ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

একুশে গ্রন্থমেলায় প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বিমূর্ত শিল্পপ্রসঙ্গ’

তাপস রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
একুশে গ্রন্থমেলায় প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বিমূর্ত শিল্পপ্রসঙ্গ’

সাহিত্য ডেস্ক: প্রায় তিন দশক ধরে শরীফ আতিক-উজ-জামান লিখছেন। ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ছাড়াও তিনি প্রচুর বিদেশি সাহিত্য বাংলায় অনুবাদ করেছেন। এবারের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হলো তার চিত্রকলা সম্পর্কিত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বিমূর্ত শিল্পপ্রসঙ্গ’।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম পাদে বিমূর্তরীতির আবির্ভাব শিল্পজগৎকে বেশ বড়সড় একটা ধাক্কা দিয়েছিল। শুরুতে কেউ কেউ বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর ও অর্থহীন বলে রায় দিয়েছিলেন। এই শিল্পধারার উদ্দেশ্য নিয়ে তখন অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছিল। কীভাবে এর অর্থ দাঁড় করাবেন এবং কীভাবে মূল্যায়ন করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। বিমূর্ত শিল্পকলা ভালো না মন্দ সে সম্পর্কেও কোনো উপসংহারে পৌঁছাতে পারছিলেন না। এমনকি আজকের দিনেও এই ধারার শিল্পকলার রস আস্বাদনের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নগুলোই ঘুরে ফিরে আসে।

ক্যামেরার আবিষ্কার চিত্রকলার প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বোতামের এক ক্লিকে দৃশ্য বা মুখাবয়বের যে নিখুঁত ছবি পাওয়া যাচ্ছিল তাতে করে দীর্ঘসময় ধরে রং-তুলি ঘসে ঘসে ছবি আঁকার যে পরিশ্রম তাকে অর্থহীন মনে করতে শেখাচ্ছিল। তাই শিল্পীরা নতুন কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করলেন। বস্তুর দৃশ্যগ্রাহ্য রূপ এড়িয়ে নতুন কিছু করতে চাইলেন। ক্যানভাসে নকশার অভিনবত্ব সকলের নজর কাড়ল, আর এই কারণেই যেসব শিল্পীরা এই চিত্রকলা চর্চায় আগ্রহী ছিলেন না তারাও একে স্বাগত জানালেন। নকশার শৃঙ্খলার নন্দন তাদের টানলো। প্রাচীন চিত্রঐতিহ্যের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গী একবারে পাল্টে গেল। বস্তুর প্রকৃত গড়ন এড়িয়ে রং ও রেখায় নতুন কিছু তারা উপস্থাপন করতে চাইলেন। আর তা বিমূর্ত চিত্রকলারূপে পরিচিতি লাভ করল। বিমূর্ত  চিত্রকলা শৈল্পিক অনুকরণের সনাতন ধারণার শিকড় উপড়ে ফেলল।

বিমূর্ত চিত্রকলা নিয়ে নিবিড় ভাবনার ফলস্বরূপ বিভিন্ন সময়ে রচিত ১১টি প্রবন্ধের এই সংকলন কোনো সিদ্ধান্ত প্রদানকারী লেখনী নয়, বরং এই আলোচনা ও ভাবনার দিকটিকে আরো প্রসারিত করার প্রয়াস মাত্র। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ধ্রুবপদ থেকে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়