জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা সালাহ্উদ্দিনের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, এ অভিযোগ করে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ সালাউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার রাজধানীর শ্যামপুরে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে তার ওপর বারবার হামলা হচ্ছে, জানিয়ে সকল বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রাক্তন সংসদ সদস্য সালাহ্‌উদ্দিন আহমেদ।

সালাহ্উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমার নির্বাচনী এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর আমাদের কার্যক্রমে পুলিশ ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা অব্যাহত বাধার সম্মুখীন হচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী কার্যক্রমে আমার শ্যামপুরের বাসাটি প্রধান অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে নেতাকর্মীরা আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ভয়ভীতি দেখায়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’

১০ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণসংযোগ এবং প্রচার প্রচারণায় একাধিক হামলা হয়েছে, অভিযোগ করে তিনি বলেন,  ‘সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে গুন্ডি ঘর এলাকায় গণসংযোগ চালানোর সময় একদল দুর্বৃত্ত গাড়ি ভাঙচুর করে।’

এ হামলার জন্য তিনি শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৫১ নং ওয়ার্ড কমিশনার কাজী হাবিবুর রহমান হাবুকে দায়ী করেন।

সকল বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত না করে এবং পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ন্ত্রণ না করে তাহলে আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার এলাকার ভোটাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরপেক্ষ আচরণ আশা করে। এর ব্যত্যয় ঘটলেই পরিণাম কারো জন্যই ভালো হবে না।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ডিসেম্বর ২০১৮/রেজা/রফিক