ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

করোনা মোকাবিলায় মানুষ বাঁচানোর যুদ্ধে নামতেই হবে

মোস্তফা মোরশেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ৮ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনা মোকাবিলায় মানুষ বাঁচানোর যুদ্ধে নামতেই হবে

করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্ব আজ লণ্ডভণ্ড। উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে এটি খুব সহজেই অনুমেয় যে, আমরা কতটা অরক্ষিত। ভাইরাসটির উৎপত্তি, বিস্তার ও মোকাবিলা করার কৌশল নিয়ে এখনও কোনো উপসংহারে আসা যায়নি। উপসংহারে আসা নিয়ে যতটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার চেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ, সংস্থা, ব্যক্তির ধারণা নির্ভর বক্তব্য নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে আজ অবধি সমাজ ও রাষ্ট্রে সরকারের ভূমিকার প্রতিনিয়ত পরিবর্তনে নতুন করে যোগ হওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকেই এ সমস্যার উদ্ভব। যেমন ধরুন, ৫০ বছর আগের কোনো ছবিকে বর্তমান সময়ের চিত্র বলে চালানোর পর মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করছে। এরকম অনেক নজির রয়েছে। ২০১৯ এর শেষে চীনের উহানে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মানবজাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুরুতে এ ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে নানাবিধ কাহিনী প্রচলিত ছিল। কেউ বললেন বাদুড় থেকে, কেউ বললেন হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান সিটির পাইকারি সামুদ্রিক জীবখাদ্যের বাজার থেকে সাপের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাস সংক্রমণের কিছুদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক সাদ ওলসোন দাবি করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. রালফ ব্যারিক-এর ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া গবেষণার অংশ হিসেবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অণুজীব গবেষণাগার উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে এই ভাইরাস উহান সিটিতে ছড়িয়ে পড়ে।

তারপর কীভাবে এর বিস্তার হয় এ নিয়ে আলোচনা শুরু হলো। প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য আসতে থাকলো। কেউ বললেন উচ্চ তাপমাত্রায় (যেমন ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশি বা কাছাকাছি) এ ভাইরাসের সংক্রমণ অপেক্ষাকৃত কম। যদিও পাল্টা যুক্তি হিসেবে ব্রাজিল, ভারত, পাকিস্তান, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের কথা চলে আসে। সেখানেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে; এমনকি আমাদের দেশেও! কেউ বলতে শুরু করলেন, যেসব দেশে বিসিজি-এর টীকা দেয়া হয় তারা অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিতে রয়েছেন। আসলে এখানে একটি বিষয় খুবই স্পষ্ট যে, এ ভাইরাস মোকাবিলায় বৈশ্বিক গবেষণা জগতে আমাদের মারাত্মক দুর্বলতা রয়েছে। চীনের বিষয়টি মাথায় নিলে প্রায় ৪ মাসের অধিক সময় পার হলেও খুব সুনির্দিষ্টভাবে গবেষণালব্ধ কোনো ফল এখনও অনুপস্থিত। পত্রিকার পাতা কিংবা টিভির খবরে শুধু দেখবেন- এ দেশ এর প্রতিষেধক তৈরি করতে যাচ্ছে, কেউ ইতোমধ্যে করে ফেলেছেন, কোন দেশ উৎপাদনে যাচ্ছে, কেউ বলছেন পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষ করে বাজারজাত করতে আরও এক বছরের বেশি সময় লাগবে- এ জাতীয় খবর।

আসলে আমরা কেউই জানি না কীভাবে কতদিন পর এর প্রতিষেধক হাতের নাগালে আসবে। ধরা যাক, প্রতিষেধক আসলো; এটি কতটা সহজলভ্য হবে? এসব প্রশ্ন বিশ্বজুড়ে গবেষণাখাতের দুর্বলতাই প্রকাশ করছে।

