ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

অফিসার্স ক্লাবের মর্যাদার নির্বাচন শুক্রবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ১৬ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অফিসার্স ক্লাবের মর্যাদার নির্বাচন শুক্রবার

অফিসার্স ক্লাব ঢাকা নির্বাহী কমিটি নির্বাচন শুক্রবার। নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা গত কয়েক মাস ধরে ঘুরে বেড়িয়েছেন এ দপ্তর থেকে অধিদপ্তরে।

এবার ২০২০-২১ সালের জন্য ২২টি পদে নেতা নির্বাচিত হবেন। মোট প্রার্থী ৫৩ জন। শুক্রবার বেইলি রোডে ক্লাব প্রাঙ্গণে ৫৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

অফিসার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদাধিকার বলে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম দ্বিবার্ষিক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে এই পদে কখনো নির্বাচন হয় না। 

বরাবরের মতো সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদের দিকেই সবার দৃষ্টি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক ক্লাবের প্রশাসনিক প্রধান। অন্যদিকে ক্লাবের অর্থ সম্পর্কিত দায় কোষাধ্যক্ষের অধীন।

এবার সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ও বর্তমানে কর্মরত দুই কর্মকর্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এই দুজনই বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে আছেন। অফিসার্স ক্লাবের বর্তমান সদস্য সাত হাজার ৮০ জন। তাঁদের মধ্যে ভোটার পাঁচ হাজার ৪৮৩ জন।

ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন খান এবারও একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে তিনি ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব-১ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ছিলেন।

সাধারণ সম্পাদক পদের আরেক প্রার্থী বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ মেজবাহ উদ্দিন। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি ক্লাবের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরই দুজন। তাঁরা হলেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও যুগ্ম সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস। এই পদে অন্য প্রার্থী হলেন আব্দুল মান্নান ইলিয়াস। তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।

ভাইস চেয়ারম্যানের তিনটি পদে প্রার্থী ৯ জন। তাঁদের মধ্যে সাতজনই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খালিদ মাহমুদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুল মান্নান, জনপ্রশাসনের অতিরিক্ত সচিব আনছার আলী খান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোজাম্মেল হক, শ্রম ও কর্মসংস্থানের অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন, পিএসসি সচিবালয়ের প্রধান মনোবিজ্ঞানী রওশন আরা জামান রুবী ও আনসার ক্যাডারের কর্মকর্তা ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ।

বর্তমানে কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট সৈয়দ ফিরোজ আলমগীর ও পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান।

যুগ্ম সম্পাদকের তিনটি পদের জন্য চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী, রাজউকের (সদস্য পরিকল্পনা) আজহারুল ইসলাম খান, সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফেরদৌসী খান ও ডিএমপির ডিসি (এস্টেট) আসমা সিদ্দিকা মিলি।

ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের দুই বছর মেয়াদি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ ১৪। এসব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৫ জন।

তাঁদের মধ্যে আছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) জসীম উদ্দীন হায়দার, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন সোহাগ, মুগদা মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক আবুল হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ শাহজালাল, বদরুন্নেসা কলেজের সাবেক অধ্যাপক আশরাফুন নেসা রোজী, অতিরিক্ত কর কমিশনার নাশিদ রিজওয়ানা মনির, রাজশাহীর সাবেক ডিসি আমিনুল ইসলাম, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সাবেক ডিজি মাহ্ফুজার রহমান সরকার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মনছুরুল আলম, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সবুর, প্রকৌশলী আবু সাদেক, লেজিসলেটিভ বিভাগের যুগ্ম সচিব জাকেরুল আবেদীন আপেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলওয়ার হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ সাকিব সাদাকাত, সংসদ সচিবালয় পরিচালক (জেলা ও দায়রা জজ) নাছির উদ্দীন সবুজ, আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আখ্তারুজ্জামান, গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ, দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ, জনপ্রশাসনের উপসচিব আলমগীর হোসেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক প্রদ্যুৎ কুমার সাহা, জনপ্রশাসনের যুগ্ম সচিব আবিদুর রহমান, রাজউকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রথীন্দ্রনাথ দত্ত, ঢাকা মেডিক্যালের অধ্যাপক আব্দুল হানিফ টাবলু, বিদ্যুৎ বিভাগের উপপ্রধান তানিয়া খান, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব সুরাইয়া পারভীন শেলী, ফিরোজ আহমেদ খান, মৌসুমী হাসান, ডা. নিয়ামুল রোহানী, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রত্না পাল, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল ও এসইআইপিয়ের মূল্যায়ন সমন্বয়কারী এম এ মজিদ।

সদস্য পদপ্রার্থী শাহিন আরা মমতাজ বলেন, গত বছরও আমি একই পথে নির্বাচন করেছি। বেশ ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। এবারে নিবাচনে আমি জয়ের ক্ষেত্রে আশাবাদী।

অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন সাবেক সচিব আব্দুল হান্নান। কমিশনের সদস্য হিসেবে আছেন সাবেক সচিব সোহরাব হোসাইন ও বর্তমান জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন। রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার ডিসি আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।

 

ঢাকা/এম এ রহমান/নাসিম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়