ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

কখনো খোলা মাঠে, কখনো গাছ তলায়..

এম.শাহীন গোলদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ৯ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কখনো খোলা মাঠে, কখনো গাছ তলায়..

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাধ্য হয়ে কখনো খোলা মাঠে,কখনো গাছ তলায় ক্লাস নিতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের।

স্কুলটির অবস্থান সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নে। জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে খোলা আকাশের নিচেই চলছে পাঠদান। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় ব্যহত হচ্ছে এ স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম। ৪৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে,জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি একেবারেই জরাজীর্ণ এবং এরমধ্যে খুদে শিক্ষার্থীদের বসানোটাই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময়েই দুর্ঘটনায় পড়ার সম্ভাবনা।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৪৪ সালে এলাকার দানশীলদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে টিনের ছাউনি আর ইটের দেয়ালে তৈরি কক্ষে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চললেও ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে নির্মিত ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা এই ভবনটি ২০১৬ সালে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে এবং পরিত্যক্তও ঘোষণা করা হয়।

এছাড়াও ২০০৬-০৭ সালে পিইডিপি-২ এর আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে নির্মিত আরও একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের একটি কক্ষে অফিসিয়াল কার্যক্রম আর অপরটিতে শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে মাত্র একটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে বা কখনো গাছ তলায় পাঠদান করানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

প্রথম শ্রেণির ছাত্র বিজয় ও মুনতাসীর জানায়- বাইরে ক্লাস করার সময় অনেক শব্দ হয়। রোদের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। পড়ায় তাদের মন বসে না।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মোছা.সাজেদা খাতুন জানান, ৪৯০জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে হিমসিম খেলেও বিদ্যালয়ের ফলাফল বরাবরই ভাল।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন- ‘এখন না হয় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষাকালে ওদের নিয়ে কোথায় যাব আমরা তাই ভাবছি।’

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) জি.এম রাজগুল বাহার জানান, পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণ করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এদিকে দেখভাল নেই।

এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর্জা মিজানুর আলম বলেন, ‘বিদ্যালয়টির অবস্থা আমি জানি। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য তালিকার প্রথম সারিতে নাম রাখা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা হচ্ছে না। না হওয়ার কারণটা আমার জানা নেই। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরা এর দ্রুত পদক্ষেপ নেবো।’




রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/৯ মার্চ ২০১৯/শাহীন গোলদার/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়