ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আই ওয়াজ দেয়ার || ইয়াসিন হাসান

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২১, ১৩ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আই ওয়াজ দেয়ার || ইয়াসিন হাসান

ডেডলাইনের চাপ কাগজের পত্রিকায় থাকলেও অনলাইনে নেই। তবে ঘটে যাওয়া খবর বাসি হলে কারোর-ই আগ্রহ থাকে না। তাই অনলাইনে ডেডলাইনের চাপ না থাকলেও রয়েছে সবার আগে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ভয়ানক ও অদৃশ্য চাপ! আবার যেভাবে ‘আগাছা’র মতো অনলাইন পত্রিকা বাড়ছে, তাতে ভালোমানের অনলাইনগুলোর টিকে থাকার জন্য পাঠকদের আস্থা অর্জন করা জরুরি। সেজন্য নির্ভরযোগ্য, নির্ভুল ও সম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা অত্যাবশ্যকীয়। তবে কিছু সময় আসে, যা মানে না কোনো ডেডলাইন! মানে না পেশাদারিত্ব! সময়টা তখন উপভোগ করা জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে বিবেচিত হয়। মনে হয়, বেঁচে থাকাই যেন শুধু ওই মুহূর্তটি উপভোগের জন্য।

লর্ডসে সেদিনের ফাইনালে উপস্থিত থাকা গণমাধ্যমকর্মীরা কী বলবেন? ভারতের সংবাদ প্রতিদিনের ক্রীড়া সম্পাদক গৌতম ভট্টাচার্যের ভাষায়, ‘এটা কোনো ফাইনাল হতে পারে না। এটা জীবন দর্শন। যেখানে রয়েছে ওঠা-নামা, তারই ফাঁকে ফাঁকে মেলে আনন্দ।’ বারবার রং পাল্টানো ম্যাচ কোন দিকে যাচ্ছিল, তা কেউ-ই ধারণা করতে পারছিলেন না। একাধিকবার পরিবর্তন করতে হচ্ছিল ম্যাচ রিপোর্টের ইন্ট্রো, ভেতরের লেখা। জস বাটলার ও বেন স্টোকস যখন ব্যাটিং করছিলেন মনে হচ্ছিল, ঘরের মাঠে ইংলিশরা হাসবে শেষ হাসি। তাদেরকে বিজয়ীর আসনে বসিয়ে লেখা শুরু, ‘বিশ্বকাপের মুকুট জিতল ইংল্যান্ড।’ আবার বাটলার, ওকস যখন দ্রুত আউট হলেন, তখন নিউজিল্যান্ডের জয়ের পাল্লা ভারী হয়ে গেল। মনে হচ্ছিল এবার বুঝি জয় হবে কিউইদের। নতুন শিরোনাম, ‘ক্রিকেটের নতুন চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড।’

কিন্তু স্টোকস যখন শেষ ওভারের আগের ওভারে ছক্কা হাঁকালেন, মনে হলো ইংল্যান্ডই বুঝি জিতবে বিশ্বকাপ। আবার কি-বোর্ডে ঝড় তোলা শুরু মরগানদের পক্ষে। শেষ ওভারে বোল্টের প্রথম দুটি বল ডট হওয়ার পর তৃতীয় বলে ছক্কা! থমকে গেল সব। লর্ডসের ফুল হাউস গ্যালারির মতো গণমাধ্যমকর্মীরাও গালে হাত দিয়ে বসে আছে। এমন সময়ে স্নায়ু বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচ রিপোর্ট করা তো অনেক পরের কথা। তাইতো পাকিস্তানের এক সাংবাদিক বলে ওঠেন, ‘ছাড়ো তো! ম্যাচ দেখো। পরবর্তী শতাব্দীতেও এমন ম্যাচ দেখতে পারবে না।’ ঠিক পাশেই ছিলেন ইংলিশ সাংবাদিক পিটার বুক। সেখানকার টেবলয়েডে কাজ করেন। বলছিলেন, ‘বসকে বলেছি সময় লাগবে। আমি আগে ম্যাচ দেখি তারপর সবকিছু।’

