মনোহর ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করেছে: শ্রীনিবাসন
২০১৪ সালের জুনে আইসিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট সংগঠক এন শ্রীনিবাসন। দায়িত্ব নেওয়ার পর ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে ‘বিগ থ্রি’ ধারণার প্রবর্তন করেন শ্রীনি। মূলত আইসিসির রাজস্বের একটা বড় অংশ এই তিন বোর্ড ভাগাভাগি করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সেটি। একইসঙ্গে বাকি দেশগুলোর উপর ছড়ি ঘুরানোও হতো। এ নিয়ে সে সময় অনেক সমালোচনাও হয়েছিল। তবে সেসব উপেক্ষা করে নিজের কাজে অটল ছিলেন শ্রীনি। তবে পাশার দান বদলে যায় শশাঙ্ক মনোহরের কারণে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে নাটকীয় এক পালাবদলে তাকে সরানোর পর দায়িত্ব পান মনোহর।
আর তাই মনোহরের উপর চাপা ক্ষোভ ছিল শ্রীনিবাসনের। বুধবার আইসিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়ার পরই তাই মনোহরকে একদম ধুয়ে দিলেন শ্রীনি। আইসিসির এই সাবেক চেয়ারম্যানের মতে, মনোহর একজন ভারত-বিরোধী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের বিশাল ক্ষতি করেছেন। এমনকি করোনার এই মহামারির সময় আইসিসির দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে স্বার্থপরের মতো কাজ করেছেন।
শশাঙ্ক মনোহরকে আক্রমণ করে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সাবেক চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসন বলেছেন, ‘বিসিসিআইয়ে নতৃন নেতৃত্ব (সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে বর্তমান বোর্ড) আসার পরই শশাঙ্ক বুঝে গেছে, সে আর ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে না। আর এই সুযোগই সে কাজে লাগিয়েছে। সে জানত যে তাঁর দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার উপায় নেই, এজন্যই পদত্যাগ করেছে সে (মনোহর)। সে আসলে পালিয়ে যাচ্ছে; কারণ সে জানে, ভারতীয় বোর্ডের এখনকার নেতৃত্বের কাছ থেকে কোনো সম্মান সে পাবে না।’
মনোহর আইসিসির দায়িত্বে বসে ভারতের ব্যাপক ক্ষতি করেছে দাবি করে শ্রীনি আরও যোগ করেন, ‘আর্থিকভাবে ভারতীয় ক্রিকেটের বিশাল ক্ষতি করেছে সে। আইসিসিতে ভারতের যে সুযোগ ছিল, সেদিক দিয়েও বড় ক্ষতি করেছে সে। মনোহর চূড়ান্ত ভারত বিরোধী এবং বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সে ভারতীয় ক্রিকেটের এতটাই ক্ষতি করেছে যে তাঁর বিদায়ে ভারতের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যক্তি দারুণ খুশি হবে।’
সদ্য সাবেক মনোহরকে আক্রমণ করে আইপিএলে চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক শ্রীনি আরও যোগ করেন, ‘মনোহরের বিদায় ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য স্বস্তির। শশাঙ্ক কখনোই লড়াইয়ে টিকে থাকার লোক নয়। ২০১৫ সালে সে ভারতীয় বোর্ড ছেড়েছে চরম দুর্যোগের সময়। এখন মহামারির মধ্যে আইসিসি ছেড়ে পালাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি যে এমন লোক আর আইসিসিতে নেই।’
গতকাল এক বিবৃতিতে আইসিসি মনোহরের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁর পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাজা। পরে নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক করা হবে নতুন চেয়ারম্যান। আর সপ্তাহখানেকের মধ্যে সে প্রক্রিয়াও শুরু করার কথা রয়েছে আইসিসির।
ঢাকা/কামরুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন