ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

অবহেলায় পড়ে আছে রাঙামাটি বোটানিক্যাল গার্ডেন

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অবহেলায় পড়ে আছে রাঙামাটি বোটানিক্যাল গার্ডেন

রাঙামাটি বোটানিক্যাল গার্ডেনের মূল ফটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : রাঙামাটিতে পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিড়িয়াখানা নির্মাণ করা হলেও, পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা না থাকায় সেখানে তেমন কেউ যায় না।

যারা পরিবার নিয়ে বেড়াতে যায় তারা মন খারাপ করে ফেরেন। সেখানকার বর্তমান পরিবেশ ও পশু-পাখির অবস্থা দেখে মনেই হয় না এটা কোনো চিড়িয়াখানা। বর্তমানে চিড়িয়াখানাটিতে একটি হরিণ, চারটি বানর, একটি ভালুক ও একটি বন মোরগ আছে।

চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসা পর্যটক মাসুদ বলেন, আমি রাঙামাটি বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে এসেছি। আসার আগে এখানকার প্রাকৃতিক সৌদর্যের কথা অনেক শুনেছি। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক সুন্দর। কিন্তু এই জেলার একটি মাত্র চিড়িয়াখানার অবস্থা আসলে অনেক খারাপ।

তিনি আরো বলেন, যারা রাঙামাটিতে বেড়াতে আসে তারা চেষ্টা করে এখানকার কিছু স্থান পরিদর্শন করতে। তাই আমার মনে হয় পাহাড়ের বুকে এমন একটি স্থানে ভালো একটি চিড়িয়াখানা তৈরি করা হলে পর্যটকদের জন্য ভালো হয় এবং আর্থিকভাবে এই জেলাও উন্নত হবে।

কামরুন নাহার নামে এক পর্যটক বলেন, রাঙামাটি এত সুন্দর একটি জায়গা, এমন জায়গায় কিছু বিনোদন স্থান থাকবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে এসে দেখা যাচ্ছে তেমন কিছু নেই। সবাই শুধু প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছে। এটা ভালো, কিন্তু এখানকার চিড়িয়াখানায় এসে দেখা যাচ্ছে তেমন কিছু নেই, তাই আসলে অতটা ভালো লাগে না। কিছু পশুপাখি এবং এর পরিবেশ ভালো হলে অনেক ভালো হয়।

মামুনুর রশিদ মামুন নামে একজন বলেন, আমি রাঙামাটির ছেলে। এখানে আমি প্রায় সময় বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে আসি। তেমন কিছু নেই চিড়িয়াখানায়, শুধু পাহাড় ঘেরা রাঙামাটির প্রাকৃতিক দৃশ্যটা দেখা ছাড়া।

তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি পর্যটন জেলা হিসেবে সারা দেশে পরিচিত। তাই আমাদের মনে হয় এটিকে আরো পর্যটনবান্ধব করতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

এই ব্যাপারে কিছুটা আশার কথা শোনালেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।

তিনি বলেন, চিড়িয়াখানা আমাদের প্রকল্পে নেই। তবুও এটি যখন আমরা নির্মাণ করেছি, এটিকে পূর্ণাঙ্গ করার দায়িত্ব আমাদের।

তিনি আরো বলেন, আমরা চট্টগ্রামের সঙ্গে কথা বলেছি, সেখান থেকে কিছু পশুপাখি এনে এটিকে আরো উন্নত করবো। পর্যটকরা যাতে এখানে এসে ভালো পরিবেশ এবং কিছু পশুপাখি দেখতে পায়।

 

 

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/রেজাউল করিম/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়