শেষ ৩ বলে দরকার ৯। দুটি বাউন্ডারি হলেই হয়। চতুর্থ বলে ডাবলের সঙ্গে ওভার থ্রো থেকে বাউন্ডারি মিলিয়ে এলো ছয় রান। এবার আর ইংল্যান্ডকে থামায় কে? শেষ দুই বলে দরকার ৩ রান। কিন্তু ফাইনালের স্ক্রিপ্ট তো ছিল ভিন্ন। সবচেয়ে আলাদা। রং পাল্টানো ম্যাচের প্রথমাংশ শেষ হলো নাটকীয় টাইয়ে। আচ্ছা বলুন তো বিশ্বকাপের আগের এগারো আসরের ফাইনালে টাই হয়েছিল কয়টি? উত্তর, একটিও না। শুধু ফাইনালে কেন? বিশ্বকাপ ইতিহাসেই টাই হয়েছে কয়টি? উত্তর, হাতে গোনা চারটি। দ্বাদশ আসরের ফাইনাল পেল সবকিছু।

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম সুপার ওভার, সেটাও বিশ্বকাপের মঞ্চে। কী অদ্ভুত, সুপার ওভারও হলো টাই। আগে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড করে ১৫। শেষ বলে গাপটিল দুই রান তাড়া করতে গিয়ে রান আউট হন জোফরা আর্চারের বলে। ওদের স্কোরবোর্ডেও রান ১৫। দ্বিতীয়াংশও টাই। ফলে ম্যাচের ফল নির্ধারণ হলো বাউন্ডারিতে। সুপার ওভারসহ ইংলিশদের বাউন্ডারি ছিল মোট ২৬টি, নিউজিল্যান্ডের ১৭টি। এমন কিছুর জন্য কি প্রস্তুত ছিল ক্রিকেট বিশ্ব? রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, উল্লাস সবকিছু ছিল। প্রতিটি ঘণ্টা, প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি সেকেন্ডে স্নায়ু ওঠা-নামা করছিল। শেষ বল পর্যন্ত বলা যাচ্ছিল না কারা জিতবে ফাইনাল। সেই রকমই এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে লর্ডস। গর্ব করে বলা যায়, ‘ইয়েস, আই ওয়াজ দেয়ার।’

ইংলিশদের জন্য বিশ্বকাপের মুকুট কতটা গুরুত্ববহন করে, তা তাদের উল্লাস দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। লর্ডসের ৩০ হাজার আর ট্রাফালগাল স্কয়ারের সামনে এক লাখ দর্শকের কণ্ঠে ‘গো অন ইংল্যান্ড।’ লর্ডসের ব্যালকনির ওপরে-নিচে যে গ্যালারি, তা প্যাভিলিয়ন নামে পরিচিত। আরো ভেঙে বললে, লর্ডস গার্ডেন প্রান্ত। ওখানে যারা খেলা দেখেন তারা ক্রিকেট সম্ভ্রান্ত। দামি স্যুট-কোট, হ্যাট পরে মাঠে আসেন। চার-ছক্কা, বাউন্ডারি তাদের ততটা মন গলাতে পারে না। হাত তালিতেই সীমাবদ্ধ তাদের উল্লাস। সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, ওখানটায় কোনো পতাকা থাকে না। স্বাগতিক দেশ হিসেবে ইংল্যান্ডের পতাকা রাখা-ই যায়। কিন্তু কেন যেন ওই প্যাভিলিয়নে কোনো পতাকাও থাকে না। হয়তো তারা ক্রিকেটের সমর্থক! কোনো দেশ, দল, ক্রিকেটারের সমর্থক নন। তবে লর্ডসের ফাইনাল তাদের গাম্ভীর্য টিকতে দেয় না। নেচে-গেয়ে, উল্লাসে মেতে তারাও ফাইনাল উপভোগ করেছেন। শেষ ঘণ্টায় তারাও ছিল অন্যদের মতো উন্মাতাল।

ইংল্যান্ডের এ লড়াইটা শুরু হয়েছিল লর্ডসের ফাইনালের ১৫৮৮ দিন আগে। অ্যাডিলেডে রুবেল হোসেনের ইনসুইং ইয়র্কারে যখন জেমস অ্যান্ডারসনের উইকেট ভাঙে, তখন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় মরগান, বাটলারদের। পরপর দুই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে তাদের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ! সেই রাতের পর নতুন ভোরে পুরো ইংল্যান্ড দল নতুন শপথ নেয়, নতুন মিশনের নামে। চার বছর পর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। যে করেই হোক শিরোপা-খরা কাটাতেই হবে। কথা মতো কাজ। মরগানকে দীর্ঘ পরিকল্পনায় দেওয়া হয় দায়িত্ব। পুরোনো অধিনায়ক নতুন তত্ত্ব নিয়ে শুরু করেন যাত্রা। আগ্রাসন ও অকুতোভয়। নাসের হুসেইন ডেইলি মেইলে এক কলাম লিখেছেন, ‘আক্রমণাত্মক, নির্ভীক ও নির্মম; মরগানের জন্য এ তিনটি বিশেষণ শ্রেয়।’ 

