ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাফল্যের রহস্য জানালেন লিটন

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৮, ১৭ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাফল্যের রহস্য জানালেন লিটন

টনটন থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক: লিটনের ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ার বেশ লম্বা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও কাটিয়েছেন ভালো সময়। 

টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত লিটন কখনোই ব্যাটিং করেননি মিডল অর্ডারে।  জাতীয় দলের টপ অর্ডার এখন দুর্দান্ত করছে।  তামিম ও সৌম্য ভালো করায় একাদশের বাইরে ছিলেন লিটন।  তিনেও সাকিব পারফর্ম করছেন নিজের মতো করে।  মিডল অর্ডারে মিথুন ভালো না করায় লিটনকে একাদশে ঢুকানোর সিদ্ধান্ত হয়। 

চার ম্যাচ বাইরে থাকার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লিটন গতকাল ফেরেন বিশ্বকাপ দলে।  তার ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ।  আর প্রথম ম্যাচেই লিটন জানান দিলেন, যে কোনো পজিশনের জন্যই তিনি তৈরি আছেন।সেটা বিশ্বকাপের মঞ্চেও। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩২১ রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুর পর দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  মুশফিক যখন ১ রানে বিদায় নেন তখন দলের রান ৩ উইকেটে ১৩৩।  জয়ের থেকে তখনও বাংলাদেশ ১৮৯ রান দূরে। পাঁচে ব্যাটিংয়ে যান লিটন।  জুটি বাঁধেন সাকিবের সঙ্গে। এরপর ম্যাচের চিত্রটাই পাল্টে দেন দুজন। শুরুতে নিজেকে একটু সময় দিয়েছেন লিটন। থিতু হওয়ার পর তাকে আর আটকানো যায়নি।  ৪৩ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় তোলেন ফিফটি।  এরপর ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে রান তোলেন বিদ্যুৎ গতিতে। চতুর্থ উইকেটে সাকিবকে নিয়ে ১৮৯ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন।

সাকিব সেঞ্চুরি পেলেও লিটন পাননি। ৯৪ রানে অপরাজিত থেকে সাজঘরে ফেরেন জয় নিয়ে।  ৬৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি।  গ্যাব্রিয়েলকে এক ওভারে টানা তিন ছক্কা মেরে পুরো গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছিলেন।  তার ব্যাট থেকেই আসে উইনিং রান।  ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে এসে নিজের সাফল্যের রহস্য জানিয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

‘শুরুতে ব্যাটিংয়ের সময় একটু নার্ভাস ছিলাম।  মিডলে খেলার অভ্যাস খুব একটা নেই।  আমি মনে করি এটা সুযোগ। তবে আমি নার্ভাস ছিলাম এটাও সত্য। ৩০ রান করার পর আমি নিজের মতো ব্যাটিং করতে পেরেছি। তখন আমার মনে হয়ছে এই উইকেটে আমি রান করতে পারবো।  এর আগে আমি স্বাচ্ছন্দে ছিলাম না। আমি মনে করি আমি সাবলীল হয়েছি ৩০ রানের পর থেকে।’

‘সাকিব ভাই আমাকে সাহায্য করেছে। খেলার মাঝখানে অনেক কথা বার্তা বলেছে যেগুলো আমার নার্ভাসনেস কাটাতে ভূমিকা রেখেছে।  উনি বলেছিলেন, ‘‘উইকেটটা অনেক সহজ। জোড়াজুড়ি না করে স্বাভাবিক খেলা খেলো।’’ এছাড়া উনার ব্যাটিংটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমি স্বাভাবিক হতে পেরেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক রান করলেও আমি কখনোই ফিনিশ করতে পারেনি। এবার সেই চেষ্টা ছিল। ফিনিশ করতে পেরে ভালো লাগছে।  আমি যখন ফিফটি করছিলাম উনি দৌড়ে এসে আমাকে হাগ করেছে। উনি পুরো ম্যাচে আমাকে অনেক সাহস দিয়ে গেছেন।’



রাইজিংবিডি/টনটন/১৮ জুন ২০১৯/ইয়াসিন

 

 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়