিয়ে প্রচুর খেলোয়াড় নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। বিশেষ করে বিসিবির চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের বড় আয় আসে এখান থেকে। এজন্য আমরা লিগ শুরু করতে চাই। সবার আগে আমরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করবো। আমরা একমত হয়েছি, বিসিবির কাছে আবেদন করবো। বাকিটা বিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে।’

বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিসিডিএম-এর সমন্বয়ক আমিন খান বলেছেন, ‘দেখুন পরিস্থিতি কোন দিকে যায় আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের চাওয়ার উপর সব নির্ভর করছে না। বিসিবির অনুমতি লাগবে। বিসিবিকে সরকারের থেকে লিগ শুরুর অনুমতি নিতে হবে। পরিস্থিতিটা ভয়াবহ। একক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।’

জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে গত ১৫ মার্চ লিগ শুরু হয়েছিল। এবার পুরো আসরে পাওয়া যেত জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। ফলে মাঠের লড়াইয়ে বাড়তি রোমাঞ্চ ও উত্তেজনা ছড়াতো। ঢাকার ক্লাবগুলোর লড়াই মানেই অন্যরকম আমেজ। গ্যালারিতে হই-হুল্লোড় আর পারফর্ম করার অদৃশ্য চাপ। এখানে পান থেকে চুন খসলেই শুনতে হয় দুয়োধ্বনি! আবার দলকে জেতালে, পারফর্ম করলে পাওয়া যায় রাজকীয় আতিথ্য। কিন্তু করোনায় সবকিছুতেই ফুলস্টপ পড়ে গিয়েছে। 

 

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়