ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

'অবৈধ সম্পদ বা মানিলন্ডারিংয়ের সুযোগ নেই'

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫২, ২৫ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
'অবৈধ সম্পদ বা মানিলন্ডারিংয়ের সুযোগ নেই'

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী বলেছেন, 'জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন আর মানিলন্ডারিংয়ের সুযোগ নেই। বাংলাদেশের বাইরে যদি কোনো আয়-ব্যয় থাকে তা বাংলাদেশের বাইরের বৈধ আয় থেকেই হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

রোববার সকাল সোয়া ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ।

মাহী বি চৌধুরী বলেন, একটি অভিযোগ এসেছে আমার নামে, সেই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করছে দুদক। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য আমার বক্তব্য নেওয়া প্রয়োজন ছিল। সেজন্য দুদক আমাকে ডেকেছে, আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি। আগামী ২৭ কিংবা ২৮ তারিখে আমি আমার পুরো বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে খোলাসা করবো।

তিনি বলেন, আমি মনে করি দুদক-এ যেহেতু অভিযোগ এসেছে, দুদক প্রকৃত অথোরিটি। সত্য উদঘাটনের জন্য সময় দরকার। আমার কাছে দুদক যেসব তথ্য চেয়েছে সেগুলো আমি দেব। দুদক তার মতো কাজ করবে, এর পাশাপাশি আমার কিছু কাজ করতে হবে। পরবর্তিতে সংবাদ সম্মেলনে সব বলবো। অভিযোগে সত্যতা কতটুকু, এর পেছেনে কী ষড়যন্ত্র রয়েছে তা বলবো।

নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মাহি বি চৌধুরি বলেন, নির্দোষ প্রমাণ করার কিছু নেই, আমি নির্দোষ, এটা আপনারা দেখতে পাবেন।

হয়রানি করা হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না না, হয়রানির কিছু নেই। গত ২৫ দিন ধরে আমি চুপচাপ আছি। যা ইচ্ছে এক তরফাভাবে বলা হচ্ছে। এও দেখেছি যে ঘুরে ঘুরে হকার, ব্রোকার বলে বেড়াচ্ছে গরম খবর, গরম খবর-মাহী চৌধুরীর ছয় বাড়ি! এগুলো আমাদের পলিট্রিক্যাল ট্রায়ালে বেশি হয়।

তিনি বলেন, যিনি অভিযোগ করেন তার ওপরই দায়িত্ব বর্তায় অভিযোগ প্রমাণের। অভিযোগ আসার সাথে সাথেই যদি মিডিয়া ট্রায়াল হয়ে যায়, তাহলে যারা শুধু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বিশ্বাস করেন তারা এগুলো প্রচার করেন অন্যভাবে। এ অভিযোগগুলো নির্বাচনের আগে থেকে আসা শুরু হয়েছে। আমি দেখেছি, এগুলো মোটামুটি একই অভিযোগ। দুর্নীতি দমন কমিশনকে সঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া না হলে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে না।

‘দুদক আমাকে তলব করেছে বলে আমি অভিযুক্ত তবে এখনও দোষী না। অনেক সময় আমাদেরকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হয় রাজনীতির কারণে। ধৈর্য্য ধারণ করলে সত্য উদঘাটিত হবে, তা আমি বিশ্বাস করি’- বলে মাহি মন্তব্য করেন।

একই অভিযোগে তলব করা হলেও হাজির হননি মাহি বি চৌধুরীর স্ত্রী আশফাহ হক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ। আমি আমার স্ত্রীকে রিপ্রেজেন্ট করি। আমি এসেছি এটাই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।

গত ৭ আগস্ট তাদেরকে তলব করে দ্বিতীয় দফায় চিঠি দেয় সংস্থাটি। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে আরো সময় চেয়ে মাহি দম্পতির আবেদনের বিপরীতে ১৮ দিন সময় দিয়ে আজ (২৫ আগস্ট) উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য ফের তলবি নোটিশ পাঠিয়েছিল দুদক।

এর আগে গত ২৮ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলের গুলশানের বারিধারার (রোড নং ১২, বাড়ি ১৯) ঠিকানায় তলবি নোটিশ পাঠানো হয়। যেখানে তাদেরকে ৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় হাজির হতে বলা হয়েছিল।

মাহি বি চৌধুরী ও তার স্ত্রী আশফাহ হকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ আগস্ট ২০১৯/এম এ রহমান/নবীন হোসেন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়