ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আসছে গবেষণাগারে তৈরি মাংস!

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৩, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আসছে গবেষণাগারে তৈরি মাংস!

আহমেদ শরীফ : ভাবুন তো আপনি বাজারে গিয়ে কসাইয়ের দোকান থেকে গরুর মাংস কিনছেন না আর। বরং গবেষণাগারে তৈরি মাংস কিনছেন বড় দোকানে গিয়ে বা সেই মাংস খাচ্ছেন বড় রেস্টেুরেন্ট।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আসতে যাচ্ছে গবেষণাগারে তৈরি তেমন মাংস। বৃটেনের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, পুরো বিশ্বে মাংসের যোগান দিতে গরু সহ গবাদিপশু পালন ও হত্যায় যে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে তা ব্যাপক হারে রোধ করা যাবে গবেষণাগারে প্রস্তুত মাংসের যোগান দিয়ে।

বৃটেনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাডাম স্মিথ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ৯৬ শতাংশ কমাতে ও গবাদিপশু পালন থেকে ৯৯ শতাংশ ভূমি উদ্ধার করতে মাংস উৎপাদন শিল্প থেকে দূরে সরে আসতে হবে। গবাদিপশুর খাবার হিসেবে বন উজাড় করায় পরিবেশের যে বিপর্যয় হচ্ছে তা ঠেকানো যাবে বলছেন গবেষকরা।

এই লক্ষে গবেষকরা এরই মাঝে গবেষণাগারে উৎপাদন করছেন মাংস। যদিও তা এখনো বাণিজ্যিকভাবে প্রসার লাভ করেনি। তবে আমেরিকায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুব শিগগিরই গবেষণাগারে তৈরি মাংস বাজারে নিয়ে আসতে যাচ্ছে।

গরু বা অন্য গবাদিপশুর কোষ নিয়ে প্রযুক্তির সহায়তায় গবেষণাগারে সেই কোষকে বড় করে তা খাওয়ার উপযোগী করে তোলা হচ্ছে এই পদ্ধতিতে।  গবেষণাগারে তৈরি মাংস পরিবেশবান্ধব হবে বলেও দাবি করছেন গবেষকরা।

ল্যাবরেটরির ক্লিন মিট প্রকৃত মাংস, এটা পশু হত্যা না করে পশুর কোষ নিয়ে গবেষণা করেই পাওয়া যাবে, বলছেন গবেষকরা। নেদারল্যান্ডে এরই মাঝে গত ৫ বছর ধরে ‘মোসা মিট’ বা ল্যাবরেটরিতে তৈরি মাংস উৎপাদনে গবেষণা চলছে। ২০১৩ সালে মার্ক পোস্ট ও পিটার ভারস্টেট নামের দুই গবেষক বিশ্বের প্রথম গবেষণাগারে তৈরি মাংস দিয়ে হ্যামবার্গার তৈরি করেছেন। এখন এ গবেষণায় ৭.৫ মিলিয়ন ইউরো ফান্ড গড়ে উঠেছে।

আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গবেষণাগারে তৈরি মাংস বাজারে আসবে বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। আর বড় সব রেস্টুরেন্টে সেই মাংসের তৈরি হ্যামবার্গার অন্তত ১১ ডলার করে বিক্রি হবে বলেছেন তারা।



তথ্যসূত্র : স্কাই নিউজ

পড়ুন : *

           *




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়