উন্নয়নের পরেও বস্তি বাড়ার যে কারণ দেখেন পরিকল্পনামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রামের মোড়লদের অত্যাচার ও সামাজিক অবিচার থেকে বাঁচার জন্যই দরিদ্র মানুষগুলো শহরে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ব্রাক সেন্টারে ‘অ্যাডভান্সিং ইনক্লুসিভ অ্যান্ড রেজিলেন্ট আরবান ডেভলপমেন্ট টার্গেটেড অ্যাট দ্যা আরবান’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দরিদ্র মানুষ বাধ্য হয়ে কাজের খোঁজে, নিরাপত্তার খোঁজে, গ্রামের মোড়লদের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য, সামাজিক অবিচার থেকে বাঁচার জন্য, শহরে আসছে। আর সে জন্যই শহরে বস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, শহরে পাড়াভিত্তিক বিচার নেই, পঞ্চায়েত নেই, মাতবর নেই যেটা গ্রামে আছে। গ্রামে দরিদ্রদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়, এটা সবার জানা। এই সমস্যাগুলো আমাদের সমাধান করা দরকার।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু ঢাকায় বস্তির সংখ্যাও বাড়ছে। আগে ঢাকা অনেক মুক্ত ছিলো। আগে ফুলবাড়িয়া স্টেশনে নামতাম, রিক্সা নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যেতাম। আগের মতো ঢাকা আর নেই, চারিদিকে বস্তি। এতা উন্নয়নের পরেও ঢাকায় বস্তি বেশি।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে বন্যা হয়েছে, বাধের উপরে মানুষ বসবাস করছে, এই ছবি আমরা দেখেছি। বন্যায় ছবিগুলো সঠিকভাবে আসেনি। ৫০ বছর আগেও বন্যার সময় এমন ছবি দেখেছি। দেশে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে, তাহলে এই ছবি কেন দেখছি?
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, ‘সরকোরের কমিটমেন্ট আছে, সরকার চিন্তা পর্যালোচনা করছে। দেশে দারিদ্র মানুষের সংখ্যা কমাবো। কেন মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসে, কেন মানুষ দরিদ্র হলো-এর সমাধান বের করতে হবে। শহরের দরিদ্রের চেয়ে গ্রামের দরিদ্র ভালো। বস্তিতে মানুষ খাবার পায়, রাতে বাতি জ্বলে। যেটা গ্রামে অনেক সময় পাওয়া যায় না।’
এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের(ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরিন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের(এডিবি) আঞ্চলিক প্রতিনিধি অর্ঘ্য সিনহা রায়, ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ইনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইইডি) প্রতিনিধি ডেভিড ডডম্যান, উপস্থিত ছিলেন।
রাইজিংবিডি/ ঢাকা/৩০ জুলাই ২০১৯/হাসিবুল/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন