ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

অপরিচিতদের মধ্যে ভালোবাসার ইনজেকশন

ইয়ামিন আরচুভ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ২৮ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অপরিচিতদের মধ্যে ভালোবাসার ইনজেকশন

ইয়ামিন (আরচুভ) : ভালোবাসার আদান প্রদান সাধারণত পরিচিতদের মধ্যেই হয়ে থাকে। অপরিচিতদের জন্য আমরা তেমন স্নেহ, মায়া, মমতা অথবা দয়া অনুভব করি না। অপরিচিতদের জন্য আমরা যতটুকু মানবিক দয়া অনুভব করি তা সাধারণত দায় সারার চেয়ে বেশি কিছু না।

তবে নতুন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, লাভ (প্রেম) হরমোনের ইনজেকশন অপরিচিতদের মধ্যেও ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টি করতে পারে।

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ‘গ্রে সিল’ প্রাণীর মধ্যে এই লাভ হরমোন (অক্সিটসিন) ইনজেকশন দেয়া হয়েছিল যেন আবেগের এবং ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হয়।

বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণে দেখতে পেয়েছেন, গ্রে সিলদের মধ্যে এটি চমৎকার কাজ করেছে, একেবারে নতুন পরিচিত হওয়ার পরেও তারা একে অপরের সঙ্গ পছন্দ করছে এবং সবসময় কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছে। এই হরমোনের প্রভাবে আক্রমণাত্মক ভাবটাও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।



খুব অল্প পরিমান অক্সিটসিন (লাভ হরমোন) প্রয়োগ সত্ত্বেও গ্রে সিলদের  এই আবেগগত পরিবর্তনগুলো দুই দিন স্থায়ী হয়েছিল। এটি অপ্রত্যাশিত ফলাফল ছিল, কারণ রক্ত প্রবাহ থেকে খুব দ্রুতই হরমোন দূরীভূত হয়।

এই গবেষণার প্রধান গবেষক সেন্ট অ্যান্ড্রিউস বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কেলি রবিনসন রয়েল সোসাইটির জার্নালে লেখেন যে, ‘সিলদের (গ্রে সিল) অক্সিটসিন হরমোন দেয়ায় তারা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ সময় কাটিয়েছে। এটা নিশ্চিত যে অক্সিটসিনের কারণেই তারা তাদের প্রজাতির কাউকে খুঁজছিল এবং ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেয়েছিল।’

স্কটল্যান্ডের আইএসএলই নামক আইল্যান্ড থেকে মে মাসের দিকে বিশটি নতুন জন্মানো গ্রে সিলকে গবেষণার জন্য গবেষণাগারে নেয়া হয় এবং তাদেরকে দুই ভাগ করে আলাদা রাখা হয়। পরিপক্ক গ্রে সিলদেরকে গবেষণার জন্য আনা সম্ভব হয়নি, কারণ তারা একটু বেশি আক্রমণাত্মক। আলাদা ভাবে রাখা দুই দলের মধ্য থেকে জোড়াগুলোকে অক্সিটসিন ইনজেকশন দিয়ে তাদের আচরণগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।

বিজ্ঞানীদের সর্বশেষ ধারণা
অক্সিটসিন দিয়ে গভীর ইচ্ছাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে গত দশ বছরে এর প্রতি সবার আগ্রহ বেড়েছে, খুব বেশিদিন হয়তো নেই যে, এই হরমোনের মাধ্যমে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থাকে পরিবর্তন করে মানবিক এবং সামাজিক বন্ধনকে আরো সুদৃড় করা সম্ভব হবে, এটা তারই নমুনা।

তবে এতোকিছুর পরেও কোনো গবেষণা নিশ্চিত করে এই তথ্য দিতে পারেনি যে, গবেষণাগারে যে লাভ হরমোন ইনজেকশন আচরণ এবং ইচ্ছার জগতে প্রভাব ফেলে, প্রাকৃতিক পরিবেশে সেটা সম্ভব কি না।

তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মে ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়