ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আওয়াজ তোলার অপেক্ষায় সেনাবাহিনীর রকেট লঞ্চার

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ১১ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আওয়াজ তোলার অপেক্ষায় সেনাবাহিনীর রকেট লঞ্চার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সর্বশেষ সংযোজন হয়েছে মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার।

সর্বনিম্ন ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রুর যেকোনো স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম স্বয়ংক্রিয় মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চারটি, যা দিয়ে একই সঙ্গে ৪০টি গোলা নিক্ষেপ করা সম্ভব।

চীনের তৈরি রকেট লঞ্চারটি সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হলেও এখন পর্যন্ত গোলা ছুঁড়ে পরীক্ষা করা হয়নি। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে এর কার্য্কারিতা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

এ ছাড়া সর্বশেষ বাহিনীটিতে সংযুক্ত হয়েছে ২০০০ কিলোমিটার দূরপাল্লার বিমান বিধ্বংসী কামান। যেখানে সেনাবাহিনীতে আগের বিমান বিধ্বংসী কামানের ক্ষমতা ছিল মাত্র ৮০০ কিলোমিটার।

এমন নতুন সমরাস্ত্রসহ সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত বেশকিছু প্রযুক্তি ও অস্ত্রের তথ্য এবং সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডের জানা-অজানা তথ্য জানছেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা।

মেলায় উপস্থিত সেনাবাহিনীর করপোরাল মো. সাইদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আধুনিক হওয়ার পাশাপাশি দেশের পদ্মা সেতু প্রকল্প, হাতিরঝিল প্রকল্পসহ বেশ কিছু বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে।’

উন্নয়ন মেলা ২০১৭ উপলক্ষে সেনাবাহিনীর প্যাভিলিয়নের পাশাপাশি আরো রয়েছে বিমান ও নৌবাহনীর প্যাভিলিয়ন, যা মেলায় উপস্থিত দর্শনার্থীর প্রধান আকর্ষণ।

‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ এই স্লোগান নিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় চলছে উন্নয়ন মেলা-২০১৭। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে কেন্দ্র করে গত ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই উন্নয়ন মেলার আজ শেষ দিন। বিকেলে শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের  মেয়র সাঈদ খোকনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

রাজধানীতে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে তিন দিনব্যাপী এ মেলা ঢাকা প্রশাসন আয়োজন করেছে। মেলা প্রাঙ্গনকে নয়টি ব্লকে ভাগ করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ৮৮টি প্রতিষ্ঠানের স্টল রাখা হয়েছে। মেলায় প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পৃথক স্টল রাখা হয়েছে।

বুধবার মেলার তৃতীয় ও শেষ দিনেও দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। তবে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড় একটু বেশি।

উন্নয়ন মেলায় কোনো রকম টিকিট ছাড়াই সর্বসাধারণের জন্য সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। বর্তমান সরকারের সময় নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে দেশের প্রান্তিক জনগণসহ আপামর জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এ উন্নয়ন মেলা।

এর আগে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নবিষয়ক তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা সারা দেশে আয়োজন করে সরকার।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জানুয়ারি ২০১৭/এম এ রহমান/সাইফুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়