ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আরএডিপিতে বরাদ্দ হ্রাসের কারণ জানতে চিঠি

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০১, ৪ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আরএডিপিতে বরাদ্দ হ্রাসের কারণ জানতে চিঠি

২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) প্রকল্প সাহায্যের বরাদ্দ চাহিদা পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা করে বরাদ্দ হ্রাসের যৌক্তিক তথ্য পাঠাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে চিঠি দিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক সূচকগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ব্যবসায়িক সম্প্রদয়ের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জিডিপিতে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গঠন এবং সার্বিকভাবে অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করতে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ খাতে অধিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ এবং নৌপথ ও বন্দর প্রভৃতি খাতে বেসরকারি ও দেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় নীতি-কৌশলসমূহের আলোকে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা হয়েছে। এছাড়া, জাতীয় আয়ের ৯ শতাংশ এডিপিতে ব্যয় করার উদ্দেশ্যে বাজেট কৌশল সমন্বয় করা এবং সে লক্ষ্যে বিদেশি অর্থায়নের কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয়েও সরকার প্রতিশ্রুত।

নাম উল্লেখ না করে একটি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেয়া চিঠির তথ্য দিয়ে সূত্র জানায়, অনেক মন্ত্রণালয়/বিভাগকে এডিপিতে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। ফলে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অব্যবহৃত অর্থ ফেরত আসে। অথচ অনেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ অর্থের অভাবে অনেক প্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে না।

ওই সূত্র আরো জানায়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রকল্প সাহায্যের বরাদ্দ চাহিদা নিরুপণের জন্য গত ২৬ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগে চিঠি দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়/বিভাগ থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ চাহিদা চূড়ান্ত করার জন্য গত ৩-৫ ডিসেম্বর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। বৈঠকে মন্ত্রণালয়/বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে দেখা যায় যে, একটি মন্ত্রণালয়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দের চেয়ে আরএডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দের চাহিদা ২ হাজার ৬৬৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা কম, যা এডিপির চেয়ে ১ দশমিক ৩ শতাংশ কম। বরাদ্দ চাহিদা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় এডিপি বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের  সচিবের সরাসরি তত্ত্বাবধান ও নিবিড় পরিবীক্ষণ ইতিবাচক ফলাফল অর্জনে সহায়ক হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রকল্প লক্ষ্যগুলোর চাহিদা হ্রাসের কারণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে অর্থবছরের বাকি সময়ে এডিপি বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। এ বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের পক্ষ থেকে বৈদেশিক সহায়তা/অর্থায়নের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা বা জটিলতা থাকলে এ বিষয়ে ইআরডি থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ অবস্থায় এডিপি বাস্তবায়ন ও বৈদেশিক সহায়তা সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সরকারের কৌশল  ও নীতিমালা বিচেনায় রেখে আরএডিপিতে মন্ত্রণালয়/ বিভাগের বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ চাহিদা পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা করে বরাদ্দ চাহিদা যৌক্তিকভাবে সংশোধন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। এছাড়া, বরাদ্দ চাহিদা হ্রাসের কারণ উল্লেখ করে ইআরডিকে জানানোর পর সে তথ্যের ভিত্তিতে অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে ইআরডি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) চূড়ান্ত করবে।


ঢাকা/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়