ঢাকা     শনিবার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

সন্ধ্যায় ‘ঘুমিয়ে পড়া’ পাল্লকেলের অন্যরকম গ্রিন গ্যালারি

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ক্যান্ডি থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০২, ৩১ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ২২:০৩, ৩১ আগস্ট ২০২৩
সন্ধ্যায় ‘ঘুমিয়ে পড়া’ পাল্লকেলের অন্যরকম গ্রিন গ্যালারি

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত ৮টা নাগাদ দোকানপাট বন্ধ। ৯টা বাজলে রুপান্তরিত হয় শ্মশানে। ক্যান্ডির উপশহর পাল্লেকেলে যেন ঘুমিয়ে পড়ে সন্ধ্যা নাগাদ। পথে-ঘাটে দেখা যায় না কোনো কাকপক্ষী। মনে হয় যেন আমোদ-উৎসবহীন কোনো এক শহর।

কিন্তু ভুল ভাঙে পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রিন গ্যালারিতে। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা অংশের প্রথম দিন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ঘিরে ততটা উত্তাপ ছিল না। তবে যারা ছিল তারা যেন ‘একাই একশ।’

পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের দুইপাশে অবকাঠামো আর বাকি দুইপাশে গ্রিন গ্যালারি। এই গ্রিন গ্যালারিতে যেতেই দেখা সন্ধ্যা নাগাদ ঘরে ফেরা উৎসব প্রিয় লঙ্কানদের।

আরো পড়ুন:

হাতে বিয়ারের গ্লাস, ডিজের তালে তালে নাচ, দেখা মেলে এক অপরুপ দৃশ্যের। বেশিরভাগই এসেছেন দলে দলে। কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আবার কেউ পুরো পরিবার নিয়ে। সবুজ ঘাসে বসে বসে খোশ গল্প করছেন, আবার বাউন্ডারি হলে কিংবা প্রতিপক্ষের উইকেট পড়েলেই শুরু করছেন নাচ।

কথা হয় ধনাঞ্জয়া সিলভা নামে এক সমর্থকের সঙ্গে। পরিবারের সদস্যদের জন্য চার গ্লাস বিয়ার নিয়ে আসছিলেন মাত্র। ‘আমরা এভাবে খেলা দেখি, এটা আমাদের ঐতিহ্য। সবাই আরাম করি, আনন্দ করি, খেলা মানেইতো আনন্দ’-বলছিলেন ধনাঞ্জয়া।

প্রায় ২২ হাজার ধারণ ক্ষমতার তিন ভাগের এক ভাগ দর্শকও আসেনি। শ্রীলঙ্কা মিডিয়ার সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী মাত্র হাজার আটেক দর্শক আসেন মাঠে। তার মধ্যে দুই পাশের গ্রিন গ্যালারি কিছুটা ভর ছিল।

উপমহাদেশের প্রায় সব স্টেডিয়ামে ধূমপান নিষিদ্ধ। কিন্তু ব্যতিক্রম এই পাল্লেকেলে। কেউ চাইলেই এখানে বিয়ার পান করতে পারবেন, চাইলেই সিগারেটও খেতে পারেন। বিয়ার-তামাক সব পাওয়া যায় গ্রিন গ্যালারিতে থাকা বিভিন্ন বুথে। যখনই মন চায় তারা কিনে নিয়ে এসে বসে পান করছেন।

শ্রীলঙ্কার ম্যাচ হলেও আজ দর্শক কেন এত কম? নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত গ্রিন গ্যালারিতে থাকা সার্জেন্ট রাজাপাকসে জানান, ছুটি না হওয়ায় দর্শক উপস্থিতি খুব একটা ছিল না।

‘আজ ছুটির দিন না, কাজের দিন। এ জন্য মাঠে দর্শক আসেনি। এমনিতে এখানে শ্রীলঙ্কার খেলা হলে অনেক দর্শক দেখা যায়। আজ কিছুটা কম। ছুটির দিনে খেলা হলে এখানে আরও অনেক ভিড় দেখতে পাবেন’-বলছিলেন রাজাপাকশে।

লঙ্কান দর্শক-সমর্থকদের বলা হয়ে থাকে অনেক রূঢ়। তবে রাজাপাকশে বলছেন ভিন্ন, ‘এখানে যাদের দেখছেন তারা মজা-আড্ডা করতেই আসে। মাঝে ঝামেলা হয় সেটা ভিন্ন, তবে খুব কম। এখানে সবাই, নাচে, গায়, আনন্দ করে।’ 

ক্যান্ডি/রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়