ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ইয়াবা কারবারীর ৪০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩০, ১ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইয়াবা কারবারীর ৪০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

কক্সবাজার প্রতিনিধি : আদালতের নির্দেশে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় তিন ইয়াবা কারবারীর দুটি আলিশান বাড়িসহ অন্তত ৪০ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশ।

শনিবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়ায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

তিন ইয়াবা কারবারী হলেন- টেকনাফ সদরের নাজির পাড়ার এজাহার মিয়া (৭০), তার দুই ছেলে নুরুল হক ভূট্টো (৩২) ও নুর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী (৩৫)।

পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে নুরুল হক ভূট্টোর নাম সরকারের তৈরি সর্বশেষ ইয়াবা কারবারীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। নুর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী দুই মাস আগে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে, রাজপ্রাসাদের মতো দুটি আলিশান বাড়ি, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী, ভিটে ও জমি-জমাসহ স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ৪০ কোটি টাকার সম্পদ। এর মধ্যে ১৫ কোটি টাকার স্থাবর এবং ২৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ।

ওসি প্রদীপ বলেন, তিন ইয়াবা কারবারী পিতা-পুত্রের বাড়িসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের জন্য আদালতের নির্দেশনা বৃহস্পতিবার টেকনাফ থানায় পৌঁছায়। আদালতের নির্দেশনা পেয়ে পুলিশের একটি দল শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টেকনাফের নাজির পাড়ায় অভিযান চালায়।



‘‘এ সময় আলিশান বাড়িগুলোতে অবস্থানকারী লোকজনকে বের করে দিয়ে পুলিশের জিন্মায় নিয়ে আসা হয়। পরে বাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী, ভিটে ও জমি-জমাসহ বিভিন্ন ধরণের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়। জব্দ করা সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্য আনুমানিক ৪০ কোটি টাকারও বেশি।’’

ওসি বলেন, জব্দ করা বাড়ি সিলগালা করে পুলিশ পাহারায় রয়েছে। এ ছাড়া বাড়ির আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রীসহ জব্দকৃত অস্থাবর সম্পদ থানায় নিয়ে আসা হয়।

তিনি বলেন, গত ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট টেকনাফ থানায় দায়ের হওয়া একটি মাদক মামলায় ২ নম্বর আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী। ১ নম্বর আসামি নুরুল হক ভূট্টো এবং ১০ নম্বর আসামি এজাহার মিয়া পলাতক। এ ছাড়া ২০১০ সালে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মানিলন্ডারিং মামলা রয়েছে।

‘‘এ সব মামলায় গত ১৪ মে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক হাকিম খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজ তিন আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পদের তালিকা এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে তাদের সম্পদের বিবরণী আদালতে উপস্থাপনের পর গত ২৩ মে বিচারিক হাকিম খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজ জব্দ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। আদালতের এ নির্দেশনা গত বৃহস্পতিবার থানায় এসে পৌঁছায়।”

অভিযানে জব্দ করা তিন ইয়াবা কারবারীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক  হালনাগাদের হিসাব আদালতে পুলিশ উপস্থাপন করবে বলে জানান প্রদীপ কুমার।



রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/১ জুন ২০১৯/সুজাউদ্দিন রুবেল/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়