ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘অধিকাংশ পাঠক নতুন লেখকদের বইয়ে অনীহা দেখান’

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘অধিকাংশ পাঠক নতুন লেখকদের বইয়ে অনীহা দেখান’

ছবি: শাহীন ভুঁইয়া

হাসান মাহামুদ : মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ পেশায় সাংবাদিক। তবে লেখালেখিতে স্বপ্রতিভ। প্রতিশ্রুতিশীল  তরুণ এই লেখকের সঙ্গে তার লেখনী এবং যাপিত জীবনের নানাদিক নিয়ে কথা হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। কথোপকথনের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

রাইজিংবিডি: কেমন আছেন?

 

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ : চলে যাচ্ছে এক রকম। শরীরটা ভালো বলা যায় না। এর মধ্যে দিয়ে অফিস আর লেখালেখি নিয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে। তারপরও বলব সবমিলে ভালোই।

রাইজিংবিডি : নতুন লেখকদের পাঠকেরা কিভাবে গ্রহণ করেন ?

 

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সত্যি কথা বলতে কি আমাদের দেশের অধিকাংশ পাঠক নতুন লেখকদের বই কিনতে বা পড়তে অনীহা দেখায়। ফলে ভালো লিখেও অনেকে পাঠকের কাছে আসতে পারেন না। যে কারণে এক সময় বেশিরভাগ লেখক হারিয়ে যায়। তাই পাঠকদের বলব নতুন লেখকদের বই কিনতে এবং পড়তে। কারণ তারাই লেখক তৈরি করেন। আজ যারা বড়বড় লেখক উনারাও কিন্তু এক সময় তরুণ ছিলেন।

রাইজিংবিডি: আপনার পেশা সাংবাদিকতা, নাট্যকার হিসাবেও পরিচিতি রয়েছে। কবিতা উপন্যাসও লিখেছেন। এর মধ্যে ভালোবাসার জায়গা কোনটি?

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: আলাদা করে উত্তর দেওয়া কঠিন। সংক্ষেপে বললে সব কয়টিই আমার ভালোবাসার, ভালো লাগার খোরাক। কারণ, এই বিষয়গুলো সব একসূত্রে গাঁথা। সবই সৃষ্টিশীল কাজ। ভালো না লাগলে এসব কাজ করা যায় না। যখন যেটা করি মন দিয়ে করার চেষ্টা করি। অন্য কাজ করি কি না ভুলে যায়।
 


রাইজিংবিডি: বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে আপনার উপন্যাস দাহকাল। বইটি নিয়ে আপনি কতটুকু আশাবাদী?

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: আশার তো শেষ নেই। গত বছর আমার পঞ্চনরক উপন্যাসটি পাঠকদের মধ্যে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু উপন্যাসটি লেখার সময় আমি এতটা ভাবিনি। তবে দাহকাল নিয়ে একটু বেশিই আশা করছি। কারণ এই বইয়ের কাহিনীতে পঞ্চনরকের মতোই একটা সরল গল্প রয়েছে। যা সব শ্রেণির পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে। বাকিটা পাঠকের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি। আমার লেখা তাই নিজের ভালো লাগতেই পারে। বিচার করবেন পাঠকেরা।

রাইজিংবিডি: দাহকালে কি আছে?

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: দুই প্রজন্মের দুইজন একদিকে মা অন্যদিকে ছেলে। তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে দাহকালের কাহিনি। বাকিটা এখন বলতে যাচ্ছি না পাঠকদের জন্য থাক।

রাইজিংবিডি: লেখালেখির শুরুটা কবে থেকে, এক্ষেত্রে কার উৎসাহ সবচেয়ে বেশি পান?

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: আমার মা-বাবা বেঁচে নেই। মা যখন মারা যান তখন আমার বয়স সাত কি আট বছর। তার কথা কিছু মনে নেই। তবে মা চাইতেন আমি ইঞ্জিনিয়ার হই। কিন্তু আমার দারুণ অঙ্কভীতি। কেমন করে হবে। লেখালেখির ক্ষেত্রে আব্বা সব সময় উৎসাহ দিতেন। তিনিই ছিলেন আমার বড় পাঠক। আর ভাই-বোন-বন্ধুরা সবাই উৎসাহ দেয়। ছোটবেলা থেকে বন্ধুরা আমায় কবি ডাকতেন। লেখালেখির শুরুটা প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় থেকে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়