করোনাভাইরাসের স্থায়িত্ব নিয়েও হাজারো প্রশ্ন। সংক্রমণের লক্ষণ কতদিনে প্রকাশ পায় কিংবা কেউ নিজে ভাইরাসে ক্যারিয়ার হয়ে আক্রান্ত না হয়ে অন্যকে আক্রান্ত করতে পারেন কিনা সেসব প্রশ্নের কোনো উত্তর কেউ দিতে পারছেন না। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা হলো এ ভাইরাস কোথায় কতদিন বেঁচে থাকে সেটি চরম উৎকণ্ঠার জন্ম দিচ্ছে। কেউ বলছেন এটি বায়ুবাহিত রোগ নয়। শুধু আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তা নতুন করে আক্রান্ত করে থাকে। আবার কেউ বলছেন এ ভাইরাস বাতাসে ২/৩ ঘণ্টা বেঁচে থাকে। যদি ২/৩ ঘণ্টা বেঁচে থাকে তাহলে ভাবুন তো বাতাসের মাধ্যমে এটি কতখানি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে? তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে, এটি যে বায়ুবাহিত নয় তার প্রমাণ কী? কেউ আবার এও বলেছেন, যেসব দেশে বায়ুদূষণ বেশি তারা উচ্চতর ঝুঁকিতে রয়েছে। প্লাস্টিকে, জুতায়, খাবারে, স্টিলে কত ঘণ্টা, কতদিন এ ভাইরাস বেঁচে থাকে তা নিয়ে যে যার মতো সংবাদ পরিবেশন করছি। আশ্চর্যের বিষয় হলো মৃতদেহে কত ঘণ্টা বেঁচে থাকে এটি নিয়েও মজার মজার তথ্য উপস্থাপন হচ্ছে। কেউ বলছেন মৃতদেহে এটি দু’ থেকে তিন ঘণ্টা বেঁচে থাকে ফলে যা করার এর পর করতে হবে। সৎকার নাকি দাফন করবেন? কোনো উত্তর নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়েই বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কোন দেশে কতজন মারা গিয়েছেন এটিও সঠিক নয় বলে কেউ কেউ ধারণা করছেন। বিশেষ করে, চীনের মৃত মানুষের সংখ্যা নিয়ে অনেক তথ্য-উপাত্তসহ প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে। কেউ মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা বিবেচনা করে, কেউ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বলছেন যে, মৃতের সংখ্যা প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, পিপলস পারসেপসন বলছে চীনে অধিক মানুষ মারা গিয়ে থাকতেও পারে। পিপলস পারসেপসন এমন এক বিষয় যে, আপনি থিওরি দিয়ে বদলাতে পারবেন না।

এ ভাইরাস মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকর কৌশল কী? লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা, জরুরি অবস্থা জারি, কোয়ারেন্টাইন, আইসলেশন– কোন পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর হবে, কোনটার পর কোনটা আসবে সেটিও ব্যাপক গবেষণার দাবি রাখে। তবে এটি সত্য এখন পর্যন্ত যেসব দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি তাদের সাম্প্রতিক অবস্থা বলছে যে, আক্রান্ত ব্যক্তির যত বেশি সংস্পর্শে আসা যাচ্ছে ততই এটি ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে মৃত্যুহার বেড়েই চলছে। কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে- এ যেন মৃত্যুর মিছিলে এক অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিযোগিতা। যেখানে প্রতিটি মানুষের জীবনই সমান গুরুত্ব রাখে সেখানে এ লেখা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু আমাদের বৈশ্বিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক এগিয়ে চলাকে সরাসরি প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

কোন পদ্ধতি কীভাবে কার্যকর হবে এর সাথে তিনটি বিষয় খুবই স্পষ্টভাবে সম্পৃক্ত। এক) সামাজিক মূলধন ও মূল্যবোধ, দুই) অর্থনৈতিক অবস্থা ও তিন) পরিপূর্ণ ডাটাবেজ। ইতালির ব্যাপকতার জন্য অনেকে এভাবে বলতে চান যে প্রথমদিকে মানুষ বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেনি ফলে এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রও বিষয়টি সেভাবে আমলে নেয়নি ফলে মৃত্যুর দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে। তাদের বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক শক্তি বিবেচনায় এটি তারা অনুমানও করতে পারেননি যে, এভাবে সবকিছু মুষড়ে পড়বে।

আমাদের মতো দেশে যেখানে সম্পদের অভাব রয়েছে সেখানে এর ভয়াবহতা কী হতে পারে তা আন্দাজ করাও সহজ নয়। আমাদের সামাজিক মূলধন ও মূল্যবোধের ধরণ এমন যে প্রথমে যারা কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তাদেরকে আমরা নিজেরা দেখতে গিয়েছি। কেউ একজন অসুস্থ, সুতরাং তাকে দেখতে যেতে হবে- আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ তাই বলে। বরিশালে কোয়ারেন্টাইনে থাকা একজনকে ধরে নিয়ে কাঁধে করে লোকজন মিছিল করেছে বলেও শোনা যায়। আবার কেউ যখন সত্যিই অসুস্থ তখন তাকে আমরা বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি। একদিনে এসব অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। সামাজিক এসব রীতিনীতি একদিনে গড়ে উঠে না। একটি সমাজের, দেশের এসব মূল্যবোধ গড়ে উঠতে অন্তত দু’পুরুষ সময় লাগে, সময়ের হিসেবে ধরুন ১৪০ বছর।

সামাজিক দূরত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। অনেকের ধারণা এমন যে যারা আক্রান্ত নন তাদের কাছ থেকে তো আমরা সবাই নিরাপদ। সুতরাং, সামাজিক দূরত্ব তার জন্য যিনি আক্রান্ত হয়ে আছেন। ফলে কে আক্রান্ত বা কে আক্রান্ত নন সেটি টেস্ট করাই প্রথম সমাধান। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সামর্থ্য ও সক্ষমতা বিবেচনা করতেই হবে। যেহেতু আমরা নিশ্চিত নই যে কার কাছে থেকে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে যেহেতু সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করাই সবচেয়ে কার্যকর সমাধান। তবে এটিও মাথায় নিতে হবে যে খেটে-খাওয়া মানুষগুলো কীভাবে ঘরে বন্দি থেকে তার জীবন রক্ষা করবে? করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তো কয়েকদিন বাঁচার সম্ভাবনা আছে কিন্তু খাবার না খেয়ে কীভাবে সম্ভব? তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের অসচেতনতাই দায়ী, কারণ আমরা ভাইরাসটিকে চোখে দেখি না। সরকার মানুষের মুখে খাবার তুলে দেবার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যাতে মানুষ ঘরেই থাকে। তবে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে না এলে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় অসম্ভব।

লকডাউন কিংবা জরুরি অবস্থা যেভাবেই বিবেচনা করা হোক- এর সফলতা নির্ভর করবে মানুষের মুখে খাবার তুলে দেবার উপর। দুই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও অভিজিৎ ব্যানার্জি এবং বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু একই সুরে বলেছেন। এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়, তিনজনই ভারতের যেখানে জনসংখ্যার আধিক্য রয়েছে। উন্নত দেশের অনেক গবেষকদের কাছে বিষয়টি এভাবে উপলব্ধির জায়গায় নাও আসতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এভাবেই চিন্তা করাই যৌক্তিক হবে।

আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। বিশেষ করে, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেও কাজ করছেন। সরকার প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার (জিডিপির ২.৫২ শতাংশ) যে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে তা বাস্তবায়নই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জের মূল কারণ হলো অনেকক্ষেত্রেই আমাদের প্রকৃত ও পরিপূর্ণ ডাটাবেজ নেই। ভাবুন তো, ঢাকা শহরে যারা বাদাম কিংবা ছোলা/ঝালমুড়ি বিক্রি করতো তাদের সংখ্যা কত? তারা হয়তো এখন ঢাকায় নেই। যদি গ্রামে গিয়ে থাকে তবে সেখানে কি তাদের হিসাব আছে? আমি সবসময়ই বলতে চাই এসব পিছিয়ে পড়া, দরিদ্র, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটি পরিপূর্ণ ডাটাবেজ তৈরি হোক। যেটুকু আছে তার কলেবর আরও বাড়িয়ে প্রযুক্তি নির্ভর করা হোক যাতে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে এদের সুযোগ-সুবিধা, প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়। করোনাভাইরাসের তাণ্ডব থেকে এটিই হোক সবচেয়ে বড় শিক্ষা।

আমাদের দেশের অর্থনৈতিক শক্তি বিবেচনায় এ প্রণোদনা সমষ্টিক অর্থনীতিতে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। তবে আক্রান্তের সংখ্যা যদি আরও বাড়তে থাকে এবং ফলশ্রুতিতে সাপ্লাই চেইন যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে বিপদ হতে পারে। সরকারের পক্ষে কতটুকু করা সম্ভব? সরকার কার্যত একটি বড় জাহাজ, অনেক ক্ষেত্রেই ছোট ছোট রাস্তা ধরে যেতে পারে না। সম্মিলিতভাবেই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

করোনাভাইরাসে সংক্রমণ আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখাবে। আমি নিশ্চিত, আগামী দিনের পৃথিবীতে সম্ভাব্য আরও কী কী বিপদ আসতে পারে সে নিয়ে সবাই আলোচনা শুরু করবেন। বিশেষ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো যেভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তা নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে। ‘বিশ্ব কারখানা’ বলে পরিচিত চীনের উন্নয়ন যখন ‘Growth at any cost’ মডেল হয় কিংবা প্যারিস জলবায়ু সম্মেলন থেকে যখন যুক্তরাষ্ট্র নাম প্রত্যাহার করে নেয় তখন আসলে ছোট অর্থনীতির দেশসমূহের কিছুই করার থাকে না। ২০০৮ এর অর্থনৈতিক মন্দা পরবর্তী সময়ে বিশ্বে প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক যে উন্নয়ন শুরু হয়েছিল তার সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক ছিল বৈষম্য সৃষ্টি। করোনাভাইরাসের এ আক্রমণে সম্পদের নতুন যে বন্টন প্রক্রিয়া শুরু হবে তা নিশ্চিতভাবে বৈষম্য কমাতে সাহায্য করবে। কে জানে এটিই হয়তো প্রাকৃতিক ন্যায়বিচার। তবে সবকিছুর পর আমরা যারা এখনও বেঁচে আছি মানুষ বাঁচানোর যুদ্ধে তাদের নামতেই হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন, প্রতিটি মানুষের জীবনই মূল্যবান ঠিক এভাবেই আমাদের এগিয়ে চলার মন্ত্র ঠিক করে নিতে হবে।

লেখক: উন্নয়ন অর্থনীতি গবেষক


ঢাকা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়