ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কেমন হবে ইন্দোরের উইকেট?

ইন্দোর থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ১৩ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কেমন হবে ইন্দোরের উইকেট?

ইন্দোরে অনুশীলন শেষে মাঠেই ছোট্ট টিম মিটিং হয়ে গেল বাংলাদেশের। এরপর দলের একটা অংশ গেল ফুটবল খেলতে। অন্যরা বসে রইলেন ইন্দোরের সবুজ গালিচায়।

অধিনায়ক মুমিনুল হকের দায়িত্ব বেড়েছে। তাই গেলেন সেন্টার উইকেটে আরও একবার। উইকেটের চারপাশ হেঁটে দেখলেন। ড্রেসিংরুম প্রান্তে তার সঙ্গে যোগ দেন আল-আমিন হোসেন। মুমিনুল ব্যাটিং শ্যাডো আর আল-আমিন বোলিং শ্যাডো করলেন কয়েকবার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুজনই খেলবেন ইন্দোর টেস্টে। এর আগে অনুশীলনের মাঝে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এবং ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে অধিনায়ক উইকেট দেখেছেন।

স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি সবার আগে অনুশীলনে ঢুকেই দেখেন উইকেট। ২০১৬ সালে এ মাঠে একবার টেস্ট হয়েছিল। খেলেছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। তিন বছর পর টেস্ট উইকেট কেমন হবে, সেটা নিয়েই সবার প্রশ্ন। অভিষেক ম্যাচের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব  ছিল, সেটা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ, ওই ম্যাচেই দুই ইনিংসে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আবার বিরাট কোহলি পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। এবার কোহলি কী করবেন, তা সময়ই বলে দেবে।

তবে উইকেট নিয়ে ভাবনা কাটছেই না। ভারতীয় দল সাম্প্রতিক সময়ে সফরকারী দলগুলোকে পেস বোলিং উইকেট অফার করে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কিছুদিন আগে জিতেছে পেস বোলিং দিয়েই। যদিও তিন ম্যাচেই তাদের ব্যাটসম্যানরা গড়েছিলেন রানের পাহাড়। তবে পেস বোলিং আক্রমণের ওপরই এখন তাদের সব ভরসা। ধারণা করা হচ্ছে, ইন্দোরে একই উইকেট পাবে বাংলাদেশ। এখানকার উইকেট লাল মাটির। শেষ চার বছরে এমন উইকেট প্রস্তুত করেছে মধ্যপ্রদ্বেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন, যেখানে লাল মাটির উইকেট থেকে বাড়তি বাউন্স পান পেসাররা। পাশাপাশি একটু মনোযোগী হয়ে খেললেই ব্যাটসম্যানরা পেয়ে যান মনের মতো উইকেট। স্ট্রোক মেকিং সহজ হয় তখন।

বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুলও মনে করেন ব্যাটসম্যানদের জন্য এখানে রান অপেক্ষা করছে, ‘উইকেট ভালো। ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারবে। আবার পেস বোলাররাও সুবিধা পাবে।’ ভারতীয় অধিনায়ক কোহলির কন্ঠেও একই সুর, ‘মনে হচ্ছে পেসারদের সহায়ক উইকেট পেতে যাচ্ছি। ভালো হয়েছে। উপভোগ্য একটি ম্যাচ পাওয়া যেতে পারে।’

ভারতীয় পেস আক্রমণকে এখন বলা হচ্ছে ৮০’র দশকের ক্যারিবীয় পেস আক্রমণের মতো। যেখানে জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবরা আগুন ঝরানো বোলিং করেন। এ সিরিজে বুমরাহ নেই। কিন্তু বাকি তিনজন পাল্লা দিচ্ছেন নিজেদের সঙ্গে। ফলে পারফর্ম করার ক্ষুধা বেড়েছে বহুগুণ।

মুমিনুলের কাছে বারবার পেস আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন ছোঁড়া হয়েছিল। মুমিনুলও মনে করেন পেস আক্রমণ চ্যালেঞ্জ জানাবে। তবে তাদের প্রস্তুতি আছে সবকিছু নিয়েই, ‘ভারত এমন একটা দল, যারা একেক দলকে একেক চ্যালেঞ্জ দিয়ে থাকে। এমন হতে পারে আমাদের তারা পেস বল দিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারে, আবার স্পিন বল দিয়েও চ্যালেঞ্জ করতে পারে। আমরা দুই দিক দিয়েই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। অবশ্যই চ্যালেঞ্জ হবে, এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য সবার মন মানসিকতা আছে। আমার মনে হয় আমরা এভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি।’


ইন্দোর/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়