ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

উত্তরের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ে আলোচনার প্রস্তাব দক্ষিণের

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ২ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উত্তরের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ে আলোচনার প্রস্তাব দক্ষিণের

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন (ডানে)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শীতকালীন অলিম্পিক গেমস ২০১৮-তে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য অংশগ্রহণ নিয়ে দেশটির সঙ্গে ৯ জানুয়ারি উচ্চপর্যায়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

ফেব্রুয়ারি মাসে খেলা উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়োংচাংয়ে উত্তর কোরিয়ার টিম পাঠানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান কিম জং-উন। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলো।

সোমবার নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে কিম জং-উন বলেন, ‘খেলায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে দুই পক্ষের জরুরি আলোচনায় বসা উচিত।’

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জে-ইন বলেন, কিম জং-উনের এই প্রস্তাবকে ‘চরম উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্পর্কোন্নয়নের সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন তিনি। তার এ বক্তব্যের পর দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণমন্ত্রী চো মায়ুং-গাইয়োন মঙ্গলবার বললেন, দুই দেশের প্রতিনিধিরা পানমুনজমে আলোচনায় বসতে পারেন।

উল্লেখ্য, দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী অসামরিক অঞ্চলে (সীমান্ত) উভয় বাহিনীর উচ্চ নজরদারিতে থাকা ‘যুদ্ধবিরতি গ্রাম’ পানমুনজম। প্রয়োজনে দুই কোরিয়ার প্রতিনিধিরা সাধারণত এই গ্রামে আলোচনায় বসে থাকেন।

চো মায়ুং-গাইয়োন বলেন, ‘আমরা আশা করছি, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া মুখোমুখি বসতে পারে এবং পিয়োংচাংয়ে অনুষ্ঠেয় খেলায় উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিয়ে কথা বলতে পারে। এর পাশাপাশি আন্তঃকোরীয় সম্পর্কোন্নয়নের মতো যৌথ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রস্তাবিত আলোচনায় প্রতিনিধি হিসেবে কারা অংশ নিচ্ছেন, তা এখনো জানা যায়নি। এ ছাড়া এ প্রস্তাবের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

২০১৫ সালে দুই কোরিয়ার যৌথ শিল্পাঞ্চল কায়েসংয়ে শেষবার মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিল সিউল ও পিয়ংইয়ং। কোনো চুক্তি ছাড়াই সেই বৈঠক শেষ হয়েছিল। তা ছাড়া বৈঠকে আলোচ্যসূচি কী ছিল, তাও তখন প্রকাশ করেনি কোনো দেশ।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত দুই বছরে উত্তর কোরিয়া পরমাণু ও কনভেনশনাল ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমের প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও দেশটির নেতা উন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলে এলেও তাতে কান দেননি উন।

মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে কিম জং-উনের মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। তিনি বলেছেন, শীতকালীন অলিম্পিক গেমস-কে শান্তির পথে বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখছেন তিনি। প্রস্তাবিত আলোচনা শিগগিরই সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের দক্ষিণ কোরিয়ায় আসা নিশ্চিত করতে বলেছেন মুন জে-ইন। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কার্যক্রম বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।

তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জানুয়ারি ২০১৮/রাসেল পারভেজ/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়