ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

১৯৭০: লাল কার্ড ও হলুদ কার্ডের প্রচলন শুরু 

মোহাম্মদ মেহেদী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০১, ৫ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৭:০৩, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
১৯৭০: লাল কার্ড ও হলুদ কার্ডের প্রচলন শুরু 

আয়োজক: মেক্সিকো, দল: ১৬, ভৈন্যু: ৫, ফাইনাল: ব্রাজিল ও ইতালি, জয়ী: ব্রাজিল (৪-১), ইতিহাস: জুলে রিমে কাপের ইতি। তিনটি শিরোপা জিতে চিরতরে নিজেদের ঘরে জুলে রিমে ট্রফি নিয়ে যায় সেলেকাওরা। ব্রাজিলের জিয়ারজিনহো প্রতি ম্যাচেই গোল করে বিশ্বকাপের ইতিহাসে জায়গা করে নেন।

প্রথমবারের মতো ল্যাতিন আমেরিকা আর ইউরোপের বলয় থেকে বেরিয়ে আসে বিশ্বকাপ। বিতর্ক এড়াতে সে বছর থেকে টানা দুটি বিশ্বকাপ এক মহাদেশে আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। তাই সে বছর বিশ্বকাপ আয়োজকের তালিকায় ছিল না ইউরোপিয় কোনো দেশ। ল্যাতিন আমেরিকা থেকে আগ্রহ দেখায় পেরু, আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। মোট ছয়টি দেশ ছিল স্বাগতিক হওয়ার তালিকায়। বাকি তিনটি দেশ –অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও মেক্সিকো। ফিফার ১৩৮টি দেশের ভোটাভুটিতে আর্জেন্টিনাকে সামান্য ব্যবধানে হারিয়ে মেক্সিকোই আয়োজন করে বিশ্বকাপের নবম আসর।

বাছাই পর্বে অনুষ্ঠিত হয় মোট ১৭২টি ম্যাচ। আর মূল পর্বে যথারীতি ৩২টি ম্যাচ। মেক্সিকোর মোট ৫টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচগুলো। আগের মতোই এবারও গ্রুপিং করা হয়। ১৬টি দলকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রত্যেক গ্রুপে ৪টি করে দল অংশ নেয়। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপদের নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।

আরো পড়ুন:

সেবার গ্রুপ পর্বে বড় অঘটন ঘটেনি। তবে এশিয়া থেকে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে দুটি দলকে রুখে দেয় ইসরাইল। সুইডেনকে ১-১ গোলে আটকে দেওয়ার পর শক্তিশালী ইতালির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে দলটি। কোয়ার্টার ফাইনালেও প্রত্যাশিতভাবেই জয় পায় উরুগুয়ে, ব্রাজিল, ইতালি ও পশ্চিম জার্মানি। প্রথম সেমিফাইনালে উরুগুয়েকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ব্রাজিল। তবে অপর সেমিফাইনালে হয় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ৪-৩ গোলে ম্যাচটি জিতে নেয় ইতালি। তবে জার্মানদের বিশ্বাস সে ম্যাচে ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার সুস্থভাবে পুরো ম্যাচ খেলতে পারলে জয় পেতো তারাই। এমনকি বিশ্বকাপটাও জিতত।

ফাইনালের আগেই একটা ব্যাপার নিশ্চিত হয়ে যায়। তা হলো জুলে রিমে কাপের ইতি। কারণ দুই ফাইনালিস্ট ইতালি ও ব্রাজিল দুই দলই জিতেছে দুইটি করে বিশ্বকাপ। সেমিফাইনালে দুর্দান্ত লড়াই করা ইতালি ফাইনালে অবশ্য তেমন লড়াই করতে পারেনি। ফলে ম্যাচটা তারা হেরে যায় ৪-১ গোলে। শিরোপা উল্লাসে মাতে ব্রাজিল। তিনটি শিরোপা জিতে চিরতরে নিজেদের ঘরে জুলেরিমে বিশ্বকাপটি নিয়ে যায় সেলেকাওরা। 

নবম বিশ্বকাপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে লাল কার্ড ও হলুদ কার্ডের প্রচলন শুরু হয়। যদিও সে বছর কোন খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেননি। আসরে মোট গোল হয় ৯৫টি। সর্বোচ্চ গোলদাতা হন পশ্চিম জার্মানির গার্ড মুলার। একটি হ্যাটট্রিকসহ মোট ১০টি গোল দেন এ জার্মান তারকা। সে আসরে দারুণ এক রেকর্ড গড়েন ব্রাজিলের জিয়ারজিনহো। প্রতি ম্যাচেই গোল করেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে জিয়ারজিনহোই একমাত্র খেলোয়াড় যে কিনা প্রতি ম্যাচে গোল দিতে পেরেছেন।

১৯৬৬: বিশ্বকাপ শুরুর আগেই কেলেঙ্কারি 

তারা//


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়