ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ঈদযাত্রার দুর্ঘটনায় নিহত ২৫৩, আহত ৯০৮

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ১৮ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঈদযাত্রার দুর্ঘটনায় নিহত ২৫৩, আহত ৯০৮

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহায় সড়ক, রেল ও নৌপথে ২৪৪টি দুর্ঘটনায় মোট ২৫৩জন নিহত এবং ৯০৮জন  আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পৃথকভাবে শুধু সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২২৪জন এবং আহতের সংখ্যা ৮৬৬জন। তবে দুর্ঘটনা ও হতাহতের এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম।

রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ‘রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতিসহ সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহনের কারনে সড়ক দুর্ঘটনা ৬.৪০ শতাংশ, নিহত ৬.২৫ শতাংশ এবং আহত ১.৫০ শতাংশ কমেছে। এ বছর মোট সংগঠিত ২০৩টি সড়ক দুর্ঘটনার ৬৭টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সাথে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩ শতাংশ। যেখানে মোট নিহতের সংখ্যা ৩৪.৩৭ শতাংশ এবং মোট আহতের ৮.৪২ শতাংশ। অন্যদিকে পথচারীদের গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা ৫২.২১ শতাংশ ঘটেছে। আগামী ঈদের এই দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রায় ৮৫.২১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’

তিনি আরো জানান, ‘এবারের ঈদযাত্রার দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে ৩৭জন চালক, ৩ শ্রমিক, ৭০ জন নারী, ২২ জন শিশু, ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী, ৩ জন সাংবাদিক, ২ জন চিকিৎসক, ৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য, ৩ জন রাজনৈতিক নেতা, ৯০০ জন যাত্রী ও পথচারী।’

সংগঠিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৭.৪ শতাংশ বাস, ২৬.৩৩ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৬.৪ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান-লরি, ৭.৮২ শতাংশ কার-মাইক্রো, ১৩.৫২ শতাংশ অটোরিক্সা, ৩.৫৫ শতাংশ নছিমন-করিমন, ৪.৯৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক এসব দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলো।
সংগঠিত দুর্ঘটনার ২১ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৫২ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ১৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা ও ৯.৮৫ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারনে ঘটেছে।

ঈদের আগে যেভাবে মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় এবং যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকে, ঈদের পরে তার বিপরীত চিত্র দেখা যায় উল্লেখ করে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঈদযাত্রাপথে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়াতে ঈদের পরেও একই ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থাগ্রহণ প্রয়োজন। তাহলে দুর্ঘটনার হার অনেক কমানো সম্ভব। কারন ঈদের পরই দুর্ঘটনা বেশি হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএ-এর সাকে চেয়ারম্যান তাইবুর রহমান, যাত্রী অধিকার আন্দোলনের সভাপতি কেফায়েত শাকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ আগস্ট ২০১৯/রেজা/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়