ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অর্থ আদায়ের দায়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর অর্ধশত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে প্রশাসন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচটি অনুসন্ধান ও তদারক কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা অধিদপ্তর ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তালিকা পাঠানো হচ্ছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘শিক্ষার্থী ভর্তি ও বেতন-ফি আদায়ে সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করে গুরুতর অনিয়ম করেছে নগরীর প্রায় অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া তালিকার ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে আমরা সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ চলতি সপ্তাহেই এই তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ভর্তি, ছাড়পত্র ও বেতন ফির ক্ষেত্রে ইচ্ছেমতো অর্থ আদায়ের অভিভাবকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তদারকিতে পাঁচটি কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিটি কমিটিতে ছয়জন করে সদস্য রাখা হয়। কমিটিগুলো গত ১৯ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত নগরীর শতাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও বেতন-ফি আদায়সহ সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সংগ্রহ করে। তথ্য সংগ্রহ শেষে কমিটিগুলো গতকাল সোমবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও আইসিটি) কাছে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফিন।

তদারক কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো নীতিমালা না মেনে যা করছে তা গুরুতর অনিয়ম। বেতন বর্ধিতকরণে জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নেওয়ার বিধান থাকলেও কোনো প্রতিষ্ঠানই এ নিয়ম মানেনি। নিজেরা ইচ্ছেমতো বেতন বাড়িয়েছে। এ ছাড়া ছাড়পত্র প্রদানেও ইচ্ছেমতো ফি আদায় করছে। প্রতিবেদনে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই শাস্তিমূলক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেন।

 

 

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৩১ জানুয়ারি ২০১৭/রেজাউল/রুহুল/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়