ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখপতি রংপুরের চা বিক্রেতা

এম মাহফুজুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখপতি রংপুরের চা বিক্রেতা

ওয়ালটন পণ্য কিনে পাওয়া ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হচ্ছে বাবুল হোসেনের হাতে

এম মাহফুজুর রহমান : বার সদস্যের যৌথ পরিবারের প্রধান। লেখাপড়া জানেন না তেমন। দুই মেয়ের জনক। অতিকষ্টে সংসার চলে তার। তিনি তারাগঞ্জের হাজীপাড়ার চা বিক্রেতা বাবুল হোসেন।

কিস্তিতে বাসায় ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর কিনেছিলেন বাবুল। আর তাতেই ভাগ্য খুলে যায়। মাত্র ৬ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পেয়ে যান নগদ এক লাখ টাকা। তার পরিবারে এখন আনন্দ যেন আর ধরে না।

বাবুলের মতো ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখপতি হয়েছেন এ পর্যন্ত নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার ক্রেতাদের এ সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনলেই রয়েছে ১ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিংবা ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।

এছাড়াও ওয়ালটনের ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক সুবিধায় দেশব্যাপী ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ২০ জনের অধিক মানুষ। দেশের যেকোনো ওয়ালটন শোরুম থেকে ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা। ওয়ালটননের এসব সুবিধা থাকছে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

শহরের কিশোরগঞ্জ রোডের ওয়ালটনের পরিবেশক শো-রুম ‘এ আর ইলেকট্রনিক্স’-এর সাব-ডিলার ‘মেসার্স স্বপ্নীল এন্টারপ্রাইজ’ থেকে ২৬,৯৫০ টাকার সাড়ে ১৩ সিএফটির একটি ফ্রিজ কিনেন তিনি। কিন্তু এত টাকা একবারে পরিশোধ করার সামর্থ্য নেই বাবুলের। তাই কিস্তির শর্তে কিনে ৬ হাজার টাকা জমা দেন তিনি। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর শরফুদ্দীন আহমেদ, ‘এ আর ইলেকট্রনিক্স’-এর স্বত্ত্বাধিকারী খাদেমুল ইসলাম, ‘মেসার্স স্বপ্নীল এন্টারপ্রাইজ’-এর স্বত্ত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন এবং ওয়ালটনের রংপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার শাহেদ ইকবাল।

২৮ বছরের যুবক বাবুল হোসেন ওয়ালটনের এসব অফার সম্পর্কে আগে কিছুই জানতেন না। তিনি জানান, তার অনেক আত্মীয়-স্বজন ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনছে। তাদের কাছে শুনেছেন ওয়ালটনের ফ্রিজ খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। ফ্রিজ কিনলে সঙ্গে নাকি অনেক পণ্যও ফ্রি পাওয়া যায়। এসব কারণে তিনি ওয়ালটন ফ্রিজই বেছে নেন বাসায় ব্যবহারের জন্য।

২০ বছর ধরে অন্যের চায়ের দোকানের কারিগর হিসেবে কাজ করছেন ইকবাল। তিনি আরো বলেন, ‘টাকার অভাবে ৩ মাসের কিস্তিতে ফ্রিজটি কিনি। রেজিস্ট্রেশনের পর ওয়ালটনের কাছ থেকে যখন এক লাখ টাকার ম্যাসেজ পাই, তখন বিশ্বাস হয়নি। পরবর্তীতে শোরুমে দেখা করে চেক বুঝে নিতে বললে, আনন্দে আত্মহারা হই। মনে হলো- আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম।’

‘ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে আমি খুবই ভাগ্যবান। আমার দুই মেয়ে আছে। তাই ভাবছি টাকাগুলো ব্যাংকে রেখে দেই। ভবিষ্যতে ওদের জন্য খরচ করতে পারব,’ বলেন বাবুল।

জয়নাল আবেদীন জানান, শোরুমের পক্ষ থেকে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-ফোরের প্রচাণার আওতায় এলাকায় অসংখ্যবার মাইকিং করা হয়। বিতরণ করা হয় লিফলেট। ওয়ালটন পণ্যের শতভাগ সার্ভিস নিশ্চিত করায় এবং ওয়ালটন পণ্য দামেও সাশ্রয়ী হওয়ায় আমাদের শোরুমে মানুষের ভিড় লক্ষণীয়। ওয়ালটন পণ্য কিনলেই যেকোনো কিছু ফ্রি দেয়া হচ্ছে। এসব কারণে আগের তুলনায় ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে বহুগুনে।’

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলবে। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারবেন সহজেই। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন।


ঢাকা/মাহফুজুর রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়