ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অবশেষে দেখা মিলেছে ইলিশের

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৯ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অবশেষে দেখা মিলেছে ইলিশের

ভোলা সংবাদদাতা : দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ভোলার জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এতে সরব হয়ে উঠেছে ভোলার জেলেপল্লী ও মৎস্য অবতরণকেন্দ্রগুলো।

এখানকার হিসেব অনুযায়ী জুন-জুলাইতে ইলিশ পাওয়ার কথা থাকলেও এতদিন জেলেরা ইলিশের দেখা পায়নি। দেরীতে ইলিশের দেখা মিললেও সামনের দিকে গত বছরের চেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন জেলেরা।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর অনুযায়ী, এক মাস পরেই অর্থাৎ ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের ২৭টি জেলার সব নদ-নদী, সমুদ্র উপকূল এবং মোহনায় ইলিশ আহরণ, বিক্রি, মজুদ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সে হিসেবে আর মাত্র একমাস জেলেরা ইলিশ ধরার সময় পাচ্ছেন।

মৌসূমের শুরুতে ইলিশ না পাওয়ায় ভোলার তিন লাখেরও বেশি জেলে গত দু’মাস চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। সংসারের ব্যয়ভার নির্বাহ তো দূরের কথা, খরচের টাকাও তারা তুলতে পারছিলেন না এতোদিন। এখন নদীতে ইলিশের দেখা পাওয়ায় বিগত দিনের ক্ষতি পূষিয়ে ওঠার আশায় বুক বেঁধেছেন তারা।

স্থানীয় জেলেদের ভাষ্য অনুযায়ী, এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে জেলার মনপুরা, ঢালচর ও চরনিজামের মেঘনা মোহনায়। মাত্র ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করায় বাজারে দাম এখনো চড়া। এতে জেলেরাও মাছের ভাল দাম পাচ্ছেন।

 



জেলার সাত উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১শ’ ২৭টি মৎস্য অবতরণকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে আড়ৎ রয়েছে ১২শ’র মতো। বর্তমানে প্রতিটি কেন্দ্র থেকে বরিশাল চাঁদপুর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মোকামগুলোতে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ ঝুড়ি ইলিশ যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেও যার পরিমাণ মাত্র ৫/৬ ঝুড়িতে সীমাবদ্ধ ছিল। যদিও এখনো কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না তবুও আগের চেয়ে প্রাপ্ত ইলিশের পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা দারুণ খুশি।

মৎস্য বিভাগ, ভোলার মতে- জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে ইলিশের অবস্থান এবং পরিমাণে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। গত বছর সাগরে ইলিশ কম ছিল, নদীতে ছিল বেশি। এ বছর সাগরে ইলিশ বেশি, নদীতে ধরা পড়ছে কম।

ইলিশ প্রজনন মৌসূমে মা ইলিশের জন্য নিরাপদে ডিম ছাড়ার ব্যবস্থা নেওয়াসহ জাটকা রক্ষায় সরকারের গৃহীত নানা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের কারণে এবছর দেরিতে হলেও অধিক পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছে ভোলা জেলার মৎস্য বিভাগ।

সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রভাবশালীরা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল ব্যবহার করে যে হারে অবাধে ইলিশের রেণুপোনা ধ্বংস করেছে তা সঠিক সময়ে বন্ধ করা সম্ভব হলে আরো বেশি পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যেতো।’



রাইজিংবিডি/ভোলা/২৯ আগস্ট ২০১৮/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়