২০১৫ থেকে ২০১৯। অস্ট্রেলিয়া থেকে ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেড থেকে লর্ডস। মাঝে ১০ হাজার মাইলের দূরত্ব। চার বছরে দিনের ব্যবধান ১৫৮৮। সময়ের ব্যবধান ৩৮, ১১২ ঘণ্টা। এ সময়ে মরগান, বাটলার, ওকসদের মাথায় ঘুরেছে শুধু বিশ্বকাপ। দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল শেষমেশ ভোগ করতে পারল ইংল্যান্ড। ঘুচল শিরোপার আক্ষেপ। ১৯৭৫ সালে তাদের ঘরে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপ। ৪৪ বছর, ১১ আসর পর ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ডের ঘরে গেল অরাধ্য সেই সোনালি ট্রফিটি। এ যেন ট্রফিরই আক্ষেপ, এত বছর খুঁজে নেয়নি তার আপন ঠিকানা।

আনবিলিভেবল! এ শব্দটা দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল বেন স্টোকসের। সীমানায় দাঁড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার আন্দিলে ফিকোয়াওয়ের যে ক্যাচ স্টোকস ধরেছিলেন, তাতে বুঁদ হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। সেই স্টোকস ইংল্যান্ডের ফাইনালের নায়ক। ২২ গজে তার দোর্দণ্ড প্রতাপ যেন মনে করিয়ে দেয় তিন বছর আগের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের ‘পাপ-মোচন’ করছেন। চার বলে চার ছক্কা মেরে ইংল্যান্ডকে শিরোপা জিততে দেননি ক্যারিবীয় দানব কার্লোস ব্রাফেট। স্টোকস ছিলেন সেদিনের খলনায়ক। তিন বছরের ব্যবধানে স্টোকস হয়ে গেলেন নায়ক। ইংলিশদের সবচেয়ে বড় ধ্রুবতারা। যার আলোয় চ্যাম্পিয়ন গীত গাইছে পুরো ইংল্যান্ড।
‘চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন
উই আর দ্য চ্যাম্পিয়ন...’

তবে আয়োজক হিসেবে ইংল্যান্ড কখনোই পাবে না লেটার মার্কস। আসলে টেনেটুনে পাস করতে পারবে কি না, সেটাতেও সন্দেহ! উপমহাদেশের ক্রিকেট আয়োজন আর বাইরের আয়োজনের পার্থক্য কী? উপমহাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন হলে পুরো জাতি ক্রিকেট জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আর ইউরোপে! ক্রিকেট উন্মাদনা ওই স্টেডিয়াম পাড়াতেই সীমাবদ্ধ। বাকিংহ্যাম প্যালেসের সামনে ‘দ্য মলে’ বসেছিল দ্বাদশ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যেখানে দ্বিতীয় রানি এলিজাবেথের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দশ দলের অধিনায়ক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও হয়েছে অনেকটা সাদামাটা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেছেন হাতে গোনা চারশ জন! ইংল্যান্ডের গণমাধ্যমেরও বিশ্বকাপ নিয়ে তেমন প্রচারণা ছিল না। বিশ্বকাপের মতো আয়োজনের খবর তাদের পত্রিকায় ঠাঁই হয় ভেতরের পৃষ্ঠায়! আর উইম্বলডনের ছবিসহ খবর দেওয়া হয় প্রথম পাতায়। উত্তাপ না ছড়ানোর পেছনে আয়োজকদের দায় অনেকটুকু। যে ১১টি শহরে বিশ্বকাপের খেলা হয়েছে, সেই শহরগুলোতে বিশ্বকাপের ব্যানার, ফেস্টুন নেই বললেই চলে। মাঠ ও সংশ্লিষ্ট এলাকা ছাড়া বিশ্বকাপের আঁচ বোঝা দায়। কিছুটা অবাকই হতে হয়।

৯২-এর বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম বিশ্বকাপে ছিল না কোনো গ্রুপ। অংশগ্রহণকারী সবগুলো দল খেলেছে প্রত্যেক দলের সঙ্গে। ফলে এবারের চ্যাম্পিয়নকে ক্রিকেট বিশ্বের রাজা বলতে কোনো দ্বিধা নেই। অনেক কাঠখড় পুড়িয়েই তারা সিংহাসনে বসেছে। ৪৮ ম্যাচের এ বিশ্বকাপ মনে করিয়ে দেয় অনেক স্মৃতি। কত কিছুই না হলো বিশ্বকাপে। এক আসরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি, এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে দুটি হ্যাটট্রিক, মরগানের ১৭ ছক্কা, সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে শাহীন শাহ আফ্রিদির লর্ডসে পাঁচ উইকেট পাওয়া- সবই তো হয়েছে এবারের বিশ্বকাপে। আইসিসি বিশ্বকাপের হাইলাইটসে যে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের একজন ছিলেন- সাকিব আল হাসান।

বিশ্বকাপে ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট নিয়ে সাকিব নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সমকালের সেরা তো অবশ্যই। মহাকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন বাংলাদেশের বাঘ সাকিব। সাকিব যেন ওয়ান ম্যান আর্মি! বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র পাঁচজন ব্যাটসম্যান এক আসরে ছয়শ’র বেশি রান করেছেন। সাকিব তাদের মধ্যে একজন। আর বিশ্বকাপের এক আসরে পাঁচশ রান ও দশ উইকেট নেওয়া একমাত্র খেলোয়াড় কিন্তু সাকিব। কেন তাকে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডার বলা হয়, ক্রিকেট বিশ্ব চেয়ে দেখেছে প্রাণ ভরে। এমন পারফরম্যান্সের পরও কেন সাকিব বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হতে পারেননি, সেটা নিয়ে অনেক মত আছে। পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে। তবে একটি দিক গাঢ় করে বিবেচনা করা উচিত, সাকিবের পারফরম্যান্স কতটুকু দলে প্রভাব রেখেছে? বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়, অভাবনীয় পারফরম্যান্সের পরও বাংলাদেশ দশ দলের বিশ্বকাপে অষ্টম! অন্যদিকে সেরার মুকুট পাওয়া কেন উইলিয়ামসনের একার পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ড রানার্সআপ। সেরাদের সেরা খেলোয়াড় হতে আর কিছুর দরকার কি আছে?

এবারের বিশ্বকাপ বিদায় দিয়েছে বেশ কয়েকজন কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে, যাদেরকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেখা যাবে, কিন্তু বিশ্বমঞ্চে পাওয়া যাবে না। সবার আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির নামই যে আসবে। ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এবারো ছিলেন ভারতের স্বপ্নসারথী। কিন্তু সেমিফাইনালে শেষ তার মিশন। এ মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছেন ক্রিস গেইল। আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, শোয়েব মালিক ও লাসিথ মালিঙ্গা। যাদের শূন্যস্থান পূরণ হবে না কখনোই।

ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড। অথচ ক্রিকেট জীবনের ধারকও হতে পারে না! ফুটবল ও রাগবি বলতে তারা পাগল। সেই দেশে এবার গেল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। এই মুকুট দিয়ে নতুন পথচলা শুরু হবে বলে বিশ্বাস করেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। তাইতো টেলিগ্রাফ পত্রিকা বড় করে শিরোনাম করে, ‘দ্য নিউ বিগান।’ ভেতরের কথা, ‘জয়গান ছিল এখন জাগরণ শুরুর অপেক্ষায়।’ যাক এবার অন্তত ক্রিকেট নিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে ক্রিকেট জন্মভূমিতে। সেই পথচলার সঙ্গী ছিলাম আমিও। গর্ব করে বলতে পারব, ‘ইয়েস, আই ওয়াজ দেয়ার হোয়েন ইট বিগান!’

বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান

সর্বোচ্চ রান: রোহিত শর্মা- ৬৪৮
সেরা ইনিংস: ডেভিড ওয়ার্নার- ১৬৬
সর্বাধিক সেঞ্চুরি: রোহিত শর্মা- ৫
সর্বোচ্চ উইকেট: মিচেল স্টার্ক- ২৭
সেরা বোলিং: শাহীন শাহ আফ্রিদি- ৩৫/৬
সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট: মুস্তাফিজুর রহমান- ২
সেরা অলরাউন্ডার: সাকিব আল হাসান- ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট
সর্বোচ্চ ক্যাচ: জো রুট- ১৩

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ আগস্ট ২০১৯/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়