ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

এক মামলায় ১১৩ জন জেলহাজতে

ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এক মামলায় ১১৩ জন জেলহাজতে

নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের উপর হামলার মামলায় ১১৩ জন আসামিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় আসামিরা এক সঙ্গে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে নীলফামারী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালত-১ এর বিচারক আকরাম হোসেন জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আদালতের আদেশের পর পুলিশের বিশেষ পাহারায় ১১৩ আসামিকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ জুন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ ও গণনার পর চওড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার খলিলুর রহমান সন্ধ্যা ৬টায় ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে ৯৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আজিজুল হক। আর ৯২৬ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ফজলুল হক। ৭১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে ক্ষিপ্ত হন ফজলুল হকসহ তার সমর্থকরা। তারা পুনরায় ভোট গণনার দাবি তুলে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশ পাহারায় প্রিজাইডিং অফিসার এবং অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তকর্তারা পিকআপ ভ্যানে করে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফিরে আসছিলেন। পথে পরাজিত প্রার্থী ফজলুল হকসহ তার সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায় এবং পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে। তারা ভোটের ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড রাবাব বুলেট ছুড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে পরাজিত ইউপি সদস্য ফজলুল হক, তার তিন ভাই আজাহার ইসলাম, মোহাম্মদ বুলেট এবং মো. বুলবুলসহ ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত দেড় হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দপুর থানার এসআই কার্তিক মহন্ত গত ১৫ ডিসেম্বর ১১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ওই চার্জশিট গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওহাব জানান, ওই মামলার ১১৩ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের পক্ষে তিনি আদালতের কাছে জামিন প্রার্থনা করলে তা নাকচ হলে আসামিদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ।



রাইজিংবিডি/নীলফামারী/৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়