ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অলস টাকা ২ লাখ কোটি

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অলস টাকা ২ লাখ কোটি

সচিবালয় প্রতিবেদক : দেশের স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ব্যয়ের বাইরে তাদের নিজস্ব তহবিলে থাকা উদ্বৃত্ত টাকা ফেরত দিতে হবে সরকারি কোষাগারে। স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিলে সর্বশেষ ব্যালেন্স আছে ২ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

সোমবার সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের বাধ্যবাধকতা রেখে এ সংক্রান্ত আইন-২০১৯ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

তিনি বলেন, দেশের স্ব-শাসিত সবগুলো প্রতিষ্ঠানে তাদের নিজস্ব তহবিলে সর্বশেষ ব্যালেন্স আছে ২ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এই টাকাগুলো স্থিতি হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংকে অলস পড়ে আছে। এই টাকাগুলো কোনো ভাল কাজে ইনভেস্ট হচ্ছে না, এজন্য সরকার এই আইনের মাধ্যমে এই অলস টাকাগুলো ব্যবহারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।

শফিউল আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই অর্থের কিছু প্রভিশন রেখে বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে নিয়ে আসার জন্য এই আইন পাস করা হয়েছে। এই টাকাটা জনকল্যাণমূলক কাজ যেমন বিভিন্ন প্রকল্প আর্থিক সংকটে আছে, সেগুলোতে ফাইন্যান্স করা হবে।

তবে তারা কিছু কারণে তাদের উদ্বৃত্ত টাকা রেখে দিতে পারবে। কারণগুলোর মধ্যে প্রথমত, এই সংস্থাগুলো তাদের পরিচালন ব্যয় যা দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাৎসরিক ব্যয় হিসেবে প্রয়োজনীয় অর্থ নিজস্ব তহবিলে রেখে দিতে পারবে।

দ্বিতীয়ত, আপদকালীন ব্যয়ের জন্য মোট পরিচালন ব্যয়ের আরও ২৫ শতাংশ এসব প্রতিষ্ঠান রেখে দিতে পারবে।

তৃতীয়ত, প্রতিষ্ঠানে বিধি মোতাবেক পেনশন এবং জিপিএস যেগুলো থাকে সেই অর্থও তারা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে রেখে দিতে পারবে।

তিনি বলেন, এসব ব্যয় নির্বাহের পরে যে অর্থ তাদের কাছে থাকে তা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের বিপদে পরার কোনো কারণ নেই।

এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই তালিকার শীর্ষে আছে ২৫টি প্রতিষ্ঠান, মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৮ টি। আর এসব প্রতিষ্ঠানে অলস টাকা পড়ে আছে মোট ২ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে উদ্বৃত্ত টাকার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা, পেট্রোবাংলায় ১৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা, পিডিপিতে ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা, চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ হাজার ৯১৩ কোটি এবং রাজউকে ৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ সেপ্টেম্বর ২০১৯/আসাদ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়