ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শেষ পর্যন্ত লড়াই করার শিক্ষা রিয়ালেই পেয়েছি: মার্সেলো

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ৪ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
শেষ পর্যন্ত লড়াই করার শিক্ষা রিয়ালেই পেয়েছি: মার্সেলো

চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১২ বার শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টানা তিন বছর এ শিরোপা জিতেছিল স্পেনের সেরা ক্লাবটি। এর আগে ২০১৪ সালেও শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতে রিয়াল। সব মিলিয়ে পাঁচ বছরে চারটি শিরোপা পেয়েছিল রোনালদো, রামোস,মার্সেলোরা।

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে মার্সেলোর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০০৭ সালে রিয়ালে যোগ দেন মার্সেলো। ব্রাজিলের সুপারস্টার স্পেনের ক্লাবটির হয়ে অর্জন করেছেন অনেক শিরোপা। শেষ চ্যাম্পিয়নস লিগে তার পারফরম্যান্সে উড়েছিল রিয়াল। মার্সেলো জানালেন, লস ব্লাঙ্কোসের জার্সিতে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। তা হলও, শেষ পর্যন্ত লড়াই করার শিক্ষা, হারার আগেই না হারার মানসিকতা।

রিয়াল টিভিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মার্সেলো বলেন,‘আমি যখন মাদ্রিদে যোগ দেই তখন থেকেই দলের সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। আমি একটা জিনিসই শিখেছি, এখানে জিততে হবে। হারার আগে হারলে চলবে না। ফাইনাল খেলতে হবে, জিতবে হবে। এটা আমি মাদ্রিদেই পেয়েছি। আমরা যখন সব কিছু জিতে যাব তখনই শুধু নিজেদের নিয়ে গর্ব করতে পারব।’

শিরোপা জয় নিয়ে মার্সেলো বলেন,‘কোনও শিরোপা জয়ের পর আমরা স্বাভাবিকভাবেই উদযাপন করি। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের স্বপ্ন সেখানেই থেমে থাকে না। সামনে কোন ট্রফি জিততে চাই তা নিয়ে চলে আলোচনা। আরও জিততে হবে। আরও ট্রফি পেতে হবে। এরকম একটা ভাবনা চলে আসে। আমার এখনও মনে আছে তিনবার টানা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পরও আমরা এমন কথাই বলেছিলাম।’

২০১৭ সালের ৩ জুন রিয়াল নিজেদের ১১তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল। ওই ট্রফিকেই নিজের স্মরণীয় ফাইনাল বলছেন মার্সেলো। তার ভাষ্য,‘ ২০১৭ সালের ফাইনালটা দারুণ ছিল। প্রথমার্ধে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের পারফরম্যান্সে সব পাল্টে গেল। আমরা ৪-১ এ শিরোপা জিতেছিলাম। আমার মনে আছে ড্রেসিংরুমে সবাই একটা কথাই বলেছিল, এটা ফাইনাল। এরপর সর্বশেষ। কিভাবে জিততে হবে সেটা আমরাই খুব ভালো করে জানি।’

‘আমরা কড়া ডিফেন্স করেছিলাম। ফাইনালে পিছিয়ে গেলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যেত। আমরা জানতাম আমাদের গোল করার ক্ষমতা আছে ঠিক তেমনই গোল হজমেরও সুযোগ আছে। এজন্য সর্বদা সতর্ক থাকতে হতো। শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের মনোবল শক্ত রাখতে পেরেছি এবং ফাইনাল জিতেছি।’ – যোগ করেছেন মার্সেলো।

কার্ডিফে সেদিন ম্যাচের ২০ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায়। সাত মিনিটের ব্যবধানে মারিও মানজুকিচ গোল করেন। ১-১ গোলে সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। অথচ বিরতির পর তিন গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ইতালির শীর্ষ দলটি।

কাসেমিরো ৬১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান। ৬৪ মিনিটে রোনালদো নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ৯০ মিনিটে জুভেন্টাসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন মার্কো অ্যাসেনসিও। বলার অপেক্ষা রাখে না, জুভেন্টাসের দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী। অন্যদিকে রোনালদো, মার্সেলোরা ছিলেন নিজেদের সেরা ফর্মে। তাতে স্রেফ উড়ে যায় জুভেন্টাস।

 

ঢাকা